বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ বলেন,
হস্তমৈথুন সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়েয । তবে কেউ কেউ যেমন আল্লামা হাসক্বফী রাহ মনে করেন,যিনা-ব্যবিচার থেকে বাঁচতে কেউ হস্তমৈথুন করে ফেললে তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৮/২৪৯)
যদি হস্তমৈথুন ব্যতীত কামপ্রবৃত্তি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার বৈধ কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে সেটা করা ওয়াজিব।হ্যা কারো যদি কামপ্রবৃত্তি চড়াও হয়ে যায়,এবং সে এত্থেকে বাঁচতে হস্তমৈথুন করে নেয়,তাহলে আশা করা যায়,তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।ইমাম আহমদ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ থেকে মে'রাজুদ-দেরায়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে,পূর্ববর্তী যুগে অনুমতি থাকলেও বর্তমানে এর অনুমোদন নাই।হ্যা স্ত্রী বা বাদীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।কোনো কোনো কিতাবে হস্তমৈথুনকে মাকরুহ বলা হয়েছে।আস-সিরাজ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,যদি কেউ হস্তমৈথুন দ্বারা নিজ অন্তরকে কামপ্রবৃত্তির অশান্তি থেকে প্রশান্ত করতে চায়,এমতাবস্থায় যে সে অবিবাহিত এবং তার কোনো বাদীও নাই বা সে বিবাহিত কিন্তু সহবাস করা তার জন্য অসম্ভব,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ইমাম আবুল লেইস সমরবন্দি রাহ মনে করেন,আশা করা যায়,এমতাবস্থায় তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।তবে কেউ নিজ কামপ্রবৃত্তিকে উপভোগ করার নিমিত্তে এমনটা করলে, তার অবশ্যই অবশ্যই গোনাহ হবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৩৯৯) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4344
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কেউ যদি হায়েজ অবস্থায় হস্তমৈথুন করে ফেলে, অতঃপর এর উপর লজ্জিত হয়ে তাওবাহ করতে চায়, তাহলে সে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে নিবে। তাওবাহ করার জন্য উক্ত থেকে লজ্জিত হওয়া এবং ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা শর্ত। নামায শর্ত বা জরুরী নয়।
(২) হায়েজ অবস্থায় হস্তমৈথুনের কারণে ফরজ গোসল আদায় করতে হবে না। কেননা যেহেতু তখন ঐ মহিলার উপর নামায ফরয নয়, তাই তার উপর গোসল ফরয নয়। তাছাড়া হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার পর দ্বিতীয় বারও ফরজ গোসল আদায় করতে হবে না বরং হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য যেই গোসল করা হবে, সেই গোসলের সাথে সাথে তখনই ঐ ব্যক্তি পবিত্র হয়ে যাবে।
لما في الفتاوی التاتارخانیة:
"امرأة إذا اجنبت ثم أدرکہا الحیض، أو الحائض إذا أجنبت ثم طہرت حتی وجب علیہا الاغتسال، فإذا اغتسلت فہذا الاغتسال من الجنابة أو من الحیض؟ ... فظاہر الجواب أن الاغتسال یکون منہما جمیعاً" (الفتاوی التاتارخانیة:۲۸۸/۱،کتاب الطہارة، الفصل الثالث، نوع فی المتفرقات، رشیدیہ)
وفي الفتاوی الشامیة:
" (و) عند (انقطاع حيض ونفاس) هذا وما قبله الحكم إلى الشرط: أي يجب عنده لا به، بل بوجوب الصلاة أو إرادة ما لا يحل كما مر."(رد المحتار (1 / 165) ط: سعید)
وفي فتاوی دار العلوم دیوبند :
"سوال: ایک شخص اپنی بیوی سے ہم بستر ہوا، صبح کو اس کی بیوی حائضہ ہوگئی تو اس کی بیوی پر غسلِ جنابت فرض ہے یا نہیں؟
جواب:غسلِ جنابت اس پر فرض نہیں رہا، حیض سے پاک ہو کر غسل کرے۔" (فتاوی دار العلوم دیوبند ، کتاب الطہارات 1 / 135 ط: دار الاشاعت)
(৩) হায়েজ অবস্থায় যদি হস্তমৈথুন কেউ করে ফেলে বা স্বপ্নদোষ হয়ে বীর্যপাত হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি বিনা গোসলে জিকির আযকার করতে পারবে।