জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নাবালেগ নেক আমল করলে তার ছওয়াব সে পাবে।
এক্ষেত্রে বাবা মা সেই নেক আমলদের শিক্ষা,পথ দেখানোর ছওয়াব পাবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ رَفَعَتِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا لَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِهَذَا حَجٌّ قَالَ " نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ "
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে তার এক শিশু সন্তানকে উচিয়ে ধরে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এর জন্য কি হাজ্জ আছে? তিনি বলেনঃ হ্যা, আর এর প্রতিদান তোমার।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯১০), মুসলিম,তিরমিজি ৯২৪)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلّى الله عليه وسلم، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أُبْدِعَ بِي فَاحْمِلْنِي، قَالَ: لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكَ عَلَيْهِ، وَلَكِنِ ائْتِ فُلَانًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَحْمِلَكَ فَأَتَاهُ فَحَمَلَهُ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ صحيح
আবূ মাসঊদ আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কোনো বাহন নেই। তাই আমার জন্য একটি বাহনের ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বললেনঃ আমার নিকট তোমাকে বাহন হিসেবে দেয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে তুমি অমুকের নিকট যাও, সে হয়তো তোমার সাওয়ারীর ব্যবস্থা করতে পারবে। অতএব সে তার নিকট গেলে তার বাহনের ব্যবস্থা করে দিলো। ঐ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ব্যাপারে জানালে তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের পথ দেখায়, সে উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সওয়াব পায়।
মুসলিম ১৮৯৩,আবু দাউদ ৫১২৯)
"عن ابن عمررضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا تصدق أحدكم بصدقة تطوعا فليجعلها عن أبويه فيكون لهماأجرها ولاينقص من أجره شيئ"(شرح الصدور،باب ماينفع الميت في قبره ص300)
সারমর্মঃ-
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,তোমাদের কেউ যদি স্বেচ্ছায় দান করে, তবে সে যেন তার পিতা-মাতার পক্ষ থেকে দান করে, তাহলে তারা এর সওয়াব পাবে এবং তার সওয়াব থেকে কোন কিছুই কম হবে না।
"وقد قالوا حسنات الصبي له لا لأبويه بل لهما ثواب التعليم" (الدرالمختار،باب صلواة الجنازة،ج2ص215)
সারমর্মঃ-
শিশু সন্তানের ভালো কাজের ছওয়াব তারই, তার পিতামাতার নয়, তবে তারা শিক্ষার প্রতিদান পাবে।
"وتصح عباداتہ وإن لم تجب عليه واختلفوا في ثوابهما والمعتمد أنه له وللمعلم ثواب التعليم وكذا جميع حسناته" (شرح الاشباه والنظائر،الفن الثالث،أحكام الصبيان،ج3ص22)
সারমর্মঃ-
নাবালেগ ইবাদত সহীহ, যদিও সেগুলি তার জন্য বাধ্যতামূলক না হয়, এবং তাদের সওয়াবের ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে যে তার এবং শিক্ষকের জন্য শিক্ষার পুরস্কার রয়েছে,অনুরুপ ভাবে সমস্য নেক আমলের।
"حسنات الصغير قبل أن يجرى عليه القلم للصبى لالأبيه لقوله تعالى" وأن ليس للإنسان إلا ماسعى وهذا قول عامة مشائخنا" (أحكام الصغار على هامش جامع الفصولين ، مسائل الكراهية 1/148)
সারমর্মঃ-
শিশুর উপর কলম যাওয়ার আগে তার ভালো কাজগুলো ছেলের, বাবার নয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পিতামাতার দায়িত্ব তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে শিক্ষা ও প্রশিক্ষিত করা এবং তাদের ভাল কাজ থেকে বিরত রাখা এবং তা ঘটবে এবং আগামীকাল হাশরের দিন এ বিষয়ে তিরস্কার করা হবে, তাই অভিভাবকরা অবহেলা করলে। তাদের দায়িত্ব, যার কারণে শিশু অপব্যবহারের মতো খারাপ অভ্যাসের মধ্যে পড়ে, তাহলে পিতামাতার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে অবহেলা করা পাপ হবে, কিন্তু পিতা-মাতা যদি সন্তানকে সঠিকভাবে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেন, যদিও শিশুটি করে। একটি পাপ, বা গালি, এটা পিতামাতার পাপ হবে না সন্তানের.
তবে অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদেরকে সঠিকভাবে শিক্ষা ও প্রশিক্ষিত করা এবং তাদেরকে ভালো নৈতিকতায় অভ্যস্ত করা এবং তাদের সামনে ভালো শব্দ ব্যবহার করা এবং খারাপ কথা ও মন্দ আচার-আচরণ পরিহার করা, যাতে শিশুদের মধ্যে ভালো গুণাবলীর বিকাশ ঘটে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নাবালেগ ছেলে গুনাহ করলে তার গুনাহ লেখা হবেনা। তবে এক্ষেত্রে অভিভাবক তাকে সঠিক শিক্ষা না দিলে তাদের অবহেলার গুনাহ হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل
‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত।
(সহীহ : তিরমিযী ১৪২৩, আবূ দাঊদ ৪৪০৩।)
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا, عَنْ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ, وَعَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبُرَ, وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ, أَوْ يَفِيقَ».
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়।
(আবূ দাউদ ৪৩৯৮, নাসায়ী ৩৪৩২, ইবনু মাজাহ ২০৪১, আহমাদ ২৪১৭৩, ২৪১৮২, দারেমী ২২৯৬।)