ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একজনের জমি অন্যজন চাষ করেন যাকে বর্গাচাষ বলা হয়ে থাকে, এটা মূলত দুইভাবে হয়ে থাকে।
(ক)
কারো জমিন টাকার বিনিময়ে এক বৎসরের জন্য ভাড়া নিয়ে চাষ করা। এটাকে রং জমা নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
(খ)
কারো জমিকে উৎপাদিত ফসলের হিস্যার উপর চাষ করা হয়।এভাবে যে, জমির মালিক পাবে, অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ এবং চাষী পাবে অবশিষ্টাংশ।এটাকে বর্গাচাষ বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
প্রথম প্রকারের উৎপাদিত ফসলের উশর, শুধুমাত্র চাষকারীর উপরই আসবে। আর দ্বিতীয় প্রকারের উশর জমির মালিক এবং চাষকারী উভয়ের উপরই আসবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/76399
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জমিকে যদি ভাড়ায় দেয়া হয, তাহলে উশর দিতে হবে না। তবে যদি কাউকে চাষের জন্য দেয়া হয়, উক্ত চাষী জমির মালিককে যাই দিবে, টাকা দেউক বা উৎপাদিত ফসল হোক, সেই ফসল ও টাকার ১০ ভাগের একভাগ মালিককেও উশর দিতে হবে।
(২) উশর ফরয হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ উৎপাদিত হওয়া শর্ত নয়। বরং যাই উৎপাদিত হবে, তাতেই উশর ফরয হবে। এটার উপরই ফাতাওয়া।
(৩) আপনি যদি জমির মালিক হন, তাহলে যখনই আপনার কাছে ফসল বা ফসলের মূল্য আসবে, তখনই আপনাকে উশর দিতে হবে।