আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ


১) বেশ অনেকদিন আগে এই স্বপ্ন দেখি। আমার খালাতো বোন কোনো এক বনে আছে। সে আমার থেকে প্রায় ৭ বছরের ছোট। সে এক বড় গাছের পাশে আছে৷ তার সামনে একটা সাদা জুব্বা সাদা টুপি পড়া একটা ছেলে আছে। ছেলেটা তার সমবয়সী বা তার থেকেও ছোট। ছেলেটা আমার দিকে ঘুরতেই ই দেখলাম তার চোখ দুইটা লাল।
২) গত কাল দেখি। আমাদের বাসায় অনেক মানুষ। কিছু একটার দাওয়াত। সেখানে জসিমউদ্দীন রাহমানীও আছেন! তিনি আমাকে অতি যত্নে তার মোবাইল দিলেন। সেখানে কি যেন দেখাচ্ছিলেন। আমি প্রথমে নিতে নাকচ করছিলাম। পরে নিলাম। এবং এমনি একটা নিউজ টাইপ ভিডিও দেখলাম। সেখানে আমি একটা বাদায় ও খেয়েছিলাম। সেটা কাঁচা বাদাম বাট তার স্বাদটা অনেক মজার (সাধারণত আমি কাঁচা বাদাম এক দমই খায়না)। এরপর নানা কিছু হওয়াট পর মেহমান সব চলে গেলো। তখন আম্মার থেকে শুনলাম। তিনি রুমে খেতে আসার সময় আমি থাকার জন্য ইতস্তত বেধ করছিলেন।  পরে আম্মারর আশ্বাসএ এসে খেয়েছিলেন নাকি। আমি বাকিদের সামনে পর্দা করলেও উনাট সামনে শুধু বড় হিজাব পরে ছিলাম। মুখ ঢাকা ছিলো না।
৩) আজ আবার আমি আরো দুইজন হুজুরকে স্বপ্নে দেখি। প্রথমে হুজুর আলি হাসান উসামা কে। উনি ছোট্ট একটা কিছুতে নৌকার মত করে বসে তার সাহায্য ত্রাণ টাইপস দিতে যাচ্ছেন। ছোট বাচ্চাদের দিচ্ছিলেন। তিনি তখন তাদের ঔষধও দেন এবং একটা ছোট্ট মেয়েকে সেটা খাওয়ান সেখানেই।  সেটা তিতা ছিলোনা তাই তিনি খুশি হয়ে আমাকে বলেন, এই ঔষধটা নিতে হলে আমার কাছে ই পাবে।
এরপর দেখি শায়েখ আহমাদুল্লাহকে। উনি ঘুমিয়ে ছিলেন। খুব শীত।  কুয়াশা। উনাকে তখন নানুর মত মনে হচ্ছিল।  আমি উনার পাশে ছিলাম। ফজরে উনি উঠলেন এবং আমাকেও মনে হয় নামাজের জন্য ডেকে দিলেন। উনাকে ঠিক নানু নানু মনে হচ্ছিল। এরপর আমি দেখি নানা (মারা গেছেন কয়েম মাস আগে) চালতা ফল কাটছেন। এবং সাজিয়ে রাখছেন। আমি কিছুক্ষণ পর সেটা খাওয়ার সময় দেখি সেটা বড় ডুমুর জাতীয় ফল। সবুজ হালকা। মাঝ থেকে দুইভাগ করা। আমি খেলাম৷ স্বাদও পেলাম! খুব মিষ্টি না। কিছুটা কষ্টা বা তেতো। বাট খেতে ভালো এমন।
আমি বাস্তব জীবনে শায়েখদের লেকচার খুব কম ই শুনি বা শুনি ই না বলা যায়।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
واصدق الرؤيا بالاسحار
রাত্রের শেষাংশের(সেহরীর) স্বপ্ন বাস্তব সম্মত হয়।(তিরমিযি-২২৭৪)
যখন দিন রাত্রি বরাবর বা সমান সমান হবে তখন অধিকাংশ স্বপ্নই বাস্তব সম্মত হবে।(আবুদাউদ-৫০১৯)

স্বপ্নের হাক্বীক্বত সম্পর্কে আল্লামা মাযরি রাহ বলেন,
 ﻭﻗﺎﻝ اﻟﻤﺎﺯﺭﻱ: ﻣﺬﻫﺐ ﺃﻫﻞ اﻟﺴﻨﺔ ﺃﻥ ﺣﻘﻴﻘﺔ اﻟﺮﺅﻳﺎ ﺧﻠﻖ اﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻗﻠﺐ اﻟﻨﺎﺋﻢ اﻋﺘﻘﺎﺩاﺕ ﻛﺨﻠﻘﻬﺎ ﻓﻲ ﻗﻠﺐ اﻟﻴﻘﻈﺎﻥ، ﻭﻫﻮ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻳﻔﻌﻞ ﻣﺎ ﻳﺸﺎء ﻻ ﻳﻤﻨﻌﻪ ﻧﻮﻡ ﻭﻻ ﻳﻘﻈﺔ، ﻭﺧﻠﻖ ﻫﺬﻩ اﻻﻋﺘﻘﺎﺩاﺕ ﻓﻲ اﻟﻨﺎﺋﻢ ﻋﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻣﻮﺭ ﺃﺧﺮ ﺗﻠﺤﻘﻬﺎ ﻓﻲ ﺛﺎﻧﻲ اﻟﺤﺎﻝ ﻛﺎﻟﻐﻴﻢ ﻋﻠﻰ اﻟﻤﻄﺮ 
আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের ভাষ্যমতে স্বপ্নের মূল রহস্য হল যে,আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক ঘুমন্ত ব্যক্তির অন্তরে কিছু খেয়ালাত সৃষ্টি হয় যেভাবে জাগ্রত ব্যক্তির অন্তরে সৃষ্ট থাকে।আল্লাহ ঐ পবিত্র সত্তা যিনি যা ইচ্ছা তাই করেন,যাকে ঘুম বা তন্দ্রা বাধা দিতে পারেনা।ঘুমন্ত ব্যক্তির মধ্যে ঐ সমস্ত খেয়ালাতের উপস্থিতি তার পরবর্তি জীবনযাত্রার উপর ইঙ্গিত বহন করে।যেমন আকাশের মেঘ বৃষ্টিপাতের উপর প্রমান বহন করে থাকে।(মিরকাত-৪৬০৬হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বপ্নগুলো ভালো ও কল্যাণময়। আল্লাহ আপনার ভবিষ্যত জীবন কল্যাণময় করুক। আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...