ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
«إن أصدق كلمة قالها الشاعر كلمة لبيد:
ألا كل شيء ما خلا الله باطل ... وكل نعيم لا محالة زائل
»
সবচেয়ে সত্য কথা যা লবিদ রাযি বলেছেন,
আল্লাহ ব্যতীত সবকিছুই বাতিল।এবং প্রত্যেক নিয়ামত(দুনিয়ার নিয়ামত) অবশ্যই শেষ হবে।(মিরকাত-৪৭৪৭)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
এ সমস্ত রেওয়াত প্রমাণ করে যে,গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত লিংকে আমরা প্রবেশ করে উক্ত রোমান্টিক গান শিরোনামের সংগিতটি শুনেছি।সেই সংগিত শুনে আমাদের কিছুটা সংশয় তৈরী হয়েছে,
তাতে হালকা মিউজিক জাতীয় কিছু রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।এটা আপনি/আপনারা কোনো সাউন্ড এনালিষ্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।তাছাড়া এগুলোতে বেহুদা গানের সূর রয়েছে বলেও মনে হচ্ছে।
যেহেতু আমরা নিশ্চিত নই,তাই আমরা শরয়ী নীতিমালার আলোকে এ সমস্ত গানকে পরিস্কার হারাম বলতে পারছি না।হ্যা এগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা অবশ্যই উত্তম হবে।কেননা গানের মাওযু বা উদ্দেশ্য প্রায় প্রেম ভালবাসা ও দুনিয়াকে মহব্বত নিয়ে রচিত।কাজেই এগুলো মানুষকে আখেরাত থেকে বিমুখ করতে পারে।সুতরাং এগুলো থেকে দূরে থাকা অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।