বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/12944/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
সহসাই আমাদের সামনে একটি প্রশ্ন আসে যে, পুরুষ কর্তৃক নন মাহরামকে
দেখা এবং নারী কর্তৃক নন মাহরাম কে দেখা কি সমান?
উত্তরে বলা হবে, না, সমান নয়। বরং উভয়ের বিধি-বিধানের
মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
পুরুষের জন্য নন মাহরাম মহিলার সবকিছুই পর্দার অন্তর্ভুক্ত।
বিনা প্রয়োজনে কোনো পরুষ নন মাহরাম কোনো মহিলার চেহরার দিকে থাকাতে পারবে না। এমনকি
ফিতনার আশংকা নন মাহরাম কোনো মহিলার আওয়াজও শুনতে পারবে না। কিন্তু ফিতনার আশঙ্কা না
থাকলে মহিলার জন্য নন মাহরাম পুরুষের নাভী থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত ব্যতীত শরীরের অন্যান্য
অংশ দেখার অনুমোদন রয়েছে। তবে ফিতনার আশঙ্কা থাকলে মহিলা তার চক্ষুকে অবশ্যই নিচু করে
রাখবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ হযরত আয়েশা রাযি কে হাবলী গোলামদের খেলাধুলা দেখার সুযোগ
দিয়েছিলেন।
যেমন বর্ণিত রয়েছে,হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ:
«كَانَ الحَبَشُ يَلْعَبُونَ بِحِرَابِهِمْ، فَسَتَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَنْظُرُ، فَمَا زِلْتُ أَنْظُرُ حَتَّى كُنْتُ
أَنَا أَنْصَرِفُ»، فَاقْدُرُوا قَدْرَ الجَارِيَةِ الحَدِيثَةِ السِّنِّ، تَسْمَع
ُاللَّهْوَ
একদিন হাবশীরা তাদের বর্শা নিয়ে খেলা করছিল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিয়ে পর্দা করে তার পেছনে দাঁড় করিয়ে ছিলেন এবং আমি সেই খেলা
দেখছিলাম। যতক্ষণ আমার ভাল লাগছিল ততক্ষণ আমি দেখছিলাম। এরপর আমি স্বেচ্ছায় সে স্থান
ত্যাগ করলাম। সুতরাং তোমরা অনুমান করতে পার কোন বয়সের মেয়েরা আমোদ-প্রমোদ পছন্দ করে।
(সহীহ-বুখারী--শামেলা নুসখা-৫১৯০,আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮০৮,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১১)
এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ ও খুলাফায়ে রাশিদিনদের যামানায় মহিলারা
মসজিদে আসতেন,এবং নামাযে শরীক হতেন।যেমন বর্ণিত রয়েছে,উম্মু সালামাহ (রাযি.) হতে
বর্ণিত।
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ
اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ إِذَا سَلَّمَ قَامَ النِّسَاءُ حِينَ يَقْضِي تَسْلِيمَهُ، وَيَمْكُثُ
هُوَ فِي مَقَامِهِ يَسِيرًا قَبْلَ أَنْ يَقُومَ»، قَالَ: نَرَى - وَاللَّهُ أَعْلَمُ
- أَنَّ ذَلِكَ كَانَ لِكَيْ يَنْصَرِفَ النِّسَاءُ، قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَهُنَّ
أَحَدٌ مِنَ الرِّجَالِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাম ফিরাতেন, তখন মহিলারা তাঁর সালাম শেষ
করার পর উঠে যেতেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ানোর পূর্বে স্বীয় স্থানে
কিছুক্ষণ অবস্থান করতেন। রাবী যুহরী (রহ.) বলেন, আমাদের মনে হয়, তা এজন্য যে, অবশ্য আল্লাহ্ ভাল জানেন, যাতে পুরুষদের যাবার পূর্বেই
নারীরা চলে যেতে পারে। (সহীহ বুখারী-শামেলা নুসখা-৮৭০,আধুনিক প্রকাশনীঃ৮২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮২৮)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/586
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ শিক্ষক যদি পুরুষ শিক্ষক হয়ে থাকেন তাহলে ফিতনার
আশঙ্কা না থাকলে মহিলারা তা দেখতে পারবেন। তবে যদি মহিলা হয়ে থাকেন তাহলে পুরুষের
জন্য ঐ শিক্ষিকার চেহারা দেখা জায়েজ হবে না।