ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যারা আরবি পারে না তারা কুরআন হাদীসে বর্ণিত আরবী দু'আ শিখে তারপর সিজদায় দু'আ করবে। হ্যা, নফল নামাযে কেউ কেউ বাংলায় আখেরাত নিয়ে দুআ করার অনুমোদন দিয়ে থাকেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/185
(২) নামাযে সালাম ফিরানোর পর মোবাইল দেখে দোয়া করা যাবে।
(৩) মুনাজাতে বাংলায় দোয়া করা যাবে।
(৪) রুকু থেকে উঠার তাসবিহ এবং দুই সিজদার মাঝের তাসবিহ এগুলো ফরয সালাতে পাঠ করা সুন্নত। ইমাম সাহেব সামিআল্লাহ বলবেন, এবং মুক্তাদি রাব্বানা লাকাল হামদ বলবেন।
(৫)কোনো সালাত কাযা হলে তা তার পরবর্তী নামাযের আগেই আদায় করে নেয়া উত্তম। এশার সালাত কাযা হলে ফজরের ওয়াক্তে কাযা করা যাবে। ফজরের ওয়াক্ত সংকীর্ণ হলে প্রথমে ফজর পড়েনিতে হবে। পরবর্তীতে এশার নামাযকে কাযা করা হবে।
(৬) এশার সালাত কাযা হলে,বিতিরের সালাতেরও কায়া আদায় করতে হবে এশারের সাথে।
(৭) হানাফি মাযহাব যারা অনুসরণ করেন তারা ইমাম আবু হানিফা কে পুরোপুরি অনুসরণ করেন না। কথাটা এ হিসেবে সত্য যে, হানাফি মাযহাবে ইমাম আবু হানিফা রাহ এর সকল কথার উপর ফাতাওয়া নয়।বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহাবাইন রাহ এর মতামতের উপরও ফাতাওয়া রয়েছে।
(৮) প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী, সে বিবাহ করে নিবে।বিবাহ করা তার উপর ফরয। অপারগ অবস্থায় সে রোযা রাখবে।