السلام عليكم ورحمة الله আমি দুটি প্রশ্ন করতে চাই । ১. আমার একবছর বিয়ে হয়েছে। আমার শ্বশুর আরেকটা বিয়ে করেছে, আমার শ্বাশুড়ির একটাই ছেলে। উনি আমাদের সাথেই থাকেন। উনি উনার বোনের দুইটা মেয়েকে নিজের কাছে রাখতো। দুইরুমের বাসা, একসাথে বাথরুম হওয়ায় আমার স্বামীর সাথে তাদের পর্দা ঠিকমতো পালন হতো না।এছাড়া বিনা অনুমতিতে আমার রুমে আসে, আয়না ব্যবহার করতো, চুল আচড়াতো আমার স্বামী ঘরে উপস্থিত থাকলেও। এসব বিষয় আমি আমার স্বামীকে বুঝিয়ে বলায় সে তার খালাদের সাথে কথা বললে তারা মেয়েদের নিয়ে যায়। এরপর আমার শ্বাশুড়ি আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে।এখনও সারাদিন আমার রুমের ভেতর দিয়ে যাওয়াআসা করে। আমার শ্বাশুড়ি প্রতি সপ্তাহে তার বাবার বাড়ি, বোনের বাড়ি যায়। তিনি চায় আমিও যায়। আমার এসব ভালো লাগে না। উনি খুবই কন্ট্রোলিং, পুরো সংসার উনার কথা মতো চালায়।একটু বাত্যয় হলেই খারাপ ব্যবহার করে আমার সাথে। আমার স্বামীর সাথেও। আমার খুব অশায় লাগে। সব কিছু ওনার মন মতো কথামতো না হলেই আজেবাজে কথা শোনায় অপমান করেন আমাকে। রুমের বারান্দায় সারাদিন প্রাইভেট পড়ায় আর আমার রুম দিয়ে যাওয়াআসা করে। আমার কোন প্রাইভেসি নেই নিজের রুমে। আমার বাবা বিয়ের পর তেমন কিছু দেয় নি শ্বশুরবাড়িতে এসব নিয়ে কয়েকদিন পর পর কথা শোনায় আমাকে। বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের হয়ে যেতেও বলেছে। এমতাবস্থায় আমার শ্বশুড়বাড়িতে যেতেই ইচ্ছা করে না। আমি যদি শ্বশুড়ির সাথে না থাকতে চায় আমি কি গুনাহগার হবো?? ২. আমি প্রেগনেন্ট। আমি শ্বাশুড়ি আমার কণ খেয়াল রাখে না। আমি কিছুই খেতে পারি না। বাবার বাড়িতে থাকলে আমার মা সারাদিন এটা ওটা রান্না করে, কোনরকম একটু খেতে পারি।এছাড়া আমার শ্বশুড়বাড়িতে ওয়াশরুম অনেক দূরে। হাইকমোড নেই আমার অসুবিধা হয়।, আমার রুমের বারান্দায় আমার শ্বাশুড়ি সারাদিন প্রাইভেট পড়ায়, আমার রুমের মধ্যে দিয়ে সারাদিন যাওয়া আসা করে। আমি বিশ্রাম নিতে পারি না। আমরা ভাড়া বাড়িতে থাকি, বিয়ের আগে আমার বাবা কথা বলেছিলো আমার স্বামী বলেছিলো বাসা পরিবর্তন করবে। কিন্তু এখন আর পরিবর্তন করবে না। এমন অবস্থায় আমার স্বামী চায় আমি ওখানেই থাকি কিন্তু আমার বাবা পাঠাতে চায় না। আমি আমার বাবার বাড়ি থাকলে কি গুনাহগার হবো?