আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আমি প্রায় ৪ মাস ধরে দু:স্বপ্ন দেখছি।৩-৪ দিন বা ১০ দিন পর পর একেকটা খারাপ স্বপ্ন দেখছি। খারাপ স্বপ্ন আগেও দেখতাম কিন্তু সেটা একবার, এভাবে বারবার দেখতাম না। কখনো মাঝরাতে খারাপ স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায়।কখনো ভোরবেলায় দেখি আবার কোনোদিন বিকেলে ঘুমালেও দেখি। যখন ই দেখি আমার ঘুম ভেঙে যায়। উঠে বামদিকে থুথু ফেলি কান্না করি ভয় পেয়ে যাই অনেক।কিছু টা স্বাভাবিক হলে  নফল নামাজ পড়ি।আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, তবে মাঝে মাঝে ফজর কাজা হয়। স্বপ্নে আমি এবং আমার আপন জন যেমন মা -বাবা,বোন, স্বামী, শ্বশুর শ্বাশুড়ি এবং নিজের অনেক ক্ষতি হতে দেখি।কখনো দেখি আমি আমার বাবা মাকে কষ্ট দিচ্ছি ক্ষতি করছি কখনো দেখি আমার স্বামী আমার ক্ষতি করছে,পাপ কাজ করাচ্ছে।আবার কখনো দেখি আমার স্বামী পাপে লিপ্ত হচ্ছে।

সারমর্মে আমার মনে হয় আমি আমার স্বামীর পরিবার পাপের মধ্যে রয়েছি এবং আমি নিজে আমার বাবা মার ক্ষতি করছি।
এতবার এতকিছু দেখছি এবং বারবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।আমি শুধু নফল নামাজ এ আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
এরকম আমার সাথে কেন হচ্ছে?এবং কিভাবে আমি এইসব দু:স্বপ্ন দেখা থেকে রক্ষা পাব?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
واصدق الرؤيا بالاسحار
রাত্রের শেষাংশের(সেহরীর) স্বপ্ন বাস্তব সম্মত হয়।(তিরমিযি-২২৭৪)
যখন দিন রাত্রি বরাবর বা সমান সমান হবে তখন অধিকাংশ স্বপ্নই বাস্তব সম্মত হবে।(আবুদাউদ-৫০১৯)

স্বপ্নের হাক্বীক্বত সম্পর্কে আল্লামা মাযরি রাহ বলেন,
ﻭﻗﺎﻝ اﻟﻤﺎﺯﺭﻱ: ﻣﺬﻫﺐ ﺃﻫﻞ اﻟﺴﻨﺔ ﺃﻥ ﺣﻘﻴﻘﺔ اﻟﺮﺅﻳﺎ ﺧﻠﻖ اﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻗﻠﺐ اﻟﻨﺎﺋﻢ اﻋﺘﻘﺎﺩاﺕ ﻛﺨﻠﻘﻬﺎ ﻓﻲ ﻗﻠﺐ اﻟﻴﻘﻈﺎﻥ، ﻭﻫﻮ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻳﻔﻌﻞ ﻣﺎ ﻳﺸﺎء ﻻ ﻳﻤﻨﻌﻪ ﻧﻮﻡ ﻭﻻ ﻳﻘﻈﺔ، ﻭﺧﻠﻖ ﻫﺬﻩ اﻻﻋﺘﻘﺎﺩاﺕ ﻓﻲ اﻟﻨﺎﺋﻢ ﻋﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻣﻮﺭ ﺃﺧﺮ ﺗﻠﺤﻘﻬﺎ ﻓﻲ ﺛﺎﻧﻲ اﻟﺤﺎﻝ ﻛﺎﻟﻐﻴﻢ ﻋﻠﻰ اﻟﻤﻄﺮ
আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের ভাষ্যমতে স্বপ্নের মূল রহস্য হল যে,আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক ঘুমন্ত ব্যক্তির অন্তরে কিছু খেয়ালাত সৃষ্টি হয় যেভাবে জাগ্রত ব্যক্তির অন্তরে সৃষ্ট থাকে।আল্লাহ ঐ পবিত্র সত্তা যিনি যা ইচ্ছা তাই করেন,যাকে ঘুম বা তন্দ্রা বাধা দিতে পারেনা।ঘুমন্ত ব্যক্তির মধ্যে ঐ সমস্ত খেয়ালাতের উপস্থিতি তার পরবর্তি জীবনযাত্রার উপর ইঙ্গিত বহন করে।যেমন আকাশের মেঘ বৃষ্টিপাতের উপর প্রমান বহন করে থাকে।(মিরকাত-৪৬০৬হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এইসব স্বপ্ন দ্বারা আপনাকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে যে, যাতেকরে আপনি পরিপূর্ণ ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করে নেন। সুতরাং আপনার উচিৎ পরিপূর্ণ রূপে দ্বীন ইসলামকে মান্য করা এবং সাধ্যানুযায়ী দান ও সদকাহ করা। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক। আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...