আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in সালাত(Prayer) by (38 points)

১. যদি কেউ বিতরের স্বলাতে ৩য় রাকাতে দুয়ায়ে কুনুত পরার জন্য আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধার পর সানা ও ﷽ বলে সূরা পড়ে ফেলে তারপর সে ভুল বুঝতে পেরে যদি সে দুয়ায়ে কুনুত পড়ে তাহলে কি তাতে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে?

 

২.তাশাহহুদের পূর্বে যদি আল্লাহুম্মাগফিরলি বা ﷽ বা সূরা পড়তে শুরু করে তাহলে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/20888/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

وَكَذَا لَوْ قَرَأَهَا فِي الْقُعُودِ إنْ بَدَأَ بِالْقِرَاءَةِ وَإِنْ بَدَأَ بِالتَّشَهُّدِ ثُمَّ قَرَأَهَا فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ كَمَا فِي الْمُحِيطِ

«البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري» (2/ 105)

যদি কেউ বৈঠকে কিরাত শুরু করে দেয়, অর্থাৎ যদি কেউ তাশাহুদ পড়ার পূর্বে কিরাত শুরু করে, তাহলে তার উপর সিজদায়ে সাহু আসবে। কেননা এতে ওয়াজিব রুকন তথা তাশাহুদ পড়তে বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু যদি কেউ তাশাহুদ পড়ার পর কিরাত পড়া শুরু করে, তাহলে এতে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না। কেননা এতে ওয়াজিব রুকুন আদায়ে দেড়ী হচ্ছে না।


https://ifatwa.info/48500/ নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

নামাযের মধ্যে পঠিত সূরার সমূহের ধারাবাহিকতা (কুরআনে বিদ্যমান বিন্যাস) রক্ষা করা ওয়াজিব। তবে কোনো কারণে যদি উক্ত ওয়াজিব তরক হয়ে যায় তবে সেজাদায়ে সাহু আসবে না, এবং নামাযকে দোহরাতেও হবে না। বরং নামায আদায় হয়ে যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২০৩)

ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ। তবে অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না।


সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় ৬ কারণে। যথা-

১) কোন রুকন আগে করে ফেলা।

২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।

৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা।

৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া।

৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া।

৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া


أنه يجب بستة أشياء: بتقديم ركن، وبتأخير ركن، وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف إلى جميع الصلاة (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود السهو-1/501)

মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সাহু সেজদা দিতে হবে।

২. যদি কেউ বৈঠকে কিরাত শুরু করে দেয়, অর্থাৎ যদি কেউ তাশাহুদ পড়ার পূর্বে কিরাত শুরু করে, তাহলে তার উপর সিজদায়ে সাহু আসবে। কেননা এতে ওয়াজিব রুকন তথা তাশাহুদ পড়তে বিলম্ব হচ্ছে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সাহু সেজদা দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 61 views
...