আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
closed by
১।অন্যন্য ধর্মের মানুষ ও জিনদের  সকল  বিষয় মনে মনে ভাবা এবং তাদের সকল কাজ কর্ম তাদের  কথা বা বিশ্বাস ও তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ যদিও শিরক হোক বা না হোক কুফরি হোক বা না হোক। তবে ইসলামে যা বৈধ আছে তা করা যাবে।  তাদের থেকে দূরে থাকা উত্তম যদিও জায়েজ কাজ হয় কারন অনেক সময় জানি না যে কোনটা করা বৈধ আবার কোনটা হারাম আর কোনটা শিরক কুফরি । এ আকিদা সঠিক কিনা?

২।আল্লাহ পাক এমন রাজ্জাক যে উনি সবাইকে ভরপুর  রিজিক দিতে সক্ষম,উনার অফুরন্ত ভান্ডার কখনো  ফুরাবেনা।  মাঝে মাঝে  মাঝে উনি উনার সৃষ্টিকে রিজিক না দেন তা কষ্টের নেয়ামত এ আকিদা সঠিক কিনা?

৩।আল্লাহ পাক সকল কিছুর শ্রষ্টা উনার সমকক্ষ তো ধুরে থাক উনার ধারে কাছেও কেউ নেই। উনি যা চান তাই করতে পারেন এ আকিদা সঠিক কিনা?

৪।কোনো কাজ করতে গেলে  যদি মনে হয় যে ইমানে সমস্যা হতে পারে সে কাজ থেকে বিরত থেকে কোনো মুফতি সাহেব থেকে জেনে নিয়ে সে কাজ যদি বৈধ হয় করবো না হয় করবো না এ আকিদা সঠিক কিনা?

৫।যদি মনে হয় বা প্রবল ধারণা হয়   কোনো কথা, কাজ বা মনের চিন্তা ভাবনা, বিশ্বাস ইমান চলে যেতে সে সকল জিনিস থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ কি?


৬।আল্লাহ পাক এবং  উনার হাবিব রাসুল সাঃ কে কেউ অপমান করলে কি সাজা হবে  সাজা কে দিবে আর আমাদের করনীয় কি?
closed

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
উক্ত আকীদা সহীহ।

(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ وَ یَقۡدِرُ لَهٗ ؕ وَ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَهُوَ یُخۡلِفُهٗ ۚ وَ هُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ ﴿۳۹﴾
বল, ‘নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিযকদাতা।’ 
(সুরা সাবা ৩৯)


اَللّٰهُ لَطِیۡفٌۢ بِعِبَادِهٖ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ هُوَ الۡقَوِیُّ الۡعَزِیۡزُ ﴿۱۹﴾
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিয্ক দান করেন। আর তিনি মহাশক্তিধর, মহাপরাক্রমশালী। 
(সুরা আশ শুয়ারা ১৯)


যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কিছু দেয়, তবে তার এই দেওয়াটা হয় আল্লাহ তাআলার তাওফীক, প্রয়াস ও সুমতিদান এবং তার লিখিত ভাগ্যের ফল। প্রকৃতপক্ষে দানকারী কারো রুযীদাতা নয়। যেমন পিতাকে সন্তানদের বা বাদশাহকে তাঁর সৈন্যদের দায়িত্বশীল বা মালিক বলা হয়। আসলে রাজা-প্রজা ছোট-বড় সকলের রুযীদাতা প্রকৃতপক্ষে সেই আল্লাহ তাআলাই, যিনি সকলের সৃষ্টিকর্তা। অতএব যে ব্যক্তি তার ধন থেকে কাউকে কিছু দান করে, সে আসলে ঐ ধন খরচ করে, যা তাকে আল্লাহ তাআলাই প্রদান করেছেন। সুতরাং প্রকৃতপক্ষে রুযীদাতা আল্লাহই হলেন। তারপরেও তাঁর অতিরিক্ত অনুগ্রহ এই যে, তাঁর দেওয়া ধন তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী খরচ করলে তিনি তার বিনিময় ও নেকীও প্রদান করেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার আকীদা সহীহ। 
তবে মাঝে মাঝে তার সৃষ্টিজীবকে রিযিক না দেয়ার কারন হলো পরীক্ষা।

তিনি মূলত বান্দার পরীক্ষা নিতে চান।

যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ لَنَبۡلُوَنَّکُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۵۵﴾ۙ 

আর আমি তোমাদেরকে অবশ্যই পরিক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদেরকে।
(সুরা বাকারা ১৫৫)

মানুষের ঈমান অনুসারেই আল্লাহ্ তা'আলা মানুষকে পরীক্ষা করে থাকেন। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সবচেয়ে বেশী পরীক্ষা, বিপদাপদ-বালা মুসিবত নবীদেরকে প্রদান করেন। তারপর যারা তাদের পরের লোক, তারপর যারা এর পরের লোক, তারপর যারা এর পরের লোক।” [মুসনাদে আহমাদ: ৬/৩৬৯] 

অর্থাৎ প্রত্যেকের ঈমান অনুসারেই তাদের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তবে পরীক্ষা যেন কেউ আল্লাহর কাছে কামনা না করে। বরং সর্বদা আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা কামনা করাই মুমিনের কাজ।

(০৩)
উক্ত আকীদা সহীহ।

(০৪)
উক্ত আকীদা সহীহ।

(০৫)
হ্যাঁ, সে সকল জিনিস থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ। 

(০৬)
আল্লাহ পাক এবং উনার হাবিব রাসুল সাঃ কে কেউ গালি দিলে, ধৃষ্টতা মূলক কথা বললে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
এটা রাষ্ট্র কার্যকর করবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...