আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাজ,

আমি কয়েকটি স্বপ্নের ব্যখ্যা জানতে চাচ্ছি :
১. আমি একদিন স্বপ্নে দেখি, আমার এক আপন মামা আমাকে একটা মসজিদের সামনে নিয়ে যায়, তারপর আমি মসজিদে ঢুকি এবং দেখি সেখানে হাজার হাজার মহিলা একই কাপড়ে হিজাব পরিহিত অবস্থায় একই কাতারে সলাত আদায় করছে। আমি বোধহয় ওজু করার জন্য ওজুর স্থানে যাই।

তারপর সেখান থেকে কোনো একটা কারনে বের হয়ে যাই এবং আমাকে আরেকটা মসজিদের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়; সেখানেও অনেক মহিলা একই কাতারে সলাত এর জন্য দাঁড়ানো। সবাই সেইম কাপড় পড়া ও হিজাব পরিহিত। আমি সেখানে যাই এবং তাদের সাথে যুক্ত হই তারপর আর মনে নেই।

(এমন স্বপ্ন আমি ২ বার দেখেছি)

২. আমি স্বপ্নে দেখি আমি আর আমার আম্মু একটা গ্রামের রাস্তায় হাঁটছি, মাঝপথে একটা ছোট দোকান দেখি যেখান থেকে হজের প্রয়োজনীয় কিছু নেয়া লাগবে এমন (সঠিক মনে নেই আল্লাহ মাফ করুক) আমি আর আম্মু কিছু একটা নিচ্ছি (সম্ভবত তজবি/ জায়-নামাজ আল্লাহ মাফ করুক ভুল হলে) তারপর আমার সাথে আম্মুর একটু ঝগড়া হয় পরে আবার ঠিক হয়ে যায়, আমরা হাঁটতে হাঁটতে একটা জায়গায় যেয়ে পৌঁছাই এবং আমার সেই আপন মামাকে দেখি আমাদের একটা জায়গায় নিয়ে যেয়ে বসতে বলে। জায়গাটা মসজিদ আল হারাম এর এক কোণায় ছিলো সুবহান-আল্লাহ। আমি আর আম্মু কয়েকজন মহিলার সাথে বসি। মনে তখন এক অজানা প্রশান্তি কাজ করছিলো।  আমাকে সেই মামা ওজু করার জায়গা খুঁজে দেন এবং আমি ওজু করতে যাই। কাবা শরীফ দেখেছি কিনা তা মনে নেই কিন্তু এইটা সিউর ছিলাম যে ওইটা মসজিদ আল হারাম এর একটা কোণা ছিলো। (বলতে ভুলে গিয়েছি, সেখানে যেতে আমার আর আমার আম্মুকে চুল কাঁটতে দেখেছি)

(চুল ফেলে দেয়া অথবা চুল কাঁটার স্বপ্ন আরো ১-২ বার দেখেছি, মনে প্রশান্তি ছিলো)
৩. আমি একদিন দেখেছি আমি আমার রুমে একটা ঘোড়া পালছি, সাদা ঘোড়া,  সেটাকে আমার সাথে নিয়ে ঘুমাচ্ছি, যত্ন নিচ্ছি। কেউ যেনো নাহ দেখতে পারে তাই লুকিয়ে লুকিয়ে ঘোড়াটি পেলেছি।
আরেকদিন দেখেছি আমার বাসার বারান্দায় আমি ২ টা ঘোড়া পালছি। এমন ঘোড়া নিয়ে স্বপ্ন ৩ বার দেখেছি।

৪. আজ সকালে আমি স্বপ্ন দেখেছি, আমাদের বাসার সামনে একটা ছোট গাছ হয়েছে অথবা লাগানো হয়েছে। (আমাদের বাসার সামনে কোনো গাছ নেই কিন্তু আমার অনেক আশা যে বাসার চতুর্পাশে অনেক গাছ থাকবে) আমি স্বপ্নেই প্রত্যেক দিন খেয়াল রাখছি গাছ টি বড় হবে। আবার মনে এই ভয় ও কাজ করছিলো যে কেউ না আবার ছিড়ে ফেলে গাছটি। পরে দেখি যে, গাছটি বড় হয়ে আমাদের বাসার বারান্দা ছুঁয়েছে।  আমার খুশি দেখে কে। পুরো বাসা ছায়া করে রেখেছে গাছটি। পরে আমার ইচ্ছা হলো আশে পাশে আরো গাছ লাগাবো আমি। আম্মুকে আমি বলি যে, এই গাছটা যেন কেউ নাহ কাঁটে। এই একটা ভয় ছিলো যে কেউ নাহ আবার কেটে ফেলে। তবে গাছটি যে বড় হয়ে আমাদের বাসা ছুঁয়েছে এতে আমি অনেক খুশি ছিলাম। (গাছ নিয়ে স্বপ্ন এই নিয়ে ২-৩ বার দেখেছি)

1 Answer

0 votes
ago by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: (الرُّؤْيَا ثَلاثٌ : فَبُشْرَى مِنَ اللَّهِ ، وَحَدِيثُ النَّفْسِ ، وَتَخْوِيفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا تُعْجِبُهُ فَلْيَقُصَّ إِنْ شَاءَ وَإِنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلا يَقُصَّهُ عَلَى أَحَدٍ وَلْيَقُمْ يُصَلِّي ) 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বপ্ন তিনি প্রকার। (১) আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, (২) বান্দার মনের খেয়াল এবং (৩)শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে নামায পড়ে।( সহীহ বুখারী-৭০১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সবগুলো স্বপ্নতেই কল্যাণজনক ইঙ্গিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।আল্লাহ কবুল করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...