আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু, উস্তাদ,আমার প্রশ্ন হলো,

১।আমার স্বামী উনার বাবা নেই। উনি এখনো স্টুডেন্ট। তো উনাদের বাড়ির সব জমি লিস বা বর্গা বা পত্তন দিয়ে চাষ করা হয়। এখন যারা চাষ করছে তারা টাকা দেয় কিছু। এখন সেই ফসল দেয় কিনা জানি না আমি। তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই ক্ষেত্রে যাকাত দেওয়ার বিধান কি? যদি ফসল দেয় বা টাকা দেয় কতটুকু টাকা বা ফসল হলে যাকাত দিতে হবে যদি বুঝিয়ে বলতেন ইন শা আল্লাহ!
২। আর আমার বাবার বাড়িতে এবং আমার শশুর বাড়িতেও অনেক ফলের গাছ আছে আম বরই কলা কাঠাল এখন এসব ফলের নিসাব পরিমাণ কত হতে হবে?  কারন এই ফল বিক্রি করে না নিজেরাই খায় আর আত্নীয় দের দেওয়া হয়৷ কাঠাল ওতো ধরে না বছরে ৩ ৪ ৫ টা এরকম। তো কতটুকু পরিমান হলে আমার বাবা আর আমার স্বামী যাকাত দিবেন? আর আমার বাবার বাড়িতে তেমন আম কলা ধরে না নিজেরাই খেলে শেষ হয়ে যায় আত্নীয়দেরো দেয়া যায় না৷ এখন আবার বাবার ক্ষেত্রেও কতটুকু পরিমান হলে যাকাত দিবে? যদি বলতেন ইন শা আল্লাহ
৩। আর এই যে যাকাত দেওয়াত ব্যাপারটা এটা কি আমাকেও দিতে হবে? সম্পদ গুলো তো আমার হস্তগত না তাই আমার ক্ষেত্রে কখন যাকাত হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একজনের জমি অন্যজন চাষ করেন যাকে বর্গাচাষ বলা হয়ে থাকে, এটা মূলত দুইভাবে হয়ে থাকে।
(ক)
কারো জমিন টাকার বিনিময়ে এক বৎসরের জন্য ভাড়া নিয়ে চাষ করা। এটাকে রং জমা নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে।

(খ)
কারো জমিকে উৎপাদিত ফসলের হিস্যার উপর চাষ করা হয়।এভাবে যে, জমির মালিক পাবে, অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ এবং চাষী পাবে অবশিষ্টাংশ।এটাকে বর্গাচাষ বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।

প্রথম প্রকারের উৎপাদিত ফসলের উশর, শুধুমাত্র চাষকারীর উপরই আসবে। আর দ্বিতীয় প্রকারের উশর জমির মালিক এবং চাষকারী উভয়ের উপরই আসবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/76399

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জমিকে যদি ভাড়ায় দেয়া হয, তাহলে উশর দিতে হবে না। তবে যদি কাউকে চাষের জন্য দেয়া হয়, উক্ত চাষী জমির মালিককে যাই দিবে, টাকা দেউক বা উৎপাদিত ফসল হোক, সেই ফসল ও টাকার ১০ ভাগের একভাগ মালিককেও উশর দিতে হবে।

(২) উশর ফরয হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ উৎপাদিত হওয়া শর্ত নয়। বরং যাই উৎপাদিত হবে, তাতেই উশর ফরয হবে। এটার উপরই ফাতাওয়া।

(৩) আপনি যদি জমির মালিক হন, তাহলে যখনই আপনার কাছে ফসল বা ফসলের মূল্য আসবে, তখনই আপনাকে উশর দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...