জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
পবিত্রতা (অযু/গোসল) ব্যতীত নামাজ কবুল হবে নাঃ
عَنْ اَبِى الْمَلِيْحِ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلَا صَدَقَةً مِنْ غُلُوْلٍ
– অর্থঃ হযরত আবূ মালিহ তাঁর পিতা (উসামা রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করবেন না এবং অবৈধ সম্পদের সাদকাও কবুল করবেন না। (সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-০৬)
অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।
আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে, তাহলে দেখতে হবে যদি উক্ত তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাঁধা ও আবরণবিশিষ্ট হয়, তাহলে পবিত্রতা অর্জনের পূর্বে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাঁধা অবস্থায় থেকে যায়, তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে করে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না।
কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা : ১৭৪)
★সাধারন তৈল,যেখানে শরীরে আবরন পড়েনা,এগুলো লাগানোর ছুরতে অযু,গোসল হয়ে যাবে।
তবে এই অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দেওয়া উচিত। যেন যথাস্থানে পানি পৌঁছতে সন্দেহ না থাকে।
,
আর বডি বাটার, লোশন, গ্লিসারিন, ইত্যাদি ব্যবহার করে,শরীরে আবরন না পড়ে,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
তবে যদি শরীরে আবরন পড়ে,তাহলে এগুলো লাগানোর ছুরতে অযু,গোসল হবেনা।
তবে এই অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দিতে হবে। যেন যথাস্থানে সঠিক ভাবে পানি পৌঁছতে পারে।
বিস্তারিত জানুনঃ
অযু ও গোসলের ক্ষেত্রে চোখের পশম বা পাপড়িতে পানি পৌঁছা ওয়াজিব। যেহেতু এটি চেহারার গণ্ডিতে রয়েছে; যা ধৌত করার আদেশ এসেছে। অনুরূপভাবে চোখের ভ্রূ, গালের পশম, মোচ ও দাড়ি ধৌত করতেও আদিষ্ট।
আর-রওদুল মুরবি গ্রন্থে বলা হয়েছে, চেহারাতে বিদ্যমান হালকা চুল যার নীচ দিয়ে চামড়া দেখা যায় তা ধৌত করবে। যেমন: চোখের পশম, মোচ ও নিম দাড়ি। কেননা সেগুলো চেহারার অন্তর্ভুক্ত। [আল-মাজমু : ১/৩৭৬; মাওয়াহিবুল জালিল : ১/১৮৫)]
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে যদি আইলিনার ব্যবহার করার দরুন চোখের পাপড়িতে পানি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত না করে তাহলে অজু শুদ্ধ।
আর যদি পানি পোঁছার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করে, তাহলে অজু ও গোসল করার আগে আইলিনার অপসারণ করা ওয়াজিব। কেননা অজু-গোসল শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো যা কিছু অজুর অঙ্গে পানি পৌঁছাকে বাধাগ্রস্ত করে সেটাকে অপসারণ করা।
ইমাম নববী বলেন, যদি কোন অঙ্গের কোন অংশে মোম, আঠা কিংবা মেহেদি এ জাতীয় কিছু লেগে থাকে; যা অঙ্গটির কিছু অংশে পানি পৌঁছাকে বাধাগ্রস্ত করে তার পবিত্রতা অর্জন সহিহ হবে না; চাই সেটি পরিমাণে বেশি হোক কিংবা কম হোক। (আল-মাজমু : ১/৪৯২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত আইলিনার ওয়াটারপ্রুফ হয়ে থাকলে ঐ নামাজ গুলি সহীহ হয়নি।
পুনরায় আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে উক্ত আইলিনার ওয়াটারপ্রুফ কিনা,জানার জনু সংশ্লিষ্ট বিষয়্র বিজ্ঞ দের থেকে জেনে নিবেন।
জেনে নেয়া সম্ভব না হলে সতর্কতামূলক সেই নামাজ গুলির কাজা আদায় করে নিবেন।
(০২)
সেই বোন থেকে জেনে নিতে হবে যে ঐ জিনিসগুলো তার হাসবেন্ড এর ব্যাংকের বেতনের টাকায় কেনা?
নাকি তার বাবার বা অন্য কাহারো টাকায় কেনা?
যদি তার স্বামীর ব্যাংকের বেতনের টাকায় কেনা না হয়,সেক্ষেত্রে ঐ জিনিসগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
আর যদি তার স্বামীর ব্যাংকের বেতনের টাকায় কেনা হয়,সেক্ষেত্রে ও-ই জিনিসগুলো কোনো গরিবকে দিয়ে দিবেন।