আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
১/ আমাদের বাড়ির সবাই একটি বিপদে পড়েছে।এই বিপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য সকলে মিলে কালিমা শরীফ পড়ার নিয়ত করেছে।আমাকে বলেছে আমিও পড়ার জন্য।এখন আমার প্রশ্ন হলো, বিপদ -আপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য,কালিমা শরীফ, দুরুদ শরীফ, দোয়া ইউনুস ইত্যাদি পড়ার মানত কিংবা নিয়্যত করা কি জায়েজ নাকি বিদআত?
২/ আমরা চার বোন।আমাদের বাবা নাইট গার্ডের চাকরি করেন।বেতন মাত্র ৬ হাজার টাকা।যেটা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কঠিন।এর থেকে বেশি বেতনের চাকরি আমার বাবা করতে পারবেন না।কারণ উনার বয়স হয়েছে। উনি খুবই দুর্বল।উনার এখন রেস্ট নেওয়ার বয়স।কিন্তু আমাদের কোন ভাই না থাকায় জীবিকার তাগিদে উনাকেই চাকরি করা লাগে। আমি আর আমার বড় আপু টিউশন করি।সেই টিউশনের টাকা দিয়ে আমরা আমাদের পড়াশুনা এবং পার্সোনাল খরচ চালাই।এছাড়াও আমাদের ঘরের অবস্থা জীর্ণশীর্ণ।নতুন ঘর করার জন্য আমি আর আপু টিউশন করে কিছু টাকা জমাই।এখন ঘরের জন্য টাকা না জমিয়ে আমরা যদি সেই টাকা ঘরের বাজারের জন্য খরচ করি তাহলে ঘরের জন্য আর টাকা জমানো হবে না।এদিকে ঘর করাটা খুব জরুরি।এমতাবস্থায় আমি কি পর্দা করে চাকরি করতে পারবো?আমি এর আগেও কয়েক মাস চাকরি করেছি।তখন আমার মনে পর পুরুষের প্রতি খুব ফেতনা কাজ করতো।যদিও আমি কঠোর ভাবে পর্দা করার চেষ্টা করতাম,এবং নজরে হেফাজত করতাম।তাও মনে খুব ফেতনা কাজ করতো।এখন যদি আমি আমার মনকে এসব ফেতনা থেকে কঠোরভাবে দূরে রাখার চেষ্টা করে চাকরি করি তাহলে কি আমার জন্য চাকরি করা জায়েজ হবে?ইতোমধ্যেই আমাকে চাকরি করার জন্য পরিবার থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।এখন পর্দা করে, নজরের হেফাজত করে, এবং মনকে ফেতনা থেকে কঠোরভাবে দূরে রাখার চেষ্টা করে চাকরি করা জায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এসবই অভিজ্ঞতালব্দ বিষয়। কোনটিই দ্বীনের বিষয় নয়। বা কুরআন ও হাদীস থেকে প্রমাণিত বিষয় নয়। এসবকে কেউ সওয়াবের কাজও মনে করে না। বরং প্রয়োজন পূরণের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
যেমন ডাক্তারের সাজেশন অনুপাতে ঔষধ সেবন। তা’ই ডাক্তারের পরামর্শ অনুপাতে পথ্য সেবন যেমন হারাম ও বিদআত নয়, তেমনি কতিপয় দুনিয়াবী উদ্দেশ্য হাসিলের আশায় বুযুর্গদের অভিজ্ঞতালব্দ উপরোক্ত খতম পড়াও হারাম বা বিদআত নয়।
হ্যাঁ, এসবকে সুন্নত মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করা বিদআত। কেননা দু'আয়ে ইউনুস হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলে ও সংখ্যা কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।নতুবা এমনিতে আমল করতে কোন সমস্যা নেই। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/23839

(২)
ফিতনার যেহেতু পরিপূর্ণ আশংকা রযেছে, তাই আপনার জন্য ঘরের বাহিরে অনিরাপদ পরিবেশে চাকুরী করা জায়েয হবে না। হ্যা, পর্দাসম্মত পরিবেশে হলে চাকুরী করতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...