আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
১।যে রুমে কোরআন মাজিদ রাখা বা আল্লাহ পাক এর নাম উপরে লেখা আছে সে রুমে যদি কোনো পাপ করে তাহলে ইমানে সমস্যা হবে কি?


২।ফেসবুক ইউটিউবে অনেক সময় বিধর্মীদের ধর্মীয় ভিডিও আসে সে সময় সাথে সাথে পাল্টে ফেললে ফেসবুক ইউটিউব চালানো যাবে কি?
৩।আমার মার থেকে চুরি করে বা মিথ্যা বলে টাকা নিয়েছি দুইবার মাফ চাইছি যখনই মাফ চাই তখন মা বলে যে আমার দায় দাবি নাই সন্তানের প্রতি কি মা দায় দাবি রাখে আমি কোনো সময় দাবি রাখি না যদি ভবিষ্যৎ নেই তাহলে কি মাফ চাইতে হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (583,050 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/12521

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যে রুমে কোরআন মাজিদ রাখা আছে বা আল্লাহ তা'আলার নাম উপরে লেখা আছে, সে রুমে যদি কোনো পাপ করা হয়, তাহলে যদি ঈমানে আপাতত কোনো সমস্যা হচ্ছে না, তবে ঈমানে অবশ্যই দুর্বলতা চলে আসতে পারে। 

(২) ফেসবুক ইউটিউব চালানোর সময় যদি কখনো বিধর্মীদের ধর্মীয় ভিডিও চলে আসে, তখন সাথে সাথেই যদি চ্যানেল পাল্টে ফেলা হয়, তারপরও ফেইসবুক ইউটিউবের ভিডিও দেখা জায়েয হবে না। হ্যা, শুধুমাত্র দ্বীনি ভিডিও দেখার অনুমোদন কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।

(৩) ভবিষ্যৎ নিলে তখনো মাফ চাইতে হবে। তবে মা যদি স্পষ্ট করে বলেন যে, ভবিষ্যতে নিলেও তার কোনো দাবী দাওয়া নাই , তাহলে তখন মায়ের কাছে মাফ চাইতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...