বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/81215/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আবুদ্ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন,
وَعَنْ
أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ الدَّاءَ وَالدَّوَاءَ وَجَعَلَ لِكُلِّ دَاءٍ
دَوَاءً فَتَدَاوُوا وَلَا تداوَوْا بحرامٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা রোগ নাযিল করেছেন এবং প্রতিষেধকও। আর প্রত্যেক রোগের
ঔষধও নির্ধারিত করেছেন। সুতরাং তোমরা ঔষধ ব্যবহার করো, কিন্তু হারাম
বস্তু দ্বারা ঔষধ সেবন করবে না। (আবূ দাঊদ-৩৮৭৪,মিশকাত - ৪৫৩৮)
সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
وَعَن
سعدٍ قَالَ: سمعتُ رسولَ الله يَقُولُ: «مَنْ تَصَبَّحَ بِسَبْعِ تَمَرَاتٍ
عَجْوَةٍ لَمْ يضرَّه ذَلِك الْيَوْم سم وَلَا سحر»
আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে
বলতে শুনেছি- যে ব্যক্তি ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ
ও যাদু-টোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারী ৫৪৪৫, মুসলিম ২০৪৭ আবূ দাঊদ
৩৮৭৬মিশকাত ৪১৯০)।
এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, রোগ আসার পূর্বেই
প্রতিষেধক নেওয়া যাবে (আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৬/২১)।
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
وَعَنْ
جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ فَإِذَا أُصِيبَ دَوَاءٌ الدَّاءَ بَرَأَ بِإِذْنِ
اللَّهِ» . رَوَاهُ مُسلم
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
প্রত্যেক রোগের জন্য ঔষধ রয়েছে। সুতরাং সঠিক ঔষধ যখন রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়, তখন আল্লাহ তা’আলার
হুকুমে রোগী রোগমুক্ত হয়ে যায়। (মুসলিম -২২০৪ মিশকাত-৪৫১৫)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই টিকার বিষয়ে দ্বীনদার ও অভিজ্ঞ
এবং টিকা বিষয়ে জানাশোনা কোনো দ্বীনদার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তবে এ
ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে যে, দ্বীনদার ডাক্তার হতে হবে।