আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
তালাক নিয়ে যতই চিন্তা করুন না কেন, কিংবা মনে মনে কথা বলুন না কেন, কিংবা নিয়ত ও সংকল্প করুন না কেন– মুখে উচ্চারণ না করলে তালাক হবে না। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাআলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসা (শুচিবায়ু), মনে মনে কথা বলা ক্ষমা করে দিয়েছেন; যতক্ষণ না সে কর্ম করে কিংবা কথা বলে”।[সহিহ বুখারী (৬৬৬৪) ও সহিহ মুসলিম (১২৭)]

আলেমগণ এ হাদিসের উপরে এভাবে আমল করে আসছেন যে, কেউ যদি মনে মনে তালাক দেয় তাহলে কথা বলার আগ পর্যন্ত কিছুই হবে না।

বরং কোন কোন আলেমের মতে, শুচিবায়ুতে আক্রান্ত ব্যক্তি উচ্চারণ করলেও তালাক হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ব্যক্তি তালাক দেয়াকেই উদ্দেশ্য করে থাকে। শাইখ বিন উছাইমীন (রহঃ) বলেন: “শুচিবায়ুতে আক্রান্ত ব্যক্তি মুখে তালাক উচ্চারণ করলেও তালাক হবে না; যদি না সে ব্যক্তির তালাক দেয়া উদ্দেশ্য হয়। কেননা এ শব্দের উচ্চারণ শুচিবায়ুতে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ থেকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেরিয়ে যায়। বরং সে ব্যক্তি জবরদস্তির শিকার– শব্দটি বের হওয়ার শক্তি প্রবল হওয়ার কারণে এবং প্রতিরোধ করার শক্তি দুর্বল হওয়ার কারণে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “জবরদস্তি অবস্থায় কোন তালাক নেই”। সুতরাং শান্ত অবস্থায় সে ব্যক্তির যদি তালাক দেয়ার প্রকৃত ইচ্ছা না থাকে তাহলে তার তালাক কার্যকর হবে না। এই যে বিষয়টি, অর্থাৎ ব্যক্তি তার ইচ্ছা ও ইখতিয়ারের বাইরে কিছু করতে বাধ্য হওয়া, সে কারণে তালাক পতিত হবে না।[সমাপ্ত, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা (৩/২৭৭) থেকে সংকলিত]।


আমি হানাফি মাযহাবের অনুসারী আমি উপরে উল্লেখিত ফতোয়াটি (বিশেষ করে ফাতওয়া ইসলামিয়া) অনুসরণ করলে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (584,340 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত আলোচনা ও ফাতাওয়াটি হানাফি মাযহাবেও গ্রহণযোগ্য।সুতরাং হানাফি মাযহাবের কারো জন্য উক্ত ফাতাওয়াটি অনুসরণ গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...