আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
reshown by
১।কবিরা গোনাহ শেষ পযর্ন্ত কুফরির দিকে নিয়ে যেতে পারে কুফরি বা শিরকি কাজে আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কোন ধরনের কবিরা গুনাহ সে পর্যন্ত নিয়ে যায়?

২।কবিরা গোনাহ কুফরি শিরকি কাজে আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে জেনেও করলে কি ইমান চলে যাবে?

৩।যিনাখোর ব্যাক্তি কি ইমান হারা হয়ে মরবে যদি তওবা না করে?

৪।যদি মনে হয় কুফরি শিরকি কাজে আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখি তখন কি করনীয়?

৫।কুফরি শিরকি কাজে আকৃষ্ট হলে যদি আমল না করে তাহলে কি ইমান চলে যাবে?


৬।একজন আলেম বলছিরেন যে যার নামে গীবত করা হয়েছে সে যদি না শুনে তার কাছে মাফ চাইতে হবে না সেটা বিধর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/105888/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
কবিরা গোনাহ শেষ পর্যন্ত কুফরির দিকে নিয়ে যেতে পারে। 

এর অর্থ হলো, কবিরা গোনাহ করতে করতে এক পর্যায়ে সে এটিকে হালাল মনে করতে পারে,যার দরুন ঈমান চলে যাবে।

আবার কবিরা গোনাহ করতে করতে এক পর্যায়ে সে কুফরি কাজও করতে পারে। 

(০২)
না,ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةًٍ يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিনাকারী যখন যিনা করে তখন আর সে ঈমানদার থাকে না। চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। মদ্যপ যখন মদ পান করে তখন তার আর ঈমান থাকে না। যখন ডাকাত এভাবে ডাকাতি করে যে, যখন চোখ তোলে তাকিয়ে থাকে তখন তার ঈমান থাকে না। এভাবে কেউ যখন গনীমাতের মালে খিয়ানাত করে, তখন তার ঈমান থাকে না। অতএব সাবধান! (এসব গুনাহ হতে দূরে থাকবে)।

বুখারী ২৪৭৫ [শেষ অংশটুকু তথা (وَلَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ) ব্যতীত], মুসলিম ৫৭, আবূ দাঊদ ৪৬৮৯, নাসায়ী ৪৮৭০, তিরমিযী ২৬২৫, ইবনু মাজাহ ৩৯৩৬, সহীহাহ্ ৩০০০, সহীহ আত্ তারগীব ২৩৫৫;মিশকাত ৫৩।)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
হাদীসের প্রকাশমান অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে, কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি মু’মিন নয় যেমনটি খারিজী এবং মু‘তাযিলাগণ বলে থাকে। তবে জামা‘আত তাদের বিপরীত মত পোষণ করেন এবং এ হাদীসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করেছেন। এ হাদীস এবং কুরআন ও অন্যান্য হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করার উদ্দেশে, যে দলীলগুলো প্রমাণ বহন করে যে, শির্ক ব্যতীত অন্য কোন কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ্’র দরুন কাউকে কাফির বলা যায় না। বরং এমন ব্যক্তি মু’মিন, তবে তাদের ঈমান অসম্পূর্ণ। যদি তারা তাওবাহ্ করে তবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে। আর যদি তাওবাহ্ ব্যতীত কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহে লিপ্ত থেকেই মারা যায় তাহলে তারা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমাও করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উল্লেখিত হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এমন ব্যক্তি মু’মিন, তবে তাদের ঈমান অসম্পূর্ণ। 
তারা কাফের হয়ে যায়না।

সুতরাং যিনাকার ব্যাক্তি তওবা না করে মারা গেলেও ঈমানহারা হয়ে মারা যাবেনা।

(০৪)
সে কাজ করা হতে বিরত থাকতে হবে।

(০৫)
ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৬)
বিষয়টি মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা।
কেহ কেহ এমনটিও বলেছেন।

তবে তার উপর সর্বসম্মতিক্রমে তওবা আবশ্যক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...