ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/17254/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
মুসলিম অমুসলিম মু'আমালাত অর্থ্যাৎ কাজ-কর্মে প্রায় সবাই সমান। টাকার বিনিময়ে যেভাবে
অমুসলিমকে শ্রমে নিয়োগ করা বৈধ। ঠিকতেমনি বৈধ কাজে মুসলমানের জন্য অমুসলিমের শ্রমে
নিয়োগ হওয়াও বৈধ।
যেমন ফাতাওয়ায়ে শা'মী তে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭﻟﻮ
ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ
ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে
গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো
প্রকার গোনাহ নেই।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
لَا
بَأْسَ بِأَنْ يَكُونَ بَيْنَ الْمُسْلِمِ وَالذِّمِّيِّ مُعَامَلَةٌ إذَا كَانَ
مِمَّا لَا بُدَّ مِنْهُ
মুসলমান ও অমুসলমানের মধ্যে মু'আমালা তথা ক্রয়-বিক্রয়
ও লেনদেন সংগঠিত হওয়াতে কোনো সমস্যা নাই ,যদি এছাড়া অন্য কোনো রাস্তা না থাকে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪৮)
★সুতরাং প্রশ্নে
উল্লেখিত সাইটে (ইসরাইলি ফ্রিল্যান্সিং সাইট Fiverr এ) শরীয়তের খেলাফ কোনো কাজ না থাকলে, এ কাজ করা জায়েজ
আছে ইনকাম জায়েজ আছে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/4997/
https://ifatwa.info/5281/
https://ifatwa.info/3425/
তবে যেহেতু তাদের এর দ্বারা তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী
করা হয়, এবং শক্তিশালী অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের কার্যক্রম
আরো বাড়িয়ে দিবে, ইসলাম বিরোধী কাজ,মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করার কাজ আরো বেশি করবে। তাই একাজ করা থেকে আমাদের অবশ্যই
বিরত থাকা চাই।
একাজ করে তাদেরকে সহযোগিতা করা ঠিক নয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
وَتَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের
ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
{সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ
أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ
عِيدٍ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا
مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ وَلَمْ
يَكُنْ يُخْرَجُ فِيهِ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ . فَقَالَ
أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مَنْ هَذَا قَالُوا فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ . فَقَالَ
أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
يَقُولُ " مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ
بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ
فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ "
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ‘ঈদের দিন
মারওয়ান ঈদের মাঠে মিম্বার স্থাপন করে সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করায় জনৈক ব্যক্তি
দাঁড়িয়ে বলেন, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাত বিরোধী কাজ করলে। তুমি ‘ঈদের দিন বাইরে
মিম্বার এনেছো এবং সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করেছো। অথচ ইতিপূর্বে (নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খুলাফায়ি রাশিদীনের যুগে) কখনো এমনটি করা হয়নি। আবূ সাঈদ আল-খুদরী
(রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, লোকটি কে?
লোকজন বললো, অমুকের পুত্র অমুক। তিনি বললেন, সে তার দায়িত্ব
পুরোপুরি পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ
কেউ কোন গর্হিত (শারী‘আত বিরোধী) কাজ সংঘটিত হতে দেখলে তাকে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে।
এরূপ করতে অক্ষম হলে তা কথার দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি এতেও অক্ষম হয় তাহলে সে তা অন্তরে
ঘৃণা করবে (বা তা দূর করার উপায় অন্বেষনে চিন্তা-ভাবনা করবে)। তবে এটি হচ্ছে দুর্বলতম
ঈমানের পরিচায়ক।
(মুসলিম,
ইবনু মাজাহ হাঃ ১২৭৫, হাঃ ৪০১৩),
আহমাদ (৩/১০)
অপর হাদীসে এসেছে-
عَنْ
أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ
بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ - وَقَطَعَ هَنَّادٌ بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ،
وَفَّاهُ ابْنُ الْعَلَاءِ: - فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ
يَسْتَطِعْ بِلِسَانِهِ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোনো অন্যায় হতে দেখলে সে তা হাতের
সাহায্যে দমন করতে সক্ষম হলে তা দ্বারা যেন প্রতিরোধ করে। ‘‘হান্নাদ’’ এ হাদীসের বাকী
অংশ উল্লেখ করেনি। তবে ইবনুল আলা তা পূর্ণ করেছেন। তা হলোঃ যদি হাতের দ্বারা প্রতিরোধ
করতে সক্ষম না হয়, তবে জিহ্বা দ্বারা আর যদি জিহ্বা দ্বারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম
না হলে তবে অন্তর দ্বারা, তবে এটা দুর্বল ঈমানের স্তর। (আবু দাউদ ৪৩৪০)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. মহিলাদের জন্যও পরিপূর্ণ
পর্দার সাথে ফ্রিল্যান্সিং (উক্ত ফ্রিল্যান্সিং সাইটে) শরীয়তের খেলাফ কোনো
কাজ না থাকলে করা জায়েজ।
শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজ থাকলে জায়েজ নয়। যেমন, প্রাণির ছবি অঙ্কন, হারাম
জিনিস মদ ইত্যাদিকে সাপোর্ট বা বিক্রয়ের এড তৈরী করা।
২-৩. কাজ নেওয়ার আগে দেখবেন যে, শরীয়ত বিরোধী কাজ আছে কি না।
৪. অর্থাৎ আপনি ঐ কাজটা করলে সে কত টাকা দিবে তা স্পষ্ট হতে হবে।
৫. আরো বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিবেন।