আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ উস্তাজ। আমার দুইটি প্রশ্ন :

১)উস্তাজ দ্বীনে ফেরার আগে  যে আমরা জন্মদিন পালন করতাম সেখানে মানুষ যে গিফট দিতো সেগুলো কী ব্যবহার করা যাবে?

২) ওস্তাদ আমি দিনে ফেরার পর থেকে জেনারেল পড়ার প্রতি মোটেও আগ্রহ খুঁজে পাই না। অনেকদিন যাবত এটা ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছি। দ্বীনের ইলম  প্রতি আগ্রহ অনুভব করি। তাই  জেনারেল ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছিলাম এসএসসি পর থেকে। বর্তমানে ভার্সিটিতে পড়ছি সেখানে কম্বাইন্ড ক্লাস হয়। নারী পুরুষ একসাথে বসে পরীক্ষা দিতে হয়, আরো নানা রকমের ফিতনা আছে সেখানে, পর্দার পরিবেশ নেই যদিও আমি শুধু পরীক্ষা দিতে যাই কিন্তু পর্দা প্রপারলি করা যায়না। আর উস্তাজ মূলত আমি সেখানে মোটেও আগ্রহ পাচ্ছিনা। আমার পরিবারকে বলেছি উনারা আমাকে পড়ার জন্য বলেছেন।আমি অনেক দ্বিধা-দ্বন্ধে ভুগছি। ছেড়ে দেওয়া কী যৌক্তিক হবে? না কী চালিয়ে যাবো উস্তাজ আপনার পরামর্শ চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এগুলো নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কাউকে দান করে দেয়া উত্তম হবে।
(২)
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতটুকু সম্ভব পর্দা আবৃত হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। অবশেষে যদি এমন পরিস্থিতি হয় যে, আপনার ঈমান আমল বরবাদ হয়ে যাবে, এবং আশপাশে মহিলা কলেজ বা পর্দা করা যায়, এমন কোনো কলেজের ব্যবস্থা না হয়, তাহলে তখন আপনি ভিন্ন চিন্তা করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...