ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
ইসলাম এ বিষয়ে
জোর দেয় যে, মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত এমন কাজে ব্যয় করবে যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের নিশ্চিত
কল্যাণ রয়েছে।কমপক্ষে যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি না হয়।এ জন্যই কোরআনে কারীমে
মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ
ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক
কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত। (মু'মিনুন-৩)
اللغو:
وهو كل سقط من قول او فعل فيدخل فيه الغناء واللهو و غير ذلك مما قاربه
অর্থাৎ- লাগু
ঐ সকল অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ-কর্ম যাতে গান-বাদ্য রং তামাশা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত
রয়েছে। (কুরতুবি:১৩/৮০)
উল্লেখিত আয়াত
ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠনের
নির্দেশ হয়েছে।
খেলাধুলা ও
রং তামাশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।কিন্তু বিনোদন নয়;বরং বললে ভুল হবে না যে,যেই বিনোদনের অর্থ হলো আনন্দ ও খুশি লাভ করা। শরয়ী
আনন্দ সম্ভলিত সেই বিনোদন ইসলামে কেবল অনুমোদিতই নয়;বরং এক পর্যায়ে প্রশংসনীয় ও বটে।যাতে করে শারিরিক
অলসতা ও অবসাদ কেটে যায় এবং মনোবল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় আর মানুষ প্রফুল্লতার সাথে
জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগী হতে পারে।
বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/673
ছবি ভিডিও
হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2253
★মোবাইলে গেম খেলার শরয়ী বিধানঃ
এসবগুলোর মাঝে
অনেক হারাম জিনিস জড়িত। বর্তমান স্মার্টফোন,কম্পিউটারের বেশিরভাগ গেমসে আছে প্রাণীর ছবি। এছাড়াও
অনেক সময় এই গেমসগুলোতে আরো অনেক মন্দ ও গোনাহর বিষয় যুক্ত থাকে।
যেমন,
১. মিউজিক,
গান,
বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র।
২. বেপর্দা নারীদের নগ্ন ও অশ্লীল ছবি।
৩. কাফেরদেরকে
সম্মান করা, তাদের নষ্ট সংস্কৃতিকে প্রচার করে মুসলিম শিশু-কিশোর ও যুবসমাজকে ধ্বংস করা।
৪.কাফেরদের
ধর্মীয় শিরকি-কুফুরী বিশ্বাস ও কাফেরদের চিহ্নকে কৌশলে মুসলিমদের মাঝে প্রচার করাসহ
আরো বহু মন্দ-বিষয় এসব গেমসে থাকে। সর্বোপরি মোবাইলে গেমস খেলা মানে নিজের অমূল্য সম্পদ
সময়কে অপচয় করা এবং অল্প থেকে ধীরে ধীরে এটা নেশায় পরিণত হওয়া।
সুতরাং একজন
মুসলিম হিসাবে এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আবু হুরাইরা
রাযি. বলেন , রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন , من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيه একজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল যে,
তার জন্য জরুরী নয় এমন কাজ সে ত্যাগ
করে। (জামে তিরমিযী ২২৩৯)
★অনলাইনে গেইম খেলা,এতে কোনো ফায়দা নেই। অযথা কালক্ষেপণ করা ছাড়া তাতে
আর কিছুই নেই। সুতরাং এমন খেলার অনুমোদন শরীয়তে নেই।
এবং অর্জিত টাকা ব্যবহারও জায়েয হবে
না। বরং সদকাহ করে দিতে হবে।
গেম খেলার
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা জায়েজ নয়। বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/4701/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রথমত আপনার উপর আবশ্যক
হলো মোবাইলে গেইম খেলাই পরিত্যাগ করা। কারণ, হাদীসে যতটি খেলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে,
সবকটির বাহ্যিক ফায়দা রয়েছে।
কিন্তু উক্ত খেলার মধ্যে বাহ্যিক কোন ফায়দা নেই বিধায় তা জায়েয হবে না। তবে হ্যা! যদিও বা উক্ত গেম খেলা জায়েয নেই, কিন্তু হ্যালোয়িন এর ফটো যুক্ত গাড়ি বা গুলি ব্যবহার করলে শিরক হবে না। বরং গুনাহ কবীরা গুনাহ হবে।