আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১)আরবি হরফ ত্ব, য এমন লিখে কাগজ টা যদি ফেলে দেওয়া যায়, গুনাহ হবে? মানে সেখানে কুরআনের আয়াত লিখা ছিল নান,শুধু হরফ

কুরআন কে অসম্মান করার কোনো ইচ্ছে ছিল না,আমি বরং ভয়ে আছি গুনাহ হিয়ে গেল কিনা।অনেক পেযে এমন হরফ প্রাক্টিস করেছি ক্যালিগ্রাফি করার জন্য। কিন্তু একটা কাগজে এমনলিখা কাগজে ময়লা নিয়ে ফেলে দিয়েছি।আমার এখন করণীয় কী?


২)সৌদে তো সব আরবি হরফ দিয়ে, ওখানে ময়লা বা যেকোনো কিছুতে আরবি হরফ থাকে গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (59,040 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

কুরআন অতীব পবিত্র ও সম্মানের বস্তু। আর তাই কোনভাবে যেন তার সম্মানহানি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই সম্ভবত: সাহাবায়ে কেরাম অব্যবহারযোগ্য কুরআনের কপিগুলো পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূল কুরায়শী আরবিতে কুরআন নাযিল হয়েছিল। পরে অন্য উপভাষাতেও কুরআন পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাতে শব্দ ও মর্ম গত বিপত্তি দেখা দিলে ৩য় খলীফা উসমান (রাঃ) কুরআনের মূল কুরায়শী কপি রেখে বাকি সব কপি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে কেবল সেই কুরআনই সর্বত্র পঠিত হয় (বুখারী, মিশকাত হা/২২২১)।

পোড়ানোর ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, কুরআনের অক্ষরগুলো চেনা না যায়। কেননা, অনেক সময় পোড়ানো কাগজেও অক্ষর দেখা যায়। তাই ছাইগুলোও এমনভাবে গুড়া করে দিতে হবে যেন কুরআনের অক্ষরগুলো সম্পূর্ণরূপে মুছে যায়।

জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. কুরআন এবং হাদীস যে ভাষায় ই লিখা হোক না কেন, সেই লিখিত কুরআন এবং হাদীসকে অসম্মাণজনক কোনো স্থানে নিক্ষেপ করা যাবে না। অর্থাৎ আরবী কুরআন এবং কুরআন তরজমা অসম্মাণজনক কোনো স্থানে রাখা যাবে না। শুধু অক্ষর লেখা থাকলে কোন গুনাহ হবে না। তবে এসব কাগজ, প্যাকেটে কুরআনের আয়াত বা হাদীস, আল্লাহর নাম, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নাম থাকলে তাহা এভাবে ফেলে দেয়া যাবেনা। যেখানে কেউ চলাচল করেনা, এমন স্থানে মাটিতে দাফন করে দিতে হবে। আগুনে পুড়িয়েও এর ছাই দাফন করা যাবে।

২. যদি আরবী ভাষায় কুরআন হাদীসের ইবারত ব্যতীত অন্য কোনো জিনিষ লিখা থাকে, তাহলে এর বিধান সাধারণ ভাষার মত। অর্থাৎ আরবীতে কুরআন-হাদীস লিখা না থাকলে, বরং আরবী ভাষায় ভিন্ন কোনো জিনিষ লিখা থাকলে, তখন সেই আরবী বাংলা ইংরেজী ইত্যাদি ভাষার মতই।

আরো জানুন: https://ifatwa.info/52953/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...