আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু, আমি ওয়ালটন থেকে একটি ল্যাপটপ কিনি। ওয়ালটন ল্যাপটপগুলোর কোয়ালিটি খুব একটা ভালো হয় না। ল্যাপটপের কাঠামো বা গঠন বাজারের অন্য ল্যাপটপ গুলোর তুলনায় বাজে। এমত অবস্থায় আমার ল্যাপটপের স্পিকারের সমস্যা দেখা দেয় কোন কারণ ছাড়াই। তো আমি ওইটা নিয়েই অনেকদিন চালাই। তারপরে কিছুদিন থেকে ল্যাপটপের ডিসপ্লেতে সমস্যা হয়, পরে বাধ্য হয়ে ওয়ারেন্টিতে দিতে হয়। কিন্তু ল্যাপটপের খুব বাজে বিল কোয়ালিটি হওয়ার কারণে আমার ল্যাপটপের নিচে একটি অংশে হালকা একটি ফাটল ধরে, আমার জানামতে ল্যাপটপ হাত থেকে পড়ে গিয়েছিল এমন কোন কিছু ঘটেনি আমি এটাতে 100 পার্সেন্ট সিওর। কিন্তু হয়তো বা পরিবহনের কারণে কোনভাবে এইটা ঘটেছে। আমি যখন ডিসপ্লে এবং স্পিকারের নষ্ট হওয়ার কারণে ওয়ারেন্টিতে দেই তখন ল্যাপটপের মধ্যে থাকা স্ক্রুতে একটি সিল থাকে যেটি মূলত কোন টেকনিশিয়ান যাতে ল্যাপটপ না খুলতে পারে বা খুললে প্রমাণ থাকে সেই জন্য ব্যবহার করা হয়। আমার সিলটা কোন এক ভাবে উঠে যায়, তখন সার্ভিস সেন্টারের কর্মচারীরা জানান যে আপনার ল্যাপটপের একটি অংশ ফাটা এবং এবং স্কু তে সিল নেই, আপনি ল্যাপটপটি জমা দিয়ে যান আমরা আমাদের টেকনিশিয়ান দ্বারা পরীক্ষার পরে আপনাকে জানাবো যে আপনার ল্যাপটি ওয়ারেন্টির আওতায় পড়বে কিনা।যেহেতু সিল নেই সুতরাং আপনার ল্যাপটপ হয়তোবা বাইরে কোন খোলা হইতে পারে। এবং যেহেতু ফাটা আছে তাই ফিজিক্যাল ড্যামেজের কারণে ডিসপ্লের কোন সমস্যা হয়েছিল কিনা আমরা দেখব যদি এসব না হয়ে থাকে তাহলে আপনি ওয়ারেন্টি পাবেন।।  আমি ওয়ারেন্টি পলিসি পড়িনি এবং জানিও না কি লেখা ছিল আমার ল্যাপটপের বক্সটি নেই। এখন কি তারা পরীক্ষা-নিক্ষার পরে যদি আমি ওয়ারেন্টি আওতায় পরি তাহলে কি আমাকে ওয়ারেন্টি নেওয়া জায়েজ হবে?  না ফাটা এবং স্টিকার উঠে যাওয়ার কারণে এইটা আমার নেওয়া অনেক অনুচিত হবে। বা তাদের কোন ভুলের কারণে তারা আমাকেও ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকলে সেটা কতটুকু জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের পরীক্ষা-নিরিক্ষার পরে আপনি যদি ওয়ারেন্টির আওতায় পরেন, তাহলে আপনার ওয়ারেন্টি নেওয়া জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...