আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ,

1. সন্তান ডেলিভারির কিছুক্ষণ আগে একধরনের রক্তপাত হয় বা কখনো কখনো শুধু পানি ভাঙে | ঐ সময় থেকে বাচ্চা জন্ম নেয়ার আগ পর্যন্ত যদি কোন সালাতের সময় আসে, ঐ সালাত কি আদায় করতে হবে? যদি করতে হয়, তবে ঐ সময় ওযু কি রক্ত/পানি গমনরত অবস্থায় করতে হবে?

যদি রক্ত / পানি নির্গত না হয়ে ডেলিভারির পেইন উঠে, ঐ অবস্থায় কি যথানিয়মে সালাত আদায় করতে হবে?

2. গর্ভাবস্থায় শারীরিক সমস্যার জন্য সালাতে বসা থেক উঠে দাড়াতে কষ্ট হলে, পাশে রাখা কোন টেবিল/চেয়ার/টুল ইত্যাদি এক হাত দিয়ে ধরে এই সাপোর্ট এর সাহায্যে উঠে দাড়ালে সালাতের কোন ক্ষতি হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
 ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ " 
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
বাচ্ছা ভূমিষ্ট হওয়ার মুহূর্তে যদি বাচ্ছার অর্ধেকের চেয়ে কম বাহির হয়, এবং সেই সময়ে জরায়ু থেকে কিছু বাহির হয়, তাহলেও সেটাকে নেফাস গণনা করা হবে না বরং অর্ধেকের চেয়ে বেশি বাহির হওয়ার সময় যদি জরায়ু থেকে কিছু বাহির হয় তাহলে সেটাকে অবশ্যই নেফাস মনে করা হবে। সুতরাং বাচ্ছা অর্ধেকের চেয়ে কম বাহির হওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত নামায পড়তে হবে প্রয়োজনে চেয়ারে বসে বা ইশারার মাধ্যমেও নামায পড়তে হবে। 

(২) গর্ভাবস্থায় শারীরিক সমস্যার জন্য চেয়ারে বসে নামায পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,400 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 60 views
0 votes
1 answer 80 views
0 votes
1 answer 519 views
...