আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
closed ago by
১।যদি কোনো পাপ করতে যাই তখনি মনে পড়ে মোবাইলে কোরআন তিলাওয়াত শুনতে হবে বা তিলাওয়াত করতে হবে  বা দুরদ পরতে হবে। আমি এমনিতে মন চাইলে শুনি বা তিলাওয়াত করি এবং দুরুদ পড়ি।   আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে কোনো নফল ইবাদত কে সম্মান রেখে যদিও নফসের তাড়নায় গোনাহ করার সময় মনে পড়ে তখন যদি গোনাহ করে ফেলি তাহলে ইমানে সমস্যা হবে কি?
২।যদি মনে থাকে যে আল্লাহ পাক যদি না চায় কেউ আমার ক্ষতি করতে পারবে না এবং উপকার করতে পারবে না। জিন থেকে বাচার চেষ্টা করতে সাথে আগুন রাখা যাবে কি।  হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে আগুন থাকলে জিন কাছে আসেনা তাদের ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী না উপরের বিশ্বাস অনুযায়ী রাখি তাহলে ইমানে সমস্যা হবে কি?
৩।অনেকে বলে দাড়ি রাখলে বুড়া দেখা যায় তাদের ইমানে সমস্যা হবে কি?
৪। আমার আকিদা হলো দাড়ি রাখলে যে রকমই দেখা যাক দাড়ি রাখা ভালো না রাখা খারাপ। এ আকিদা সঠিক কিনা?
৫।কেউ যদি দাঁড়িকে সম্মান রেখে দাড়ি ছোট করে রাখে তাহলে কি তার রসুল সাঃ উনার মহব্বতে সমস্যা হবে?
৬।আল্লাহ পাক এর সাথে মহব্বতের শিরক কি কাজ করলে হবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (583,470 points)
selected ago by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যে কোনো নফল ইবাদতের সম্মান রেখে যদি  নফসের তাড়নায় গোনাহ করার সময় মনে পড়ে, অতঃপর গোনাহ করে নেয়া হয়, তাহলে ইমানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে গোনাহ থেকে বেচে থাকা ফরয ছিলো। 

(২)যদি মনে থাকে যে আল্লাহ পাক যদি না চায় কেউ আমার ক্ষতি করতে পারবে না, এবং উপকার করতে পারবে না। জিন থেকে বাচার চেষ্টা করতে সাথে আগুন রাখা যাবে। হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে আগুন থাকলে জিন কাছে আসেনা তাদের ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী না উপরের বিশ্বাস অনুযায়ী যদি রাখা হয, তাহলে ইমানে সমস্যা হবে না। তবে জ্বীন থেকে বেচে থাকার জন্য সূরা নাস ও সূরা ফালাককেই যথেষ্ট মনে করা অপরিহার্য। 

(৩) দাড়ি রাখলে বুড়া দেখা যায় তাদের ইমানে সমস্যা হবে না। তবে ঈমানে দুর্বলতা রযেছে।

(৪) আমার আকিদা হলো দাড়ি রাখলে যে রকমই দেখা যাক দাড়ি রাখা ভালো, না রাখা খারাপ। এ আকিদা সঠিক।

(৫)কেউ যদি দাঁড়িকে সম্মান রেখে দাড়ি ছোট করে রাখে, তাহলে সে পুরোপুরি রসুল সাঃ এর মহব্বত পাওয়ার যোগ্য হবে না।

(৬)আল্লাহ পাক এর সমকক্ষ কাউকে মনে করাই শিরক। 

বিঃদ্রঃ
আপনার শরীয়তের বেসিক জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। আপনি নেককার লোকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন। অথবা তাবলীগে সময় লাগাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...