আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (5 points)
# Urgent

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

দয়া করে দ্রুত উত্তর দিবেন।

আমার আব্বুর আগের ইনকামে হালালের সাথে কিছু অংশ হারামের মিশ্রণ ছিল। সেটা জোরপূর্বক বা ব্যাংক রিলেটেড না। তবুও হারাম তো হারামই। সে সময় আব্বু জানতো না যে হারাম ইনকামে দোয়া কবুল হয় না। জানার পর সেটা নেওয়া বন্ধ করে এবং সে মন থেকেই অনুতপ্ত এটার জন্য। কিন্তু সেই হারামের আনুমানিক পরিমাণ টাকা এখনও সাদকাহ করা হয় নি। সাদকাহ করার নিয়ত আছে আব্বুর ইন শা আল্লাহ। সেই হারাম টাকা আমাদের একটা জায়গা বিক্রি করে পরিশোধ করতে চাই। কিন্তু এটাতো কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।  আমার প্রশ্ন হচ্ছে -

১. সেই হারাম টাকার আনুমানিক পরিমাণ সাদকাহ করার আগে অন্য হালাল টাকায় আমরা কি উমরাহ তে যেতে পারব যেহেতু জায়গা কবে বিক্রি হবে এটা আমরা জানি না। না কি সেই টাকা সাদকাহ না করে উমরাহ করলে সেটা কবুল হবে না?

২. হারাম হালাল মিশ্রিত হলে যে আনুমানিক একটা পরিমাণ সাদকাহ করে দিতে হয় সেটা আব্বু জানত না। ঠিকভাবে জানার আগেই আব্বু সম্পূর্ণ হালাল টাকায় হজ্জ ও উমরাহ করে। এখন তার হজ্জ উমরাহ এবং তিনি যাদের হজ্জ উমরাহ করিয়েছেন তাদের গুলো কি কবুল হবে?
৩. হারাম অংশ হালালের সাথে এমন ভাবে মিশে গেছে যে সেটার আসল পরিমাণ নির্ণয় একপ্রকার দুঃসাধ্য। সেক্ষেত্রে আনুমানিক পরিমাণ ঠিক না হলে কি পাপ হবে? আর সেই টাকা কিসে খরচ হইছে সেটাও নির্ণয় কঠিন। সেক্ষেত্রে আমাদের যেসব জিনিস এখন আছে যেমন আসবাব পত্র, জামাকাপড় ইত্যাদি এগুলো ব্যবহার কি হারাম হবে আমাদের জন্য?

৪. যেহেতু তিনি অনুতপ্ত তাহলে তার কোনো দুআ কি কবুল হবে না?
আমরা পরিবারের সদস্যরা খুবই পেরেশানিতে আছি এই ব্যাপারটা নিয়ে। আমার পরিবাবের জন্য দুআ করবেন উস্তায যেন আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা আমার আব্বুকে ও আমাদের মাফ করেন।যেন আমরা দ্রুতই এই পাপের বোঝা হতে মুক্ত হতে পারি। আল্লাহ যেন সহজ করেন আমাদের জন্য।

আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো,হারাম টাকায় হজ্ব করলে তাহা কবুল হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ حَاجًّا بِنَفَقَةٍ طَيِّبَةٍ، وَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَنَادَى: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، زَادُكَ حَلَالٌ، وَرَاحِلَتُكَ حَلَالٌ، وَحَجُّكُ مَبْرُورٌ غَيْرُ مَأْزُورٍ، وَإِذَا خَرَجَ بِالنَّفَقَةِ الْخَبِيثَةِ، فَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَنَادَى: لَبَّيْكَ، نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: لَا لَبَّيْكَ وَلَا سَعْدَيْكَ، زَادُكَ حَرَامٌ وَنَفَقَتُكَ حَرَامٌ، وَحَجُّكَ غَيْرُ مَبْرُورٍ»

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন কোন ব্যক্তি হালাল সম্পদ নিয়ে হজ্জ করতে বের হয়। বাহনে পা রাখে। উচ্চারণ করে: লাব্বাইক! আল্লাহুম্মা লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে ঘোষক ঘোষণা দেয়: লাব্বাইক ওয়া সা’দাইক তথা তোমার কল্যাণ হোক। তোমার আসবাব হালাল। তোমার বাহন হালাল। আর তোমার হজ্ব মকবুল।

আর যদি হারাম সম্পদ নিয়ে হজ্বে বের হয়। বাহনে পা রাখে। আর মুখে বলে: লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দেয়: লা লাব্বাইক ওয়া লা সা’দাইক তথা তোমার লাব্বাইক মকবুল নয়। তোমার আসবাব হারাম। তোমার ভরণপোষণের ব্যয় হারাম। তোমার হজ্বও মকবুল নয়। [মু’জামে আওসাত, হাদীস নং-৫২২৮]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
সেই হারাম টাকার আনুমানিক পরিমাণ সাদকাহ করার আগে অন্য হালাল টাকায় আপনারা উমরাহ তে যেতে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

আপনাদের উমরাহ কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০২)
যেহেতু হালাল টাকায় হজ্ব উমরাহ করেছে,সুতরাং সেগুলো কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০৩)
আপনাদের যেসব জিনিস সেই টাকায় ক্রয়কৃত, সেগুলোর ব্যবহার ব্যবহার পরিপূর্ণ হারাম না হলেও আংশিক হারাম।

এখন সেই টাকায় কি কি ক্রয় করা হয়েছে,সেটা নির্ণয় করতে হবে।

(০৪)
তিনি এখন হালাল টাকায় খাবার ভক্ষন করলে,হালাল টাকায় ক্রয়কৃত পোশাক পরিধান করলে সেক্ষেত্রে তার দুয়া ইবাদত কবুল হবে।

দ্রুত হারাম পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিন দের মাঝে দান করার পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...