ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) নামাযে যদি সন্দেহ হয় যে, মিসওয়াকের আঁশ মুখে লেগে ছিলো, সেটা নামাযরত অবস্থায় গলা দিয়ে ঢুকেছে কি না? এমন সন্দেহের কারণে নামাযকে দোহরাতে হবে না।
(২) নামাজরত অবস্থায় ছোট বাচ্চা বারবার কাপড় টানাটাবি করলে, যদি ফাতিহা এবং অন্য সুরা তিলাওয়াত করতে করতে ৪/৫ বার মতো তাকে হাত দিয়ে সরিয়ে দেয়ার প্রয়োজনিয়তা হয়, তাহলে এতেকরে নামাযের কোনো ক্ষতি হবেনা।
অনুরূপ, তাশাহহুদ দুরুদ পাঠকালেও যদি হয়, তাহলেও কোনো সমস্যা হবে না ।
(৩) ১ম বা ২য় রাকাতের সিজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে, সেই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ৩য় বা ৪র্থ রাকাতে ৩ টা সিজদা দিলে হবে না। বরং চিন্তাভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছার চেষ্টা করতে হবে।যদি পৌছা সম্ভব না হয়, তাহলে তাহলে নামাযকে দোহড়িয়ে নেয়াই উত্তম হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1797
(৪) হায়েজ শেষ হবার পর ফরজ গোসলের আগে সহবাস করা জায়েয হবে না।
(৫)নাবালেগ সন্তানের উপহার পাওয়া অর্থ থেকে পিতামাতা নিজ ইচ্ছায় সাদাকাহ করতে পারবেন না, বরং সন্তানের অনুমতি নিতে হবে।
(৬)নাবালেগ সন্তানের উপহার পাওয়া সম্পদ থেকে ধার দেওয়া বা নেওয়া, পিতাপাতার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা, সন্তানের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।
(৭) সন্দেহের উপর কোনো হুকুম বাস্তবায়িত হয় না।
(৮) রোজা অবস্থায় এরূপ ঘটলেও রোযা ভঙ্গ হবে না।
(৯) মহিলার ফরজ গোসলের পর পর যদি পিচ্ছিল কিছু সামনের রাস্তায় নির্গত হবার আলামত পাওয়া যায়। যদি সেটা রক্তস্রাব হয়, তাহলে তো আবার গোসল করতে হবে। নতুবা আবার গোসলের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।