আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
257 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
২অনেক এপে দেখি আসরের ওয়াক্ত মাগরিব নামাজের আযাজের আগ পর্যন্ত সময় থাকে, এটা কি সঠিক? সূর্যাস্ত এর সময় মাকরুহ সময় কোনটা?মাকরুহ সময়ের বিস্তার কতক্ষণ বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।


২. আমার স্বামী বিকালে বা ভোরে ঘুমালে আমি নামাজের জন্য ডাকলে সে রাগ করে, আমি তাও বার বার ডাকি। এখন আমার জন্য কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?  স্বামী রাগ হওয়া শর্তেও নামাজের জন্য ডেকে দেয়া? নাকি তাকে খুশি রাখতে না ডাকা। না ডাকলে নামাজ কাজা হয়ে যায় উনার।

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়ার পর মাকরুহ ওয়াক্ত শুরু হয়।
এখান থেকে সুর্যাস্থ পর্যন্ত মাকরুহ ওয়াক্ত চলে।
সুর্যাস্থ এর সময় ২/৩ মিনিট। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
যেহেতু ঐ দিনের আছরের নামাজ মাকরুহ ওয়াক্তেও ছহীহ ভাবেই আদায় হয়,এমনকি ঐ দিনের আছরের নামাজ শুরু করে দেওয়ার পর সুর্যাস্থ হয়ে গেলেও আছরের নামাজ আদায় হয়ে যায়,তাই সাধারণত কিছু ক্যালেন্ডার,কিছু App এ সেই সময় দেয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ

عن أبي هريرة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من أدرك من الصبح ركعة قبل أن تطلع الشمس، فقد أدرك الصبح، ومن أدرك ركعة من العصر قبل أن تغرب الشمس، فقد أدرك العصر»

তরজমাঃ-

যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন ফজরের নামাযকে পেয়ে গেল।যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন আসরের নামাযকে পেয়ে গেল।(সহীহ বুখারী-৫৭৯,সহীহ মুসলিম-৬০৮)

কেহ যদি সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়ার পর ঐ দিনের আছর নামাজ পড়বে,তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

এমনকি কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ঐ দিনের আসরের নামাযে দাড়িয়ে যায়,নামাজ শুরু করে, অতঃপর নামাযের মধ্যেই সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৫৪)  

فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد العصر؛ لأنه ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق الأولى

যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায ফাসিদ হবে না।কেননা সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল(ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব মূহুর্তটা নামায ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ ওয়াক্তে বা অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায় উত্তমভাবে আদায় হবে।(বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
তাকে নামাজের জন্য ডাকাই আপনার জন্য জরুরি। 
এতে আপনিও অশেষ  ছওয়াবের ভাগীদার হবেন।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...