আমার পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম আছে, ইররেগুলার ও এবনর্মাল পিরিয়ড হয় এজন্য মাঝেমধ্যে।
অক্টোবর মাসে ৭ তারিখ যোহর থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত ব্লাড গেছে,১৬ যোহর থেকে ২০ কে ইস্তিহাযা ধরে নামায পড়ছি।
২৫ তারিখ এশা থেকে আবার ব্লিডিং স্টার্ট হয়ছে, হায়েজ শেষ হওয়ার ১৫ দিন না হওয়ায় নামায কন্টিনিউ করছি।
হিসাবমতে যদি ১৬ তারিখ যোহরে আমার ১০ দিন ১০ রাত পূর্ণ হওয়ায় হায়েজ হয়,
১৫ দিন কমপ্লিট হচ্ছে তবে নভেম্বরের ১ তারিখে যোহরের আগে। তাই এখন আমি ফজর পড়লাম,যোহর থেকে আর পড়ব না ইন শা আল্লাহ।
১। হিসাব ঠিকঠাক আছে কিনা আমায় একটু কনফার্ম করবেন প্লিজ
২। ২৫ থেকে যে এখন পর্যন্ত ব্লিডিং হচ্ছে,এটা এক্সসেসিভ ব্লিডিং, পিরিয়ডের সময়-ও এতো ব্লিডিং হয় না এবার আমি যত ব্লিডিং এক্সপিরিয়েন্স করতেছি,এই ব্লিডিং নিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামায পড়া খুবই কষ্টকর অভিজ্ঞতা ছিল, কারণ ব্লিডিং এর পাশাপাশি মাঝেমধ্যে পেটব্যথা ছিল আর দূর্বলতা তো আছেই।
এর কি কোনো সল্যুশন নেই? আল্লাহ তাআলা পিরিয়ডের সময় কেন নামায মাফ করেছেন আমার এই অসুস্থতার সময়ে আমি ভালো বুঝতে পারি।
আমার প্রশ্ন হলো,এই যে যাদের পিরিয়ড রিলেটেড প্রব্লেম আছে, সাইকেল হঠাৎ ছোট হয়ে ৫-৬ দিন না যেতেই পিরিয়ড হয়ে যাচ্ছে,তাদের হাতে তো কোনো অপশন নেই,আমরা আগে থেকে বুঝতেও পারি না কখন কী হবে আসলে,আদৌ এ মাসে পিরিয়ড হবে না কি, যদি হয় কবে থামবে - এমন ক্ষেত্রে ১৫ দিন ইস্তিহাযা ধরে হেভি ব্লিডিং নিয়ে নামায আদায় তো খুবই কষ্টকর বিষয় হয়ে যায়,এর কোনো সমাধান আছে কি?
৩। এক্সসেসিভ ব্লিডিং এর সময়টায় দূর্বল হয়ে যাচ্ছি,অনেক বেশি মুড সুয়িং হচ্ছে,মেজাজ খারাপ থাকছে,সব মিলিয়ে গতকাল ডাক্তার দেখিয়েছি সরকারি মেডিকেলে, অতিরিক্ত ব্লিডিং বন্ধের জন্য ৩ দিন ৩ বেলার ঔষধ দিয়েছে, সাথে ৬ মাসের ঔষধ দিয়েছে পিরিয়ড রেগুলেট করতে।
৩ দিন ৩ বেলার যেটা দিয়েছে,আল্লাহ চাইলে ৩দিনের মধ্যে যেকোনো সময় আমার রক্ত আসা অফ হতে পারে।
আমি গতকাল রাত অর্থাৎ ৩১ তারিখ রাত থেকে এটা খাওয়া শুরু করেছি। এদিকে ১ তারিখ যোহর থেকে আমার পিরিয়ডের হিসাব শুরু হবে,নামায অফ রাখব।
এখন যদি ৩ তারিখের আগেই ব্লিডিং অফ হয়ে যায়,আর আমার পিরিয়ডের ৩দিন ৩ রাত কমপ্লিট না হয়,আমি কি এটাকে পিরিয়ড ধরব না? (আমার সাধারণত ১০দিন থাকে পিরিয়ড)
এই ব্যাপারটাতে মাসআলা জানতে চাচ্ছি।
এভাবে নামায সহ সকল ইবাদত,দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজগুলোতেও অনেক কষ্ট হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম সারাজীবনেও ঠিক হয় না,মেইনটেইন করে চলতে হয় খাবার ঘুম ইত্যাদি একটু হেরফের হলেও প্রব্লেম হতে পারে, নাও-ও হতে পারে,আবার হেরফের না করলেও প্রব্লেম হতে পারে। এর মেডিসিনগুলোর-ও বেশ সাইড ইফেক্ট। বর্তমানে বেশিরভাগ মেয়ের এই সিন্ড্রোম আছে। তবুও কেন যেন এটা নর্মালাইজ না,মানুষ ভাবে কী না কী। এটা নিয়েও শঙ্কায় আছি,ডাক্তার কিন্তু বলে না যে মা হওয়া যাবে না,এটার গ্যারান্টি দিয়ে বলে না,অথচ মানুষ শুনলেই ভাবে বন্ধ্যা, কী অদ্ভুত জ্ঞানের অভাব আমাদের। আর এর প্রোপার ট্রিটমেন্ট অনেক ব্যয়সাপেক্ষ।
দুআর দরখাস্ত যেন আল্লাহ তাআলা সুস্থ করে দেন, তিনি হও বললেই হয়ে যায়।