ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
কুরআন অতীব পবিত্র ও সম্মানের বস্তু। আর তাই কোনভাবে যেন তার সম্মানহানি না হয়
সেদিকে খেয়াল রেখেই সম্ভবত: সাহাবায়ে কেরাম অব্যবহারযোগ্য কুরআনের কপিগুলো পুড়িয়ে
ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূল কুরায়শী আরবিতে কুরআন নাযিল হয়েছিল। পরে অন্য
উপভাষাতেও কুরআন পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাতে শব্দ ও মর্ম গত
বিপত্তি দেখা দিলে ৩য় খলীফা উসমান (রাঃ) কুরআনের মূল কুরায়শী কপি রেখে বাকি সব কপি
পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে কেবল সেই কুরআনই সর্বত্র পঠিত হয় (বুখারী, মিশকাত হা/২২২১)।
পোড়ানোর ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, কুরআনের অক্ষরগুলো চেনা না
যায়। কেননা, অনেক সময় পোড়ানো কাগজেও
অক্ষর দেখা যায়। তাই ছাইগুলোও এমনভাবে গুড়া করে দিতে হবে যেন কুরআনের অক্ষরগুলো
সম্পূর্ণরূপে মুছে যায়।
জেনে রাখ!
প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড
রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড
নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. কুরআন এবং
হাদীস যে ভাষায় ই লিখা হোক না কেন, সেই লিখিত কুরআন এবং হাদীসকে অসম্মাণজনক কোনো স্থানে
নিক্ষেপ করা যাবে না। অর্থাৎ আরবী কুরআন এবং কুরআন তরজমা অসম্মাণজনক কোনো স্থানে রাখা
যাবে না। শুধু অক্ষর লেখা থাকলে কোন গুনাহ হবে না। তবে এসব কাগজ,
প্যাকেটে কুরআনের আয়াত বা হাদীস, আল্লাহর নাম, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নাম থাকলে তাহা এভাবে ফেলে দেয়া
যাবেনা। যেখানে কেউ চলাচল করেনা, এমন স্থানে মাটিতে দাফন করে দিতে হবে।
আগুনে পুড়িয়েও এর ছাই দাফন করা যাবে।
২. যদি আরবী
ভাষায় কুরআন হাদীসের ইবারত ব্যতীত অন্য কোনো জিনিষ লিখা থাকে,
তাহলে এর বিধান সাধারণ ভাষার মত। অর্থাৎ
আরবীতে কুরআন-হাদীস লিখা না থাকলে, বরং আরবী ভাষায় ভিন্ন কোনো জিনিষ লিখা থাকলে,
তখন সেই আরবী বাংলা ইংরেজী ইত্যাদি
ভাষার মতই।
আরো জানুন: https://ifatwa.info/52953/