আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)

আসসালামু-আলাইকুম,
পারিবারিক ভাবে ২০১৩ সালের জুলাই মাসের ৫ তারিখ আমার বিয়ে হয়। আমার বাবা নেই মা এবং আত্নীয়রা মিলে আমার বিয়ে দেন।স্বামী প্রবাসী ছিলেন।ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে থাকা কালীন আমার বিয়ে হয় তাই, পড়াশোনার জন্য এবং তার বাসায় আমি থাকার মতো ব্যবস্থা না থাকার কারনে আমি আমার মায়ের বাসায়ই থাকতাম বিয়ের পর স্বামী সহকারে।সে প্রবাসে ফেরত চলে যাবে তাই তারা বাসায় আমাকে পার্মানেন্ট নিবে না যতদিন না আমার থাকার সুব্যবস্থা না হয়। বিয়ের ১ মাস পর তার কিছু দোষ জনিত সমস্যার কারনে তার সাথে আমার প্রচন্ড মনো মালিন্য হয় যার কারনে আমার পরিবার আর আমি তার সেই সমস্যার কথা তার পপরিবারকে জানাবো বলে সিদ্ধান্ত নেই। তবে সে আর কখনো সে কাজ করবে না বলে আমাকে র আমার পরিবারকে ওয়াদা করে একটা সুযোগ দিতে বলে যে সে ভালো হয়ে যাবে। আমি সুযোগ দিয়ে সংসার কন্টিনিউ করি। বিয়ের চার মাস পর প্রবাসে ফেরত যায়। আমি শশুর বাড়ি এবং মায়ের বাড়ি দুইদিকেই মিলিয়ে থাকতাম। সে প্রবাসে থাকা কালীন আবার বুঝতে পারি তার সাথে যেই জিনিস নিয়ে আমার সমস্যা হয়েছিলো সেটা সে পুনরায় করে এবং আমার কাছে স্বীকার করে। সেই থেকে তার সাথে ধীরে ধীরে আমার সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এরপর সে ২০১৬ সালে  প্রবাস থেকে ফেরত আসলেও আমাদের সম্পর্ক খুব একটা উন্নতি হয় নি। সে আসার কিছুদিন পর আমি প্রেগন্যান্ট হই। প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে তার সাথে আমার সম্পর্ক আরো খারাপ হয়ে যায়। এরপর থেকে সে তার বাবার বাসায় থাকতো আর আমি আমার মায়ের বাসায় থাকতাম।বাচ্চা হওয়ার বছর খানেক পর আমাদের সম্পর্কের সমস্যার  আরও বেড়ে যায় এবং আমারসহ বাচ্চার ভরনপোষণ না দেওয়ার  ফলে ডিভোর্সের উদ্দেশ্যে পারিবারিক বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে  সে তার দোষ স্বীকার করে এবং শেষ সুযোগ চায় যার বিনিময়ে আমাদের মিল করিয়ে দেয় মুরব্বিরা মিলে। এরপর আবার সে প্রবাসে ফিরে যায়। পরবর্তীতে আমাদের মধ্য কার মমনোমালিন্য এবং ঝামেলা আরও বিরাট আকার ধারণ করে যার ফলে  ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর পারিবারিক ভাবে আমাদের খোলা তালাক হয়। তালাক দেয়া কালীন সময়ে সে প্রবাসে ছিলো,তাই সে তার পক্ষের মুরব্বি,বাবা-মা এবং আমার পক্ষের মুরব্বি মা সহ যেই কাজি দিয়ে বিয়ে হয়েছিল সেই কাজির মাধ্যমে আমার সিগনেচার এবং মৌখিক তালাকের নিয়ম কানুন স্বরুপ বয়ানের মাধ্যমে খোলা তালাক সম্পন্ন হয়।  ডিভোর্সের উল্লেখ তবে সে ঐ মুহূর্তে আমাকে  এটা বলে নাই যে, আমি তোমাকে তালাক দিলাম। এর আগে আমাকে বলছে আমকে চলে যেতে মেয়ে নিয়ে।মানে ডিরেক্ট এটা বলে নাই আমি তোমাকে ছেড়ে দিলাম বা তালাক দিলাম তবে তালাকের জন্য আইনগত যা যা নিয়ম পালন করতে হয় সেসব করেছে। আমার কাবিননামার উল্লেখ্য মোহরানা এবং ইদ্দতকালীন খরপোষ সে দেয় নি।কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলামে আমাকে ডিভোর্সের অধিকার দেয়া হয়েছে, তবে যেহেতু তালাকের সময় সে উপস্থিত ছিলো না  সেহেতু ধর্মীয় ভাবে আমাদের এই ডিভোর্স টা কি হয়েছে?
 ডিভোর্সের পর ইদ্দত কালিন সময় পার করা ব্যাতিত আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি। ডিভোর্সের পর আমার সন্তান আমার কাছেই রেখেছি যেহেতু আমার বাবা নেই আমি এবং আমার সন্তানের ভরনপোষণ দেয়ার কেউ ছিলো না। যার সাথে আমার বিয়ে হয় সে আমার পূর্ব পরিচিত এবং  সে আমার সার্বিক সব কিছু জেনেই আমার সন্তান সহ আমাকে বিয়ে করে। ২০২২ সালের ৩০ই ডিসেম্বর  আমার  পরিবার সহ বিয়ে হয় তবে আমার বর্তমান স্বামীর পরিবার তখন জানতো না বিয়ের কথা। বিয়ের ৪/৫ মাস পর আমার স্বামী তার পরিবারকে  জানিয়েছে । উল্লেখ্য ২০১৬ সালে আমি প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে ডিভোর্স পর্যন্ত  আমার প্রথম স্বামীর সাথে শারীরিক কোন সম্পর্ক ছিলো না যেহেতু সে পুনরায়  প্রবাসে চলে গিয়েছিলো।তাই ইদ্দতকালীন তিন মাস সময় অপেক্ষা করা বাধ্যতামূলক তা আমি বা আমার পরিবার জানতাম না।

এখন আমি জানতে চাই আমার দ্বিতীয় বিয়েটা কি সহীহ হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে এখন আমার করণীয় কি আমার বিয়ের এখন প্রায় দুইবছর চলছে।
 প্রথম বিয়ে : ০৫-০৭ ২০১৩ ইং
ডিভোর্স : ২১-১২-২০২২

পরবর্তী বিয়ে : ৩০-১২- ২০২২ইং।

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...