বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর সহবাস হক সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-990
রিযিক তালাশের কথা আল্লাহ তা'আলা বলেছেন।তবে বিদেশ গিয়ে রিযিক তালাশ করতে হবে! বিষয়টা আসে এমন নয়,বরং যেখানেই সুযোগ হবে সেখানেই রিযিক তালাশ করার অাল্লাহ বলেছেন।রিযিক মানে এ নয় যে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে হবে,বরং প্রয়োজন মত হয়ে গেলেই ব্যস।
বর্তমানে বিদেশ প্রয়োজনীয় রিযিক তালাশের জন্য যাওয়া হয় না বরং ধনী হওয়ার জন্য অনেক টাকার মালিক হওয়ার জন্য যাওয়া হয়।
শরীয়ত অনুমোদিত কোনো কাজে মা-বার আদেশ নিষেধ মান্য করা অবশ্যই সবার উপর ওয়াজিব।
তবে শরীয়ত অনুমোদিত না হলে ওয়াজিব হবে না।
কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ
: ( ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 7257 ) ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 1840 ) ،
অবৈধ কাজে কারো বিধিনিষেধের অনুসরণ-অনুকরণ করা যাবে না।শুধুমাত্র বৈধ কাজ সমূহে অনুসরণ-অনুকরণ করা হবে।
সহীহ বুখারী-৭২৫৭
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেনঃ
ﻭﻳﻠﺰﻡ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻃﺎﻋﺔ ﻭﺍﻟﺪﻳﻪ ﻓﻲ ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻌﺼﻴﺔ ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻧﺎ ﻓﺎﺳﻘﻴﻦ ... ﻭﻫﺬﺍ ﻓﻴﻤﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻨﻔﻌﺔ ﻟﻬﻤﺎ ، ﻭﻻ ﺿﺮﺭ ﻋﻠﻴﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
বৈধ কাজে মাতা-পিতার আদেশ মান্য করা অত্যাবশ্যকীয় যদিও তারা ফাসিক হয় না কেন?
এবং তা ঐ সমস্ত কাজে যেথায় তাদের ফায়দা হবে এবং সন্তানের কোনোপ্রকার ক্ষতি হবে না।
আল-ইখতিয়ারাত-১১৪
(বিদেশের ক্ষেত্রে মা-বাবার কিছুটা লাভ হলেও সন্তানের জন্য অনেকটা কষ্টকর কেননা সহবাস ব্যতীত মানব জীবনযাপন কষ্টকর)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে,প্রতি চার মাসের মধ্যে একবার স্ত্রীকে সঙ্গ দেয়া ও তার ঐকান্তিক ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক স্বামীর উপর ওয়াজিব।বিশেষ করে এই ফিতনার যামানায়।এবং এটা স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার।আর স্ত্রীর উপর স্বামীর ওয়াজিব হচ্ছে চাহিবামাত্র নিজেকে স্বামীর সামনে সোপর্দকরা।তবে সন্তুষ্টচিত্তে নিজ অধিকার কেউ বিসর্জনও দিতে পারবে।
সুতরাং শরয়ী হুকুম হচ্ছে, স্ত্রীর কথা অনুযায়ী স্বামীকে দেশেই স্ত্রীর সাথে বসবাস করতে হবে।
এক্ষেত্রে মা-বাবার আদেশকে পালন করা জরুরী হবে না
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ