ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/42398/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
তালাক এটি খুবই মারাত্মক
একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ
ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ
الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .
কাসীর ইবন উবায়দ .......... ইবন উমার
(রাঃ) নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
হতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ্ তা‘আলার
নিকট নিকৃষ্টতম হালাল বস্তু
হল তালাক। (আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।)
এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়।
হাদীসে এসেছে-
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ”
ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ،
وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে
ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে
ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস
নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস
নং-২১৯৪} হেদায়া ২/৩৮৭) গ্রন্থে আছেঃ
উল্লেখ রয়েছে-
فالصریح
قوله انت طالق ومطلقۃ وطلقتک فهذا يقع الطلاق الرجعي ولا یفتقر الى النيۃ ولا يقع
به الا واحدۃ وان نوی اكثر من ذلك۔
সারমর্মঃ স্পষ্ট
বাক্যে তালাক দিলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়। এক্ষেত্রে নিয়তের দিকে মুহতাজ হতে
হবেনা।
এক্ষেত্রে একের বেশির নিয়ত করলেও এক তালাকই পতিত হবে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/26032/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. উক্ত প্রশ্নের মধ্যে “তালাক দিয়ে দিবো, ছেড়ে দিবো” বলার দ্বারা কোনো তালাক পতিত হবে না।
২. প্রশ্নে উল্লেখিত সুরতে (তালাক বলার দ্বারা) স্ত্রীর উপর
এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে। সে তার ইদ্দত চালাকালিন সময়ের মধ্যেই তাকে মৌখিক ভাবে 'ফিরিয়ে নিলাম' বললেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়ে
যাবে। অথবা তার সাথে স্বামী সুলভ আচরণ করলেও ফিরিয়ে নেয়া হবে।
আর ইদ্দতকাল
অতিবাহিত হওয়ার পর ফিরিয়ে নিতে চাইলে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত
সুরতে যদি স্বামী-স্ত্রী সরূপ আচরণ করে থাকে তাহলে এটা সাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তাই
পেরেশানীর কোনো কারণ নেই। তবে পরবর্তীতে স্বামী আর দুই তালাকের মালিক থাকবে এবং
খুব সতর্ক থাকবে। যাতে করে আর এমন না হয়।