বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/12521
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যে রুমে কোরআন মাজিদ রাখা আছে বা আল্লাহ তা'আলার নাম উপরে লেখা আছে, সে রুমে যদি কোনো পাপ করা হয়, তাহলে যদি ঈমানে আপাতত কোনো সমস্যা হচ্ছে না, তবে ঈমানে অবশ্যই দুর্বলতা চলে আসতে পারে।
(২) ফেসবুক ইউটিউব চালানোর সময় যদি কখনো বিধর্মীদের ধর্মীয় ভিডিও চলে আসে, তখন সাথে সাথেই যদি চ্যানেল পাল্টে ফেলা হয়, তারপরও ফেইসবুক ইউটিউবের ভিডিও দেখা জায়েয হবে না। হ্যা, শুধুমাত্র দ্বীনি ভিডিও দেখার অনুমোদন কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।
(৩) ভবিষ্যৎ নিলে তখনো মাফ চাইতে হবে। তবে মা যদি স্পষ্ট করে বলেন যে, ভবিষ্যতে নিলেও তার কোনো দাবী দাওয়া নাই , তাহলে তখন মায়ের কাছে মাফ চাইতে হবে না।