১/ আমাদের বাড়ির সবাই একটি বিপদে পড়েছে।এই বিপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য সকলে মিলে কালিমা শরীফ পড়ার নিয়ত করেছে।আমাকে বলেছে আমিও পড়ার জন্য।এখন আমার প্রশ্ন হলো, বিপদ -আপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য,কালিমা শরীফ, দুরুদ শরীফ, দোয়া ইউনুস ইত্যাদি পড়ার মানত কিংবা নিয়্যত করা কি জায়েজ নাকি বিদআত?
২/ আমরা চার বোন।আমাদের বাবা নাইট গার্ডের চাকরি করেন।বেতন মাত্র ৬ হাজার টাকা।যেটা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কঠিন।এর থেকে বেশি বেতনের চাকরি আমার বাবা করতে পারবেন না।কারণ উনার বয়স হয়েছে। উনি খুবই দুর্বল।উনার এখন রেস্ট নেওয়ার বয়স।কিন্তু আমাদের কোন ভাই না থাকায় জীবিকার তাগিদে উনাকেই চাকরি করা লাগে। আমি আর আমার বড় আপু টিউশন করি।সেই টিউশনের টাকা দিয়ে আমরা আমাদের পড়াশুনা এবং পার্সোনাল খরচ চালাই।এছাড়াও আমাদের ঘরের অবস্থা জীর্ণশীর্ণ।নতুন ঘর করার জন্য আমি আর আপু টিউশন করে কিছু টাকা জমাই।এখন ঘরের জন্য টাকা না জমিয়ে আমরা যদি সেই টাকা ঘরের বাজারের জন্য খরচ করি তাহলে ঘরের জন্য আর টাকা জমানো হবে না।এদিকে ঘর করাটা খুব জরুরি।এমতাবস্থায় আমি কি পর্দা করে চাকরি করতে পারবো?আমি এর আগেও কয়েক মাস চাকরি করেছি।তখন আমার মনে পর পুরুষের প্রতি খুব ফেতনা কাজ করতো।যদিও আমি কঠোর ভাবে পর্দা করার চেষ্টা করতাম,এবং নজরে হেফাজত করতাম।তাও মনে খুব ফেতনা কাজ করতো।এখন যদি আমি আমার মনকে এসব ফেতনা থেকে কঠোরভাবে দূরে রাখার চেষ্টা করে চাকরি করি তাহলে কি আমার জন্য চাকরি করা জায়েজ হবে?ইতোমধ্যেই আমাকে চাকরি করার জন্য পরিবার থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।এখন পর্দা করে, নজরের হেফাজত করে, এবং মনকে ফেতনা থেকে কঠোরভাবে দূরে রাখার চেষ্টা করে চাকরি করা জায়েয হবে?