আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

 আমি একজন ভারতীয়। আমি আইওএম ২৪১২ ব্যাচের স্টুডেন্ট এবং এর সাথে সাথে আমি নার্সিং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমার ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার, মেডিকেল এন্ট্রান্স দিয়েছিলাম। কিন্তু ডাক্তারি পড়ার সুযোগ আমার হয়নি। ইচ্ছা ছিল মেডিকেলের যেকোনো কোর্স করবো। তবে নার্সিং করার কোনো পরিকল্পনা আমার ছিল না, নার্সিং ভাল ও লাগতো না। দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে আমি দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করতে চেয়েছিলাম। বাড়ি থেকে সেভাবে কেউ গুরুত্ব দেয় নি।কিন্তু পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমাকে নার্সিং এ আসতে হয়েছে। প্রথম বছর থেকেই,পর্দার জন্য কলেজে নানাভাবে লড়াই করে আমাকে টিকে থাকতে হয়েছে, বোরকা পরতে দেয় না, বকাবকি করে। ডিউটিতে সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট আর জামার উপরে অ্যাপ্রন পরতে হয়, আমি জোর করে এর সাথে হিজাব টা পরি উপরে। পুরুষ মহিলা, সকল ওয়ার্ড এই ডিউটি করতে হয়, পুরুষ ওয়ার্ডে ওই ইউনিফর্ম পরে আমি ভীষন অস্বস্তি বোধ করি, পুরুষ রোগীর গায়েও হাত দিতে হয়, কোনো প্রসিডিওর দেখানোর ক্ষেত্রে। কলেজে প্রায় 9 থেকে 10 ঘণ্টা সময় চলে যায়, জোহর, আসর কাযা হয়ে যায়, অনেক সময় মাগরিব ও কাযা হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি নার্সিং নিয়ে এগোতেও চাই না, নার্সিং এর চাকরী করতেও চাই না । বাড়ীতে আমি কলেজে সমস্যার বিষয়টা এখনো জানাই নি পুরোপুরি, ভয় করে, যদি বাড়িতে কিছু বলে। আসলে আমি পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করতে চাই। 5 ওয়াক্ত নামাজে অবিচল থাকতে চাই, কিন্তু কলেজে থাকাকালীন, আমি কিছুই পেরে উঠছি না। নিজের মধ্যে অনেক বেশি অপরাধবোধ কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে দম বন্ধ হয়ে আসছে। আপনারা যদি কিছু পরামর্শ দিতেন, খুবই উপকৃত হতাম, ইন শা আল্লাহ্।

1 Answer

0 votes
by (588,780 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণত ফুকাহায়ে কেরামগণ যেসব শর্তে জেনারেল শিক্ষার অনুমোদন দিয়ে থাকেন, সে সব শর্ত আপনার বর্ণিত পরিস্থিতিতে অনুপস্থিত। তাই আপনি হয়তো পর্দাসম্মত দ্বীনি পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের অনুকূলীয় কোনো নার্সিং কলেজ খুজে বের করে তাতে ভর্তি হবেন।নতুবা এই শিক্ষা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন। আল্লাহ আপনার জন্য বিষয়গুলো সহজ করে দেউক। আমীন।চুম্মা আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...