আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
edited by
আসসালামু ’আলাইকুম সম্মানীত উস্তাদ

আমি আইওএমেরই একজন ছাত্রী । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ।

আমি প্রথমেই দুঃখিত এতো বড় লেখার জন্য । কথাগুলো পরিবারের কাছেও বলতে পারছি না, আমি অনেক মানসিক অশান্তি নিয়ে লেখা গুলো লিখছি, ইবলিশ শয়তান বারংবার আমাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেই যাচ্ছে । আশা করি , আল্লাহর অনুমতিতে সম্মানীত উস্তাদগণ আমার কথা গুলো দেখবেন , উত্তম উত্তর & পরামর্শ প্রদান করবেন ।

শুরু করছি -

আমি বর্তমানে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ছি ন্যাশনাল থেকে (২০২৩-২৪), রসায়ন বিভাগ । বয়স ১৯ ।

আমি একটি হারাম সম্পর্কে জড়িত ছিলাম, আস্তাগফিরুল্লাহ!!! পরবর্তীতে আল্লাহর অশেষ রহমত এবং মেহেরবানীতে আমি সেই হারাম সম্পর্ক থেকে সরে আসি , যেহেতু আমরা একে অপরকে ভালোবাসতাম  তাকে বলি আমি আমার মা-বাবার বিরুদ্ধে যেতে পারবো না, কোনো রকম যোগাযোগ + দেখা সাক্ষাত ব্যতীত আমার জন্য অপেক্ষা করতে আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা দরকার তাই করতে । কিন্তু সে শুধু সোশ্যাল যোগাযোগ বন্ধ (মেসেজিং) করতে অস্বীকার করে এবং বলে তার প্রাক্তনও একই ভাবে তাকে ছেড়ে যায় এবং অন্যত্র বিয়ে করে ফেলে সে প্রতিষ্ঠিত না বলে । কিন্তু আমি ফোনে কথা বলি না । সে পাবলিক ভার্সিটির ১ম বর্ষের ছাত্র & সেইম ব্যাচ , শুধু বিভাগ আলাদা । সে‌ বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটা কাজ করছে, যার বেতন ১০,০০০ । সে ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করে, পরিবার থেকে বর্তমানে কোনো আর্থিক সহায়তা পায় না/নির্ভর করছে না কারোর উপর। তার পুরো ফ্যামিলি চাঁদপুরে থাকে আর আমি ঢাকায় থাকি আমার ফ্যামিলির সাথে । তাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে বর্তমানে মন্দা চলতেছে , কিন্তু উচ্চবংশীয় মধ্যবিত্ত পরিবার ।
তার ব্যাপারে আরও কিছু বলি -

***সে প্র্যাক্টিসিং
***কুরআনের হাফেজ
***কওমি + আলিয়া দুটোতেই পড়েছে

***আমাদের মধ্যে ৫ বছরের গ্যাপ বয়সে ।

***খুবই আত্মসম্মানী ব্যক্তি
***খোঁচা দেওয়া কথা বলার স্বভাব আছে কিছুটা , বদমেজাজী কিন্তু ধৈর্য্যশীল

***পরিবারের বড় ছেলে
***আমার এলার্জি জনিত সমস্যার দরুণ ঠাণ্ডা কাশি লেগেই থাকে, এজন্য বলেছিলো যে আমি তো প্রথমেই তোমার জন্য এতো টাকা‌ খরচ করতে পারবো না যদি কোনো বড় সমস্যা দেখা দেয়,তার পরিবারও দেবে কি না সন্দিহান তা নিয়ে । তাই আমাকে এখনি ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ হতে বলে ।

***আমাদের ঢাকায় কতটুকু জমিজমা আছে তাই শুনে নিজেদের চাঁদপুরের জমিজমার বর্ণনা দেওয়া শুরু করে , তাদের ৩৮কাঠার উপর থাকায বাড়ি এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ।
***সৎ, সাহসী, অমায়িক ও আত্মমর্যাদাবান পুরূষ,মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন ।

***পর্দায় রাখার আশ্বাস আছে

***চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে আগ্রহী তবে এখন যেহেতু প্রতিষ্ঠিত না,এখন পারবেনা, সবর করতে হবে । আর হয়তো প্রথম প্রথম আমাকে আমার ফ্যামিলিতেই থাকতে হবে নাহয় আমাকে গ্রামে রেখে আসা ছাড়া উপায় নাই ।
***আমার জন্য বা আমার ফ্যামিলিকে জানাতে পারবে তার অবস্থান সম্পর্কে এজন্য এক সেমিস্টার ড্রপ দিবে, কাজ খুজবে ।

***আমার চেহারা দেখেছেন

*** দুই ভাই এক বোন । ছোট ভাই আলিয়াতে পড়ে+হাফেজ , ছোট‌বোন কওমীতে , হিফজ করছে ।

***সাধারণভাবে চলাফেরা করেন

***আমার ফ্যামিলির ভালো খারাপ দুইটা দিকই জানে বিধায় কোনো সূত্র ধরে মাঝে মাঝে পারিবারিক অশান্তির কথা শেয়ার করলে, কথা কাটাকাটি হলে আমার পরিবারের খারাপ দিক গুলো নিয়ে অপমান করে/খোঁচা দেয় । এমনটা আগে করতো না

***প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষেত্রে তার আপন নানা,খালু,মামাকে অগ্রাধিকার দেবেন । কারণ, তার বাবা আর্থিক অবস্থা ভালো না, আর বদমেজাজী আর প্রচুর আত্মসম্মানী । আমার পরিবার যদি কোনো নেগেটিভ  কথা বলে ফেলে, তাহলে ঝামেলা পাঁকিয়ে যেতে পারে , তার বাবা রাগ করতে পারেন আর কথা কাটাকাটি লাগতে পারে ।
***যেকোনো অবস্থায় বিয়ে করতে প্রস্তুত

আমার পরিবার লিবারেল/মডারেট ধাঁচের ।‌কিন্তু নামাজী আলহামদুলিল্লাহ ‌। মর্ডান সোসাইটিকেও প্রাধান্য দেয় আবার লোকে কি বলবে এটাকেও প্রাধান্য দেয় । অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল, উচ্চ-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের মাঝামাঝি । তাই আমি ভয় পাচ্ছি, যদি তার এই অবস্থা দেখে বিয়ের ব্যাপারে তাকে নাকোচ করে দেয় , তখন আমি কি করবো । আমার পরিবার চায় আমি যেহেতু সবার ছোট একমাত্র মেয়ে + বোন , তাই কোনো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠিত সৎ লোকের হাতে আমাকে হালালভাবে তুলে দিতে । যেন আমাকে ডাল-ভাত খাইয়ে হলেও সবরকমভাবে সুখে রাখে ।‌কারণ আমি আজ অব্দি আল্লাহর রহমতে কোনো অভাব অনটনের শিকার হইনি , আমার কোনো আবদার অপূর্ণ থাকেনি।

খুব ভালো ভালো ঘরানার সম্মন্ধ আসে , আমিই কোনো   কারণ দেখিয়ে রিজেক্ট করে এসেছি এই অব্দি । পরিবার সন্দেহ করছে আমার প্রতি,‌কিন্তু তার প্রতিষ্ঠিত বা একটা মধ্যম পর্যায়ে যায়নি বলে আমি বাসায় জানাতে পারছি না । এদিকে পরিবার চাচ্ছে ২০/২১ বছর হওয়ার মধ্যে আমাকে বিয়ে দিতে ।

এখন বর্তমানে যেটা হচ্ছে , আমি গোপনে জানতে পারি, আমার একজন টিউটর (কোচিং সেন্টারে ব্যাচে পড়েছিলাম ইন্টারে থাকতে, দুই বছর) যিনি এমবিবিএস এর ফাইনাল প্রফ দিবেন , তিনি আমার পর্দাশীল সহজ সরল ব্যক্তিত্ব দেখে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চাচ্ছেন । তিনি আমাকে কোনো হারাম সম্পর্কে জর্জরিত হয়ে পেতে চান না, বা আমাকে কখনো খারাপ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেননি, চেহারা দেখেননি/দেখতেও চাননি । দুই পরিবারের সম্মতিতে , বিয়ে করে ফাইনাল প্রফের পর, কোনো উপযুক্ত মুসলিম কান্ট্রিতে আমাকে নিয়ে শিফট করতে চান। শুধু আমার অনুমতির অপেক্ষায় আছেন যে, আমি যদি বলি আমার পরিবারের সাথে কথা বলতে, তাহলে তিনি আগাবেন । নয়তো না । কোনো প্রকার জোর খাটাবেন না ।

তার ব্যাপারে বলি-

(আমি যা দেখেছি/শুনেছি জানিনা সত্যতা কতটুকু)

***তিনি শরীয়তপুরের । উচ্চবংশীয় ঘরানার + মধ্যবিত্ত পরিবারের ।

***প্র্যাক্টিসিং মুসলিম কিন্তু বোনরা এমন না, পর্দাও করে না বা পরিবারও না ।

***পরিবারের একমাত্র ছোট ছেলে ।‌বড় দুই বোন, বিবাহিত এবং প্রতিষ্ঠিত ।

***সৎ, সাহসী, অমায়িক ও আত্মমর্যাদাবান পুরূষ

***আমার সব ধরনের খেয়াল/চাহিদা পূরণ করতে রাজী । আমার সুস্থতা /অসুস্থতা সবরকম ভাবে খেয়াল‌ রাখতে রাজী , কারণ ভবিষ্যত ডাক্তার ইনশা'আল্লাহ

***মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন , বদমেজাজী কিন্তু ধৈর্য্যশীল ।
***কোনো একসময় তার প্রাক্তন ছিলো , তাকে মুছতে পারবেন না ভেবেছিলেন, কিন্তু আমার উপস্থিতি সেইটা নাকি পার্মানেন্টলি মুছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ।

***পরিবারে বাবা নেই, তাই তার উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে সবরকম । বোনরা যেহেতু বড় আর বোন জামাইদের কথাকেও প্রাধান্য দেয় অধিক, বোনেদের মতামতকে প্রাধান্য দেয় । আর্থিকভাবে সহায়তা লাগলে পায় ।
***সাধারণভাবে চলাফেরা করেন

***এইজ গ্যাপ ১০ বছরের

***আমার পরিবার কেমন তা জানতেও চান না, আমি কেমন এটাই তার কাছে ম্যাটার করে । কারণ উত্তম আদর্শবান মায়ের মাধ্যমেই আদর্শ প্রজন্মের শুরু হয়


***যেকোনো অবস্থায় বিয়ে করতে প্রস্তুত

***প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বোনের জামাইদের অগ্রাধিকার দেবেন, যেহেতু বাবা নাই।

এর বেশী কিছু জানি না ।

এখন আমি দ্বিধায় পড়ে আছি । অথচ দ্বিধায় পড়ার কথা ছিলোই না । এমনটা আমার সাথে কেন হচ্ছে জানি না । আমি নিজেকে ইমোশনালি ঠিক রাখতে পারছি না । বারংবার ভেঙে পড়ছি । হতাশায় ভুগছি । মানসিক অশান্তি তো আছেই ‌। কারণ হিসেবে মাথায় যা আসতেছে তা হলো, আমি কি আমার আবেগ-ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিবো নাকি কি করবো । অথচ মু'মিন তো ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত থাকে না , আল্লাহর উপর ভরসা করে থাকে ।‌কিন্তু আমরা তো দূর্বল ঈমানদার, আমরা তো সবসময় শক্ত থাকতে পারি না, ভেঙে যাই আবার উঠি আবার ভেঙে যাই । এখন যদি আমি ওনাদের যেকোনো একজনকেও না বলে দিই, তাহলে হয়তো আমার কারণে তাদের যেকোনো একজন খুব বেশি ইমোশনাল ব্রেকডাউনে ভুগবেন, যারা যারা জানতো তারা আমার ব্যাপারে কু-ধারণা পোষণ করবে । দুজনে মন থেকেই আমাকে পছন্দ করে । হালালভাবে চায়। আমার মাথায় বারবার আসতেছে যে, আমি যার সাথে সম্পর্কে ছিলাম তাকে ফিরিয়ে দিলে, সে আজীবন আমার প্রতি ক্ষোভ পোষণ করবে , আমাকে ধোঁকাবাজ বলবে ,তার আর আমার পরিচিত যারা আমাদের ব্যাপারে জানতো তারা আমাকেই দোষারোপ করে যাবে, সেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে , আর আমার মাথায় আসবে আমি তাকে ধোঁকা দিয়েছি । আর ২য় জনকে যদি ফিরিয়ে দেই, সে আমাকে যেমন নিজের চক্ষুশীতলের কারণ ভেবেছিলো, সে আর উঠে দাড়াতে পারবে কি না জানি না , আর না ফেরালে মনে হবে যে আমার চেহারা তো তার হক্বে ছিলো, আমি তো তার হক্ব‌ নষ্ট করেছি , বান্দার হক্ব নষ্ট করার গুনাহ আমার জানামতে ভয়াবহ । আবার যদি এই বলে খোঁটা দেয় যে, আমি ন্যাশনালে পড়ি ,সে এমবিবিএস এর স্টুডেন্ট ।  নিজ মনকে অনেকবার‌ প্রশ্ন করেছি, কোনো নির্দিষ্ট উত্তর পাইনি । ইবলিশ আমাকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করেই যাচ্ছে ।

আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমি আর পারছি না এতো মানসিক অশান্তি নিয়ে থাকতে । আমার এ ক্ষেত্রে সত্যিই ইস্তেখারা করা উচিত দুজনের ব্যাপার???
যদি ইস্তেখারা করার প্রয়োজন হয়, কিভাবে , কয়দিন ব্যাপী করা উচিত?? কিভাবে দুআ করলে‌ কার্যকর হতে পারে ।
আমাকে অনুগ্রহ করে সু-পরামর্শ দিন , প্লিজ

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরোক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।

দ্বীনী বা বৈধ কোন জরুরী বিষয় থাকলে পর্দার আড়ালে থেকে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেই সমস্যায় পড়েছেন,এর মূল কারন হলো শরীয়তের বিরুদ্ধে গিয়ে গায়রে মাহরাম পুরুষ এর সাথে কথা বলা,ও বিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা।

আপনার প্রতি পরামর্শ,আপনি উক্ত বিষয় নিয়ে কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ এর সাথে আর কোনো কথা বলবেননা।

আপনার বাবাকে যেই ব্যাক্তি বিবাহের প্রস্তাব দিবে দিক,তারপর আপনার পরিবার যার প্রস্তাবে সম্মত হবে, আপনি তার ব্যপারে ইস্তেখারা করে ফাইনাল ডিসিশন নিবেন।

ইস্তেখারা করার পদ্ধতি জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 812 views
...