আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (14 points)
আমি হ্যালোয়িন নিয়ে জানি এটা বির্ধমীদের উৎসব। কোন মুসলমান এটা পালন করতে পারবে না। আমি যে সকল গেম খেলি তখন সে সকল গেম এ হ্যালোয়িন আসলে সেটার ফটো দেয়। এটার কারনে গেম খেললে শিরক হবে না এটা জানি। যেহেতু শিরকি কোন কাজ করিনি।
প্রশ্ন হলো : অনেক সময় গেম এ গাড়ি চালানোর সময় সেই গাড়িতে অথবা গুলিতে হ্যালোয়িন এর ফটো দেয়া থাকে। তাই আমি সেগুলো চালাইনা। তবে ভুলে একবার হ্যালোয়িন এর ফটো যুক্ত গাড়ি বা গুলি ব্যবহার করে ফেলছি। এখন কি আমি  শিরক করে ফেলেছি।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

ইসলাম এ বিষয়ে জোর দেয় যে, মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত এমন কাজে ব্যয় করবে যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের নিশ্চিত কল্যাণ রয়েছে।কমপক্ষে যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি না হয়।এ জন্যই কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,

ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ

যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত। (মু'মিনুন-৩)

اللغو: وهو كل سقط من قول او فعل فيدخل فيه الغناء واللهو و غير ذلك مما قاربه

অর্থাৎ- লাগু ঐ সকল অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ-কর্ম যাতে গান-বাদ্য রং তামাশা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। (কুরতুবি:১৩/৮০)

উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠনের নির্দেশ হয়েছে।

খেলাধুলা ও রং তামাশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।কিন্তু বিনোদন নয়;বরং বললে ভুল হবে না যে,যেই বিনোদনের অর্থ হলো আনন্দ ও খুশি লাভ করা। শরয়ী আনন্দ সম্ভলিত সেই বিনোদন ইসলামে কেবল অনুমোদিতই নয়;বরং এক পর্যায়ে প্রশংসনীয় ও বটে।যাতে করে শারিরিক অলসতা ও অবসাদ কেটে যায় এবং মনোবল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় আর মানুষ প্রফুল্লতার সাথে জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগী হতে পারে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/673  

 

ছবি ভিডিও হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2253

মোবাইলে গেম খেলার শরয়ী বিধানঃ 

এসবগুলোর মাঝে অনেক হারাম জিনিস জড়িত। বর্তমান স্মার্টফোন,কম্পিউটারের বেশিরভাগ গেমসে আছে প্রাণীর ছবি। এছাড়াও অনেক সময় এই গেমসগুলোতে আরো অনেক মন্দ ও গোনাহর বিষয় যুক্ত থাকে।

যেমন, ১. মিউজিক, গান, বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র।

 ২. বেপর্দা নারীদের নগ্ন ও অশ্লীল ছবি।

৩. কাফেরদেরকে সম্মান করা, তাদের নষ্ট সংস্কৃতিকে প্রচার করে মুসলিম শিশু-কিশোর ও যুবসমাজকে ধ্বংস করা।

৪.কাফেরদের ধর্মীয় শিরকি-কুফুরী বিশ্বাস ও কাফেরদের চিহ্নকে কৌশলে মুসলিমদের মাঝে প্রচার করাসহ আরো বহু মন্দ-বিষয় এসব গেমসে থাকে। সর্বোপরি মোবাইলে গেমস খেলা মানে নিজের অমূল্য সম্পদ সময়কে অপচয় করা এবং অল্প থেকে ধীরে ধীরে এটা নেশায় পরিণত হওয়া। 

সুতরাং একজন মুসলিম হিসাবে এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

আবু হুরাইরা রাযি. বলেন , রাসূল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيه একজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল যে, তার জন্য জরুরী নয় এমন কাজ সে ত্যাগ করে। (জামে তিরমিযী ২২৩৯)

অনলাইনে গেইম খেলা,এতে কোনো ফায়দা নেই। অযথা কালক্ষেপণ করা ছাড়া তাতে আর কিছুই নেই। সুতরাং এমন খেলার অনুমোদন শরীয়তে নেই। এবং অর্জিত টাকা ব্যবহারও জায়েয হবে না। বরং সদকাহ করে দিতে হবে।

গেম খেলার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা জায়েজ নয়। বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/4701/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রথমত আপনার উপর আবশ্যক হলো মোবাইলে গেইম খেলাই পরিত্যাগ করা। কারণ, হাদীসে যতটি খেলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সবকটির বাহ্যিক ফায়দা রয়েছে। কিন্তু উক্ত খেলার মধ্যে বাহ্যিক কোন ফায়দা নেই বিধায় তা জায়েয হবে না। তবে হ্যা! যদিও বা উক্ত গেম খেলা জায়েয নেই, কিন্তু হ্যালোয়িন এর ফটো যুক্ত গাড়ি বা গুলি ব্যবহার করলে শিরক হবে না। বরং গুনাহ কবীরা গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...