আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার নামাজে বার বার বেগ আসে।মনে হয় এখন বুঝি ওউজু নষ্ট হলো। প্রত্তেক নামাজে শুধু ফরজ নামাজ আদায় করতে ৭/৮ বার ওউজু করা লাগে। ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে আসতে আসতে প্রত্তেক  স্টেপের সাথে মনে হয় হাল্কা বায়ু বের হচ্ছে। কিন্তু সরাসরি তা বুঝা যায় না। আমি মাঝে মাঝে নামাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু আবার খুব ভয় হয় যদি আমি নাপাক অবস্থায় নামাজ পরি। আবার নামাজ ভেঙে ওউজু করি। নামাযে থাকা অবস্থায় আমার বেগ আসে তখন রুকুতে সেজদাই যাওয়ার সময় আমি হাল্কা কিছু আমার ব্যাক এরিয়াতে অনুভব করি বার বার জানি না আসলে আমার কি ওউজু নস্ট হয়েছে কি না। কিছু ক্ষেত্রে আমি নামাজ ভেঙে ফেলি আবার মাঝে মাঝে দেখা যায় আমি ইগনর করি। আমার আগে থেকে ওয়াসাওয়াসার সমস্যা আছে। আমার এখন নামাজ পরতে অনেক ভয় লাগে।আমি নামাজে আগে চেষ্টা করি যেন আমার ওউজু না নস্ট হয় তবে কিছুই হয় না। আমি দেখেছি সবাই বলে যে ইগনর করতে কিন্তু আমি তহ আসলেই হাল্কা কিছু ইনুভব করি।কিন্তু সাভাবিক ভাবে আমরা যেইভাবে  বাতাসের নিরগমন অনুভব করি ঠিক সেইভাবে না। এখন আমি বুজতে পারছিনা আমি কি অতিরিক্ত সতর্ক নাকি আসলে নামাজ যে ভুল হচ্ছে। আমার কি আগের নামাজ গুলো রিপিট করা লাগবে। আমি কিভাবে সহজ করব। প্রায় ২ মাস ধরে এই কস্ট আমি ক্লান্ত

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শরীয়তে ইসলামি সহজতার উপর নির্ভরশীল। শরীয়ত চায় না মানুষ কষ্টে নিপতিত হোক।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ 
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না(সূরা বাক্বারা-১৮৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ)
নিশ্চয় দ্বীনে ইসলাম সহজ।(সহীহ বুখারী-৩৯)
 
আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা যা বুঝেছি,আপনার এ বিষয়টা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।যাতে করে শয়তান আপনাকে কষ্টে নিপতিত করে।এবং শেষ পর্যন্ত ইবাদতকে আপনার নিকট অসহনীয় ও কষ্টকর করে তুলতে পারে।সুতরাং এমন পর্যায়ের কাউকে আবার ওজু করার নির্দেশ দেয়া হবে না।এবং খুজতে আদেশ করা হবে না যে,কিছু বের হল কি না? বরং তার উপর দায়িত্ব হল সে প্রথমে ইস্তেঞ্জা করবে,তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে।যাতেকরে তার সামনে ওয়াসওয়াসার দরজা সমূলে ধংশ হয়ে যায়।অতঃপর সে অজু করবে এবং নামায পড়বে।সে শয়তানের প্ররোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে,কিছু বের হয়েছে কি না।

কিন্তু যদি কারো ঈয়াকিন বা পূর্ণ বিশ্বাস হয় যে,কিছু বের হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় সে আবার অজু করতে হবে।সেজন্য আপনি রোমাল বা টিস্যু ইত্যাদি লজ্জাস্থানে রেখে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4271

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সন্দেহ দ্বারা অজু ভঙ্গ হবে না। আপনি আপনার নামায চালিয়ে যান, যখন বায়ূর আওয়াজ শুনবেন, অথবা নাকে গন্ধ আসবে, তখন নতুন করে অজু করে নামায পড়বেন, নতুবা পূর্বের অজু দ্বারাই নামায চালিয়ে যাবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 184 views
0 votes
1 answer 83 views
0 votes
1 answer 195 views
...