আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
গর্ভাবস্থায় নমাজে সিজদাহ্ দেয়ার সময় উরুতে পেটে চাপ লাগে।এজন্য আমি পা কিছুটা ছড়িয়ে সিজদাহ দেই,আবার কখনো পুরুষদের মতো কিছুটা  উচু হয়েও সিজদাহ্ দেই,এভাবে বেশী সুবিধা হয়। এই দুই ভাবে সিজদাহ্ করলে নামাজ হবে কি?নাকি ইশারায় বা অন্য কোনো ভাবে সিজদাহ্ করতে হবে?  উল্লেখ্য আমার দাড়াতে বা সোজা হয়ে বসতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না আলহামদুলিল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
 ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ " 
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গর্ভাবস্থায় যেভাবে মহিলাদের জন্য সম্ভব, সেভাবেই নামায পড়বে।পা কিছুটা ছড়িয়ে সিজদাহ সিজদা দেওয়া যদি আপনার সম্ভবপর হয়,তাহলে সেভাবেই দিয়ে দিবেন। যদি কষ্টকর হয়, তাহলে কিয়াম রুকু করে  বসে ইশারাতেই সিজদা দিতে পারবেন অথবা সম্পূর্ণ নামায বসে ইশারাতে পড়তে পারবেন। 

لما الفتاوی الهندیة :
"وإن عجز عن القيام و الركوع والسجود وقدر على القعود يصلي قاعدا بإيماء، ويجعل السجود أخفض من الركوع."(كتاب الصلاة، فصل في صلاة المريض، 136/1، ط: رشيديه) 

وفي الدرّالمختار:
"(وإن تعذرا) ليس تعذرهما شرطا بل تعذر السجود كاف (لا القيام أومأ) بالهمز(قاعدا)وهو أفضل من الايماء قائما لقربه من الارض (ويجعل سجوده أخفض من ركوعه) لزوما (ولا يرفع إلى وجهه شيئا يسجد عليه) فإنه يكره تحريما (فإن فعل) بالبناء للمجهول، ذكره العيني (وهو يخفض برأسه لسجوده أكثر من ركوعه صح) على أنه إيماء لا سجود، إلا أن يجد قوة الارض(وإلا) يخفض (لا) يصح لعدم الايماء.

(قوله: ويجعل سجوده أخفض إلخ) أشار إلى أنه يكفيه أدنى الانحناء عن الركوع وأنه لا يلزمه تقريب جبهته من الأرض بأقصى ما يمكنه كما بسطه في البحر عن الزاهدي.

 (قوله: وإلا يخفض) أي لم يخفض رأسه أصلا بل صار يأخذ ما يرفعه ويلصقه بجبهته للركوع والسجود أو خفض رأسه لهما لكن جعل خفض السجود مساويا لخفض الركوع لم يصح لعدم الإيماء لهما أو للسجود."
(كتاب الصلاة، باب صلاة المريض، ص:101، ط:دارالكتب العلمية)

وفيه أيضاً:
"إن كان الموضوع مما يصح السجود عليه كحجر مثلا ولم يزد ارتفاعه على قدر لبنة أو لبنتين فهو سجود حقيقي فيكون راكعاً ساجداً لا مومئاً حتى إنه يصح اقتداء القائم به."
(كتاب الصلاة، باب صلاة المريض، 99/2، ط: سعيد)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 154 views
...