আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
(১)শাইখ আমার প্রশ্ন হল আমি আগে প্রশ্ন করেছিলাম যে "যদি আমি বান্দার হক রিলেটেড গুনাহের জন্য ক্ষমা চাই তাহলে কি হক আদায় করার আগেই আমি  ধরে নিব যে  আমি ক্ষমা পেয়ে গিয়েছি" সে প্রশ্নের উত্তর আমি পেয়েছিলাম যে আগে বান্দার হক আদায় করতে হবে তারপর ক্ষমা পাওয়া যাবে। শায়েখ এখন আমার প্রশ্ন হল বান্দার নামে যদি গীবত, করে থাকে যদি কারো কাছে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে ভুলে যাই,  কখন কার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলাম, কি ওয়াদা করেছিলাম, কার কার নামে গীবত করেছিলাম, এসব  মনে করা সময়সাপেক্ষ। এখন  ব্যাপারটাকি এমন যে আমি যদি আগেই ক্ষমা চাই বান্দার হক রিলেটেড গুনাহের জন্য তাহলে কি ব্যাপারটা এমন যে আমি ক্ষমা যখন চাবো তখন এই বিশ্বাস নিয়ে চাবো যে যখন বান্দার হক শোধ করা হবে তখন গুনাহ মাফ হবে?


(২)শায়খ আমি যদি আমার করা সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা চাই তখন কি আমিএক ধরনের গুনাহের জন্য একধরনের  বিশ্বাস রাখবো ?যেমন আল্লহ রব্বুল আলামিনের হক রিলেটেড গুনাহগুলো ক্ষমা হয়ে যাবে- ক্ষমা চাওয়ার সাথে সাথেই এবং বান্দার হক রিলেটেড গুনাহ ক্ষমা হবে হক আদায়  করার পর ক্ষমা হবে বিশ্বাস  কি এমন হবে? নাকি বিশ্বাসটা এই কিভাবে হবে যে মাফ চাওয়ার সাথে সাথে বান্দার হক রিলেটেড গুনাহ এবং আল্লহ রব্বুল আলামিন এর রিলেটেড সব গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে?
(৩)ব্যাপারটা কি এমন হবে যে যেমন: আমি ১ তারিখ সকল বান্দার হক রিলেটেড গুনাহের জন্য ক্ষমা  চাইলাম। ২ তারিখ যখন আমি আমার এক বন্ধুর কাছে ক্ষমা চাইলাম গীবত তার পিছনে করার জন্য তখন এই গুনাহ মুছে গেলো। আবার ৩ তারিখ ঋণ পরিশোধ করলাম এই গুনাহ ক্ষমা হয়ে গেলো। মানে ব্যাপারটা কি এমন যে বান্দার হক রিলেটেড সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পর ক্ষমা পেয়ে যাবো? নাকি ব্যাপারটা এমন যে বান্দার হক রিলেটেড সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পর যখনই ১ টা পাওনা শোধ হবে তখনই সেই গুনাহ টি মুছে যাবে এভাবে পাওনা শোধ গুনাহ মুছে যাওয়া এই ধারাবাহিকতায় চলবে যেমন কাউকে কষ্ট দিলে তার কাছে ক্ষমা চাইলে গুণাহটি মুছে যাবে?


(৪) এমন  কেউ মারা গেলে বা তার খোঁজ না পাওয়া গেলে যার হক আমি নষ্ট করেছি তখন আমি কি করবো কি করলে আমার গুনাহ ক্ষমা হবে?


(৫) শায়খ আমার প্রশ্ন হল একটি বড় মসজিদ আছে যার ভিতরে একটি সুন্দর লাইব্রেরী আছে এখন আমার প্রশ্ন হল  ওই লাইব্রেরিতে যে বইগুলো উঠেছে যদি বই উঠানোর সিস্টেম এমন হয়ে থাকে যে  -যেরকম অনেকে নিজের বাসার কুরআন শরীফ  মসজিদে দান করে থাকেন। সেইভাবে যদি বই ওই লাইব্রেরীতে জমা দেওয়ার সিস্টেম এমন থেকে থাকে।

তাহলে আমার প্রশ্ন হল এখন কে হারাম টাকায় একটা বই কিনে লাইব্রেরীতে জমা দিয়েছে এটা তো আসলে আমি জানিনা ।যদি  এখানে ১ হাজার বই থেকে থাকে আর ১০০০ জন মানুষ যদি এই বইগুলো দিয়ে থাকে তাহলে ১০০০ জন  মানুষদের মধ্যে বৈচিত্রময় ইনকাম থাকতে পারে কার ইনকামসোর্স কি সেটা বের করা খুবই কঠিন । তাহলে কি আমি এই বিশ্বাস রাখবো মানে আমি কি তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা করবো একজন মুসলিম সম্পর্কে ভালো  ধারনা করে ওই বই গুলো পড়বো নাকি সেই লাইব্রেরীতে বই পড়বো না?


(৬ )শায়খ আমি যদিও এই প্রশ্নটা করেছি কিন্তু  সুন্দর ভাবে বুঝাইতে পারি নাই আমার প্রশ্ন হল যদি কোন মসজিদ অধিকাংশ হালাল টাকা দিয়ে নির্মিত হয়ে থাকে সে মসজিদের সূচক সুবিধা গুলো গ্রহণ করা যায় ।এখন আমার প্রশ্ন হল একটা মসজিদে হালাল ইনকামের ডোনারও থাকে হারাম ইনকামের ডোনারও থাকে কিন্তু কোন মসজিদ অধিকাংশ হালাল টাকা দিয়ে নির্মিত হয়েছে কোন মসজিদ অধিকাংশ হারাম টাকা দিয়ে নির্মিত হয়েছে এটা তো আসলে  জানা খুবই কঠিন এবং কিভাবে জানব এটাও আমি তেমন ভালোভাবে জানিনা । যদি কোনো মসজিদ অধিকাংশ হারাম টাকা দিয়ে তৈরি করা হয় কিন্তু সে মসজিদের নির্মাণে হালাল টাকার উপস্থিত থাকে মানে অধিকাংশ হারাম টাকা দিয়ে নির্মিত হলেও হালাল টাকার উপস্থিতি  আছে তাহলেকি সেই মসজিদের সুযোগ সুবিধা আমি গ্রহণ করতে পারবো? আর আসলে যদি অধিকাংশ হারাম টাকা দিয়ে মসজিদ তৈরি হয়ে থাকে সেটা জানার মত উপায় তেমন একটা আমি জানিনা না তাহলে কি আমি ভালো ধারণা করব তাদের সম্পর্কে? আসলে কি করবো আমি বুঝতেছিনা?

1 Answer

0 votes
by (589,800 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) সাধারণত নিয়ম হল, আপনি আপনি প্রথমেই বান্দার হক পূর্ণ করবেন।তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। কখনো যদি পূর্বে হক ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভবপর না হয়, বরং আপনি বান্দার হক রিলেটেড গুনাহের জন্য আগেই ক্ষমা চান, তাহলে তখন এই বিশ্বাস নিয়ে ক্ষমা চাইবেন যে, আমি অচিরেই তার হককে শোধ করবো।

(২) আল্লাহর হক সম্পর্কীয় গোনাহ খালিছ নিয়তে তাওবাহ করার সাথে সাথেই ক্ষমা হয়ে যাবে যদি আল্লাহ চান। এবং বান্দার হক সম্পর্কীয় গোনাহ থেকে মুক্তি পেতে হলে, অবশ্যই সেই হক ফিরিয়ে দিতে হবে। এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে তবেই দু'আ করতে হবে।

(৩) বান্দার হক রিলেটেড সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পর যখনই ১ টা পাওনা শোধ হবে তখনই সেই গুনাহটি মুছে যাবে যদি আল্লাহ চান।

(৪)যার হক নষ্ট করা হয়েছে, সে মারা গেলে তার ওয়ারিছের নিকট হক ফিরিয়ে দিতে হবে বা মাফ চাইতে হবে। তবে যদি ঐ ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া না যায়, তাহলে তার প্রাপ্যকে সদকাহ করে দিতে হবে।আর মাল জাতীয় না হলে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই ক্ষমা চেয়ে নিলে হবে।

(৫) আপনি ভালো ধারণা রেখে সেই লাইব্রেরী থেকে পড়তে পারবেন।

(৬) আপনার এতোকিছু তালাশের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই, আপনি সকল মসজিদেই নামায পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...