আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ

আমি দ্বীনে ফিরেছি ১/২ বছর হচ্ছে। কিন্তু আমার পরিবার আসলে পুরাপুরি বেদ্বীন। তারা শুধু জানে কোনোমতে ৪/৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া (তাও গুরুত্ব সহকারে না), রমাদানে রোজা রাখা আর হঠাৎ হঠাৎ কুরআন পড়াটাই ইসলাম এর বাইরে সব কিছু বাড়াবাড়ি।  আমার পর্দাটা রেগুলারভাবে করতে খুবই কষ্ট হয়ছে আলহামদুলিল্লাহ। পর্দা নিয়ে এখন কোনো সমস্যা না করলেও আমার দ্বীন শিখা নিয়ে অনেক সমস্যা করে আমার মা বাবা আর ফ্যামিলি।  আসলে দ্বীনে আসার পর থেকে আমার বাবা প্রায় সব কিছুতেই আমার সাথে কেমন করে জানি আচরণ করে মানে আমাকে আসামির মতন করে দেখে আর অনেক বেশি জেরা করে খিটখিট করে। তো এইসব কারণে আমি বাবার সাথে চাইলেও নরমালি কথা বলতে পারি না। আর আমার হায়েজ টাইমে মেজাজ একদমই ঠিক থাকে না, কথায় কথায় কান্না আসে মানে অনেক বেশি মুড সুইং হয় হরমোনাল কারণে তো আজকে আব্বুর সাথে কথা বলতে গিয়ে আমি রাগ দেখায় ফেলি। গলার আওয়াজ বড় করে কথা বলে ফেলি। এটার জন্য কি আমার গুনাহ হবে?
আর তারা চাই না আমি অনলাইনে দ্বীন রিলেটেড কোনো কিছুর সাথে কানেক্টেড থাকি।  আমি আইওএমেও ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু তাদের কারণে ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন তাজউইদের একটা কোর্স করছিলাম কোনোমতে লুকিয়ে বাট সেটাও জেনে যায় আমার মোবাইল চেক করে (আমার বয়স ২০+) অনেক বেশি জেরা করে। আমার কোরআন পড়া সহিহ না। তারা তাজউইদের মানেও জানে না। বললেও বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না আমার। তারা কেমন জানি আমাকে জঙ্গি টাইপ হয়ে যাচ্ছি ভাবে মনে হয় জানি না। আমাকে হয়তো মোবাইল ইউজ করতে দিবে না।  এই অবস্থায় আমি কি করবো? দ্বীন শিখা ছেড়ে দিবো?
আমি ভার্সিটি এডমিশন নিবো সামনে সেখানে ছেলে মেয়ে আলাদা। আমি পড়বো ঠিক। বাট আমার দুনিয়াবি পড়াশোনা করার কোনো ইচ্ছা নাই।  আমি দ্বীন নিয়ে পড়তে আগ্রহী। আমি কুরআন হাদিস নিয়ে পড়াশোনা করত অনেক বেশি আগ্রহী। এখন আমি যদি নামখয়াস্তে ভার্সিটিতে পড়ি আমার কি গুনাহ হবে এটা কি মা বাবাকে ঠকানো হয়ে যাবে?
আর আমার জন্য বিয়ে করাটা অনেক বেশি জরুরি। আমি কি কি আমল করবো তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য? বাসায় এখন বলা যাবে না বিয়ে নিয়ে তারা বিয়ে নিয়ে ভাবে না। আমি সংসার করতে চাই।  আমি এই বাসায় থাকতে চাই না আর। আচ্ছা ভার্সিটি হোস্টেলে থাকলে কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ঈসরাইল-২৩)

وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।(সূরা বনি ঈসরাইল-২৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
সন্তানের দায়িত্ব হচ্ছে,মাতাপিতার সাথে সর্বদা উত্তম বাক্য ব্যবহার করা।তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার পরও যদি তারা সন্তানের সাথে উচ্ছবাক্য করে,তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে,তারপরও সন্তানের দায়িত্ব হচ্ছে,ধৈর্য্যের সাথে অপেক্ষা করা ও সদ্ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া। 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার বাবাকে কষ্ট দিয়েছেন। সুতরাং আপনার জন্য করণিয় হল,বাবার কাছে ক্ষমা চাওয়া।

হিকমতের সহিত বুঝে শুনে সামনে কদম বাড়াবেন। বাবা মার সাথে কথা বলার সময় রাগ উঠলে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিবেন।
প্রয়োজনে তাদের সাতে কম কথা বলবেন।

আপনি যেভাবে জেনারেল পড়তে চাচ্ছেন,এর দরুন আপনার গুনাহ হবেনা।

দ্রুত বিবাহের জন্য আপনি ছলাতুল হাজত এর নামাজ পড়ে বেশি বেশি দুয়া করতে পারেন।
ইনশাআল্লাহ দ্রুত বিবাহ হবে।

আরো আমল জানুনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...