আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
সম্প্রতি  আমি হক পূরণের উদ্দেশ্য নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বইয়ের আনুমানিক সমপরিমাণ টাকা নিয়ে বিভাগীয় লাইব্রেরিতে যাই। এবং ঐ বিষয়টি  জানিয়ে বইগুলোর আনুমানিক সমপরিমাণ টাকা দিয়ে রিসিট নিতে চাইলে লাইব্রেরির ট্যাকনিক্যাল বুক ক্যাটালগার স্টাফ আমার সাথে অনেকটা রাফ আচরণ করেন। এবং কথা টা জানানোর  শুরু থেকেই বারবার মামলা হবে মামলা হবে বলে ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন।
তখন আমি রেলওয়েতে অনেকে টিকেটের মূল্য ফিরিয়ে দেয়ার বিভিন্ন  ঘটনা উল্লেখ করি।
তখন তিনি বলেন লাইব্রেরির সদস্য না হলে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বইগুলোর বিস্তারিত পূর্ণ বিবরণ না পাওয়ার পর্যন্ত তিনি হিসাব রক্ষকের নিকট আমার বিষয়টি রেফার করবেন না। এবং টাকা গ্রহন করবেন না।
উনাকে পূর্ণ বিবরণ দেয়া হলে উনি তদন্ত করে দেখবেন প্রয়োজনে মামলাও করতে পারেন।৷
সামান্য বিষয়টি নিয়ে
উনি আমাকে বারংবার মামলার কথা বলে ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন।
এরপর আমি চলে আসি। কারণ আমি সদস্য না এবং
 প্রায় ১৪/১৫ বছর আগের বইয়ের তথ্য তো দিতে পারবো না।
এখন আমার করনীয় কি??
আমি আরো দুটি বিষয় জানতে চাচ্ছি।
(১) আমি যেহেতু সরাসরি টাকা টা নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে পারছি না। সেক্ষেত্রে আমি কি টাকাটা কোনো গরিব মানুষকে দিয়ে দিলে সেই হক থেকে মুক্তি পাবো??
  অথবা
(২)  যেহেতু বইগুলো রাস্ট্রীয়াত্ত সম্পদ ছিলো.. এবং এই সম্পদের মূল্য যেহেতু  নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে পারছি না সেক্ষেত্রে  আমি যদি কোনো  রাস্ট্রীয়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান যেমন  " প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল" এর মতো সরকারী সংস্থায় টাকা টা দিয়ে দেই তাহলে কি হক টা পূরণ হয়ে যাবে???

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★কাহারো নিকট বান্দার হক পাওনা থাকলে,প্রথমে উক্ত হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায় করা সম্ভব না হয়তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবে এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ পক্ষ্য থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনযে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকেসে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এক্ষেত্রে উক্ত লাইব্রেরী সরকারি হয়ে থাকলে সরকারের কোনো এক ফান্ডে সেই টাকা জমা দিতে হবে।

উক্ত লাইব্রেরী সরকারি হয়ে থাকলে বরং কাহারো ব্যাক্তিগত হলে সেই ব্যাক্তির বিকাশে/নগদে বা তার ব্যাংকে একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিবেন।

এমনটি সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে পারেন।

(০২)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে হক টা পূরণ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
...