ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ট্যাক্স বা খাযনা সম্পর্কে উলামাদের মতপার্থক্য রয়েছে। এ সম্পর্কে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করে জেনে নিবেন।
যাইহোক পরিমিত পরিমাণের সরকারি ট্যাক্স বা খাযনা প্রদান জনগণের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। এত্থেকে পলায়ন কখনো অনুমোদিত হবে না।বরং প্রকারান্তরে এটা ধোকার অন্তর্ভুক্ত হবে। সুতরাং ট্যাক্স থেকে বাচার জন্য ডিপিএস করা ঠিক হবে না।
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা ইতিপূর্বে সেই উত্তরই দিয়েছি, এখন যা বলছি। হ্যা, এখন কিছুটা ব্যাখ্যা সহকারে বলছি,
বাংলাদেশের মত রাষ্ট্র যেখানে ইসলামী হুকুমত নেই, সেই দেশের সরকারকে খাযনা বা কর প্রদান করা জরুরী কি না? সে সম্পর্কে উলামাদের তুমুল বিতর্ক বিদ্যমান রযেছে। এ সম্পর্কে নিশ্চিতরূপে সিদ্ধান্ত প্রদান করা বড়ই মুশকিল বিষয় । এজন্য বলবো, কর থেকে বাচতে ডিপিএস করার বিধান বর্ণনা করাটাও মুশকিল বিষয় সমূহের একটি। যাইহোক, আমাদের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত হল, সহনীয় পর্যায়ের কর/খাযনা প্রদান জরুরী যদি তা সঠিক খাতে ব্যয় হয়। কেননা সরকার এদ্বারা জনকল্যাণ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করে থাকে।
ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে কর খাযনা থেকে বাঁচতে ডিপিএসে টাকা ইনভেস্ট করাটা সমুচিত হবে না।তবে কেউ কর খাযনা থেকে বাচতে ডিপিএস করে নিলে তার জন্য শুধুমাত্র মূলধন গ্রহণ করাই জায়েয হবে। অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা জায়েয হবে না। বরং সদকাহ করতে হবে।