আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (106 points)
আমার পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম আছে, ইররেগুলার ও এবনর্মাল পিরিয়ড হয় এজন্য মাঝেমধ্যে।
অক্টোবর মাসে ৭ তারিখ যোহর  থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত ব্লাড গেছে,১৬ যোহর থেকে ২০ কে ইস্তিহাযা ধরে নামায পড়ছি।

২৫ তারিখ এশা থেকে আবার ব্লিডিং স্টার্ট হয়ছে, হায়েজ শেষ হওয়ার ১৫ দিন না হওয়ায় নামায কন্টিনিউ করছি।

হিসাবমতে যদি ১৬ তারিখ যোহরে আমার ১০ দিন ১০ রাত পূর্ণ হওয়ায় হায়েজ হয়,

১৫ দিন কমপ্লিট হচ্ছে তবে নভেম্বরের ১ তারিখে যোহরের আগে। তাই এখন আমি ফজর পড়লাম,যোহর থেকে আর পড়ব না ইন শা আল্লাহ।
১। হিসাব ঠিকঠাক আছে কিনা আমায় একটু কনফার্ম করবেন প্লিজ

২। ২৫ থেকে যে এখন পর্যন্ত ব্লিডিং হচ্ছে,এটা এক্সসেসিভ ব্লিডিং, পিরিয়ডের সময়-ও এতো ব্লিডিং হয় না এবার আমি যত ব্লিডিং এক্সপিরিয়েন্স করতেছি,এই ব্লিডিং নিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামায পড়া খুবই কষ্টকর অভিজ্ঞতা ছিল, কারণ ব্লিডিং এর পাশাপাশি মাঝেমধ্যে পেটব্যথা ছিল আর দূর্বলতা তো আছেই।

এর কি কোনো সল্যুশন নেই? আল্লাহ তাআলা পিরিয়ডের সময় কেন নামায মাফ করেছেন আমার এই অসুস্থতার সময়ে আমি ভালো বুঝতে পারি।
আমার প্রশ্ন হলো,এই যে যাদের পিরিয়ড রিলেটেড প্রব্লেম আছে, সাইকেল হঠাৎ ছোট হয়ে ৫-৬ দিন না যেতেই পিরিয়ড হয়ে যাচ্ছে,তাদের হাতে তো কোনো অপশন নেই,আমরা আগে থেকে বুঝতেও পারি না কখন কী হবে আসলে,আদৌ এ মাসে পিরিয়ড হবে না কি, যদি হয় কবে থামবে - এমন ক্ষেত্রে ১৫ দিন ইস্তিহাযা ধরে হেভি ব্লিডিং নিয়ে নামায আদায় তো খুবই কষ্টকর বিষয় হয়ে যায়,এর কোনো সমাধান আছে কি?

৩। এক্সসেসিভ ব্লিডিং এর সময়টায় দূর্বল হয়ে যাচ্ছি,অনেক বেশি মুড সুয়িং হচ্ছে,মেজাজ খারাপ থাকছে,সব মিলিয়ে গতকাল ডাক্তার দেখিয়েছি সরকারি মেডিকেলে, অতিরিক্ত ব্লিডিং বন্ধের জন্য ৩ দিন ৩ বেলার ঔষধ দিয়েছে, সাথে ৬ মাসের ঔষধ দিয়েছে পিরিয়ড রেগুলেট করতে।
৩ দিন ৩ বেলার যেটা দিয়েছে,আল্লাহ চাইলে ৩দিনের মধ্যে যেকোনো সময় আমার রক্ত আসা অফ হতে পারে।

আমি গতকাল রাত অর্থাৎ ৩১ তারিখ রাত থেকে এটা খাওয়া শুরু করেছি। এদিকে ১ তারিখ যোহর থেকে আমার পিরিয়ডের হিসাব শুরু হবে,নামায অফ রাখব।

এখন যদি ৩ তারিখের আগেই ব্লিডিং অফ হয়ে যায়,আর আমার পিরিয়ডের ৩দিন ৩ রাত কমপ্লিট না হয়,আমি কি এটাকে পিরিয়ড ধরব না?  (আমার সাধারণত ১০দিন থাকে পিরিয়ড)

এই ব্যাপারটাতে মাসআলা জানতে চাচ্ছি।

এভাবে  নামায সহ সকল ইবাদত,দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজগুলোতেও অনেক কষ্ট হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম সারাজীবনেও ঠিক হয় না,মেইনটেইন করে চলতে হয় খাবার ঘুম ইত্যাদি একটু হেরফের হলেও প্রব্লেম হতে পারে, নাও-ও হতে পারে,আবার হেরফের না করলেও প্রব্লেম হতে পারে। এর মেডিসিনগুলোর-ও বেশ সাইড ইফেক্ট। বর্তমানে বেশিরভাগ মেয়ের এই সিন্ড্রোম আছে। তবুও কেন যেন এটা নর্মালাইজ না,মানুষ ভাবে কী না কী। এটা নিয়েও শঙ্কায় আছি,ডাক্তার কিন্তু বলে না যে মা হওয়া যাবে না,এটার গ্যারান্টি দিয়ে বলে না,অথচ মানুষ শুনলেই ভাবে বন্ধ্যা, কী অদ্ভুত জ্ঞানের অভাব আমাদের। আর এর প্রোপার ট্রিটমেন্ট অনেক ব্যয়সাপেক্ষ।
দুআর দরখাস্ত যেন আল্লাহ তাআলা সুস্থ করে দেন, তিনি হও বললেই হয়ে যায়।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু নভেম্বরের ১ তারিখে ১৫ দিন কমপ্লিট হচ্ছে, তাই  ১ নভেম্বর থেকে আপনার হায়েয গণনা শুরু হবে। 

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...