আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
السلام عليكم و رحمه الله و بركا ته

আমাদের সম্পর্ক টা ঠিক ভাল থাকে স্বামীর সাথে কিন্তু আমার ভাই আর আমার স্বামীর ভাই আমাদের মিলতে দেয় না ।আমার ভাই আর স্বামী আর তার পরিবার ঠিক ভাবে দ্বীন পালন করে না । আমার আব্বু আম্মুকে আমি রাজি করাই কিন্তু আমার ভাই আবার আমার সাথে ঝগড়া করে সব নষ্ট করে দেয় ।আর আমার স্বামীর ভাই ও ঠিক একই কাজ করছে আমার স্বামী তার বাবা মাকে রাজি করায় ।কিন্তু তার ভাই বাধা দেয় । আর আমার দাদী শুধু কবিরাজের কাছে যায় আর অসুস্থ না হলেও তারা আমাকে অসুস্থ বানিয়ে রাখে । যতবার কবিরাজের কাছে গেছেন আসার পর আমার সাথে অনেক ঝগড়া হইছে পরিবারের সবার সাথে । আমি তাদের অনেক বুঝাই কবিরাজের কাছে না যেতে কিন্তুু তারা মনে করে আমার মাথা ঠিক নাই ,আমি অসুস্থ তাই আমি যেতে চাই না এভাবে আমার পরিবারের সবার সাথে আমার সম্পর্ক খারাপ বানিয়ে ফেলে ।

আর উনারা কবিরাজের কাছে গেলে আমার মাথায় ও শুধু ওইসব কবিরাজের কাছে যাওয়ার ওয়াসা ওয়াসা আসে ।আর আমার ভাই আমি নিজে থেকে একা বিয়ে করার আগে আমাকে বিয়ে দিতে চাইত না যেখানে আমার বয়সী সব মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল ,বাচ্চা হয়ে যাচ্ছিল সে আমাকে শুধু পরাশুনা করা লাগবে আগে তারপর চাকরী করা লাগবে বুঝাত ,আর আমাকে বাইরে পাঠিয়েছিল সেই কারনে চরিএ ভাল রাখতে আমরা বিয়ে করি । কিন্তু কতগুলা কবিরাজ হুজুরের কাছে অসুস্থতার সময় তাবিজ নিলে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় , আর আমি যেখানে বিয়ে করেছিলাম ওই জায়গাটা বাড়ি থেকে অনেক দূরে তাই আমাকে সেই কাবিন পেপার আনতে যেতে দিবে না এখন ।আর পুলিশের কাছে যাওয়া ,চেয়ারম্যান এর কাছে যাওয়া আমি একা করতে পারি না । এভাবে আমাদের সম্পর্ক যতটুকু ভাল থাকে আমাদের বড় ভাইয়েরা আমাদের সাথে ঝগড়া আর মারামারি করে তা খারাপ করে দেয় । তাদের দুজনেরই দ্বীনের ইলম কম (আমাদের ভাইদের )।খালি দুনিয়ায় কত বেশি খেতে পারবে সেটা নিয়ে পরে থাকে,আর কার চেয়ে কে কত বেশি সম্পওি নিতে পারবে সেটা নিয়ে সেটা হালাল হল না হারাম ,যাকাত দেওয়া লাগবে সেটা তাদের মাথায় থাকে না । আমার স্বামীও দ্বীন ঠিক ভাবে পালন করতে চায় না গান শুনে ,ঝগড়া লাগলে আমাকে ব্লক করে দেয় তিন চারটা ফেসবুকে মেয়ে আছে অনেক । আমার স্বামীর সাথে যখন relation কয়েকদিন ভাল থাকে তখন পরিবারের মানুষগুলা তাকে খালি তালাক দিয়ে আরো ভাল কাউকে বিয়ে করতে বলে আর দাদী খালি কবিরাজের কাছে যায় আমাকে অসুস্থ বলে ।আর উনিই সব ছেলে দেখে আমাকে তালাক না করিয়ে আবার আমাকে বলে তোমার স্বামীর সাথে কথা বলবা না ।ভাইয়া আমাকে স্বামী বাদে আর সব ছেলের সামনে সেজে যেতে বলে । আমি কি কথা বলি আমার স্বামীর সাথে আমার সব মেসেজ পরে এভাবে আমরা কারো হক ঠিক মত আদায় করতে পারি না ।আমার স্বামী আমার বাবার সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু ভাইয়া আমার দুলা ভাইকে আমার অবিভাবক বানায়, বলে দুলাভাই তোমার অবিভাবক বাবা না । আর এভাবে স্বামীর problem গুলাতো আছেই তার ফেসবুকে অনেক মেয়ে কিন্তু আমিই ব্লক করা । আবার ভরন পোষন দেয় না । সবচেয়ে বড় তার পরিবার নিয়ে আসে না তার ভাই রাজি হয় না ।আবার আমাকে তালাক ও দেয় না যাতে আমি নতুন কোথাও বিয়ে করে নিতে পারি তার পরিবারও তাকে তালাক দিতে বলে না । আমাকে কাবিনের পেপার ও দেয় না যাতে আমি দেখে নিতে পারি আমাকে অনুমতি দিয়েছে কিনা ।আমাদের সম্পর্ক যখন ভাল ছিল আমাদের দুজনের ভাই ই আমাদের আলাদা করেছিল আমাদের সাথে ঝগড়া আর মারামারি করে আর নতুন কোথাও বিয়ে দিতে ।দাদী শুধু বলে তুমি এটা তালাক দাও তোমার নতুন কথাও ধুম ধাম করে বিয়ে দিব ।আমি বলি তালাক দেওয়ার কি দরকার যাকে বিয়ে করছি তার সাথে ই দেন বিয়ে ধুম ধাম করে । এটা বলে কয়েকদিন পর পর নতুন কবিরাজের কাছে যায় আর নতুন ছেলে ঠিক করে দাদী । আমি না করি তালাক না হলে ছেলে দেখা যাবে না ,ভাইয়া ,মা ,বাবাও স্বামী নিয়ে যায় না আবার ভরন পোষন দেয় না তাই । আবার উল্টা টাকা দিতে বলে ।আর আমার স্বামীও বলতে চায় না সে বিবাহিত তার পরিবারও বলে না ।এভাবে এক বিয়ের কথা গোপন করে সে মেয়ে দেখে । সবাইকে single বলে বেরায় ।ভাইয়া তালাক দিতে বলে কিন্তু আমি জানি না আমাকে স্বামী তালাকের অনুমতি দিয়েছে কিনা কাবিনের পেপারে । আমার ভাই এভাবে একটা তালাক পেপারে সাইন করতে বলে আর বলে যে, পেপারে সাইন করে মুখে তিনবার তালাক বলে দিলেই হয়ে যাবে তালাক ?আমি তাদের বলি তালাক হওয়ার আগে যাতে নতুন কোন ছেলে না আনে কিন্তু শুনে না ,নতুন বিয়ে ঠিক করে । আর স্বামীও কথা বলে না ।বলে যে তোমার বাবাকে বল Business visa করে দিতে নইলে টাকা দিতে ৫লাখ এটা কি ঠিক হবে টাকা নিয়ে যাওয়া ?বলে যদি তোমার পরিবার রাজী হয় তাহলে আমার পরিবার আনব নাহলে আনব না ।আবার একবার নিয়ে গেলে পরে যদি আবার চায় । এটা বলে ব্লক করে রাখে। আর কোন খোজ নেয় না এভাবে সে আর তার পরিবার আমার পরিবারকে কষ্ট দিচ্ছে আর তার কারনে আমার পরিবার আমাকে কষ্ট দিচ্ছে । আবার আমি যদি তার কাউকে জানাতে যাই বলে তুমি আমার বদনাম কর । এভাবে আমি একা কিভাবে কি করব বুঝি না ।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

رجل قال لامرأتہ خذي طلاقک، فقالت: أخذت، یقع الطلاق۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الطلاق / الفصل الثاني في إیقاع الطلاق ۱؍۳۵۹)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার তালাক গ্রহন করো।
স্ত্রী যদি বলে যে গ্রহন করলাম,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে আপনার স্বামী যদি আপনাকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর আপনি স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে কেবল তালাক পতিত হয়ে যাবে।

অন্যথ্যায় তালাক পতিত হবেনা। 

আপনার স্বামী যেহেতু আপনাকে নিকাহনামা দেখায়না,সুতরাং আপনি কাজী সাহেবের স্বরনাপন্ন হবেন।

তার কাছ হতে নিকাহ নামার এক কপি নিবেন।

তাহলেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।
তালাকের অধিকার পেয়ে থাকলে সেই অধিকার বলে আপনি নিজেকে নিজে তালাক দিয়ে বা নিজের নফসের উপর মৌখিক/লিখিত তালাক প্রদান করে ইদ্দত কাল অতিবাহিত করে অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবেন।

অন্যথায় খোলা তালাক এর জন্য আদালতের স্বরনাপন্ন হতে পারেন।

★আর যদি তালাকের দিকে না গিয়ে তার সাথেই ঘর সংসার চালিয়ে যেতে চান,সেক্ষেত্রে সেটিও করতে পারেন।

এমতাবস্থায় উভয় পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে মিটিং করে যাবতীয় সমস্যা গুলির সমাধান করে নিবেন।

এভাবে আসলেই সমাধান হয়ে গেলে এটাই সবচেয়ে ভালো হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...