জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো,হারাম টাকায় হজ্ব করলে তাহা কবুল হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ حَاجًّا بِنَفَقَةٍ طَيِّبَةٍ، وَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَنَادَى: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، زَادُكَ حَلَالٌ، وَرَاحِلَتُكَ حَلَالٌ، وَحَجُّكُ مَبْرُورٌ غَيْرُ مَأْزُورٍ، وَإِذَا خَرَجَ بِالنَّفَقَةِ الْخَبِيثَةِ، فَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَنَادَى: لَبَّيْكَ، نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: لَا لَبَّيْكَ وَلَا سَعْدَيْكَ، زَادُكَ حَرَامٌ وَنَفَقَتُكَ حَرَامٌ، وَحَجُّكَ غَيْرُ مَبْرُورٍ»
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন কোন ব্যক্তি হালাল সম্পদ নিয়ে হজ্জ করতে বের হয়। বাহনে পা রাখে। উচ্চারণ করে: লাব্বাইক! আল্লাহুম্মা লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে ঘোষক ঘোষণা দেয়: লাব্বাইক ওয়া সা’দাইক তথা তোমার কল্যাণ হোক। তোমার আসবাব হালাল। তোমার বাহন হালাল। আর তোমার হজ্ব মকবুল।
আর যদি হারাম সম্পদ নিয়ে হজ্বে বের হয়। বাহনে পা রাখে। আর মুখে বলে: লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দেয়: লা লাব্বাইক ওয়া লা সা’দাইক তথা তোমার লাব্বাইক মকবুল নয়। তোমার আসবাব হারাম। তোমার ভরণপোষণের ব্যয় হারাম। তোমার হজ্বও মকবুল নয়। [মু’জামে আওসাত, হাদীস নং-৫২২৮]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
সেই হারাম টাকার আনুমানিক পরিমাণ সাদকাহ করার আগে অন্য হালাল টাকায় আপনারা উমরাহ তে যেতে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
আপনাদের উমরাহ কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।
(০২)
যেহেতু হালাল টাকায় হজ্ব উমরাহ করেছে,সুতরাং সেগুলো কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।
(০৩)
আপনাদের যেসব জিনিস সেই টাকায় ক্রয়কৃত, সেগুলোর ব্যবহার ব্যবহার পরিপূর্ণ হারাম না হলেও আংশিক হারাম।
এখন সেই টাকায় কি কি ক্রয় করা হয়েছে,সেটা নির্ণয় করতে হবে।
(০৪)
তিনি এখন হালাল টাকায় খাবার ভক্ষন করলে,হালাল টাকায় ক্রয়কৃত পোশাক পরিধান করলে সেক্ষেত্রে তার দুয়া ইবাদত কবুল হবে।
দ্রুত হারাম পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিন দের মাঝে দান করার পরামর্শ থাকবে।