আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ সম্মানিত উস্তায,
আমি প্রায় ৪-৫ বছর পূর্বে বালেগ হয়েছি। দ্বীনের জ্ঞান না থাকায় কিছু মাস আগেও নিজের ছবি তোলা হয়েছে, একার ছবি হোক কিংবা গ্রুপ ছবি। যখন থেকে পর্দার বিষয়ে সচেতন হয়েছি তখন থেকে প্রয়োজন ছাড়া নিজের ছবি তোলা ছেড়ে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আগের তোলা অনেক ছবিই গায়রে মাহরামদের কাছে আছে, আমার পক্ষে তো সেই ছবিগুলো গায়েব করা সম্ভব নয়। তখন গাফেল ছিলাম বলে ছবি তোলা হতো এবং আমার ছবি কোন কোন গায়রে মাহরামের কাছে আছে তাও আমি নিশ্চিত করে বলতে পারব না। আমি আমার পরিবারের মধ্যে যাদের ফোন কোনোভাবে হাতে পেয়েছি সেখানে আমার ছবি পেলে ডিলিট করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো গায়রে মাহরামের ফোন থেকে তো এটা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু তখন আমার দ্বীনের জ্ঞান ছিল না তাই ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি আমার ছবি কোনো গায়রে মাহরাম দেখে বা গায়রে মাহরামের কাছে থাকে তাহলে কী আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

+1 vote
by (58,470 points)

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

জবাব,

তাওবা ও ইস্তিগফার মুমিন জীবনের সার্বক্ষণিক ওযীফা। 

আল্লাহ তাআলা তো বলেছেন,

قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।।(সূরা যুমার ৫৩)

হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে সত্তর থেকে এক শতবার তাওবা-ইস্তিগফার করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস :  ৬৩০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৭০২)

রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করে-

التائب من الذنب كمن لا ذنب له

অর্থঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই।সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৪২৫০

খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

 তাওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-

এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।

দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।

তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

আর ইস্তেগফার হল শুধু মৌখিকভাবে আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

তবে শুরুতে ২ রাকাত তাওবার নফল নামাজ পড়ার পর তওবা করা উত্তম,সুন্দর পদ্ধতি ,এটাই বুযুর্গানে দ্বীনদের বাতলিয়ে দেওয়া আমল।

প্রশ্নকারী সম্মানিত দ্বীনি ভাই/বোন!

কোনো ব্যক্তি পাপ হতে খালেছ অন্তরে তওবা করে যদি সেই পাপ ছেড়ে দেয়, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। প্রশ্নে উল্লেখিত পরিস্থিতিতে তওবা করার পূর্বে যে সকল ফটো/ভিডিও নিজের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে তা ডিলেট করতে হবে। আর যা ডিলেট করা সম্ভব নয় তার জন্য আপনি ব্যক্তি দায়ী হবে না। কেননা সাধ্যের বাহিরে আল্লাহ বান্দার উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। তবে অবশ্যই তওবা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...