আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
উস্তায একজন বোন প্রশ্ন করেছেন,

আসসালামু আলাইকুম

আমার একজন ভালো বান্ধবী ছিল প্রায় ৯/১০ বছরের সম্পর্ক,,,আমার বান্ধবী আমার উপর শুধু মাত্র ধারণা করে মানুষের কাছে আমার নামে বদনাম রটিয়েছিল যেগুলো শুনে আমার মনে কষ্ট চলে আসে যার কারণে তার সাথে কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল ,,,,প্রায় তিন বছর পরে এসে মাঝখানে নিজের সব ভুল শিকার করে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে আমি ক্ষমা ও করে দিয়েছি,,,আর আমার বান্ধবীটা হিদায়াত হারিয়ে ফেলেছে দীনি ইলম চর্চায় অভস্ত্য নয়। আর আামার মাহরাম আমার ঐ বান্ধবীর সাথে কথা বলাটা পছন্দ করেন না যেহেতু আমাকে কষ্ট দিয়েছিল। আর একটা কথা যখন আমার বান্ধবীর সাথে ছিলাম তখন অনেক সময় গুনাহে লিপ্ত হয়ে যেতাম।  
এখন আমার প্রশ্ন হলো

১ ~ আমি আমার বান্ধবীকে দীনি ইলম চর্চায় ফিরে আনার জন্য কথা বলতে পারব আমার মাহরামকে না জানিয়ে?

২~ আমার বান্ধবীর সাথে কথা না বললে কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (556,680 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো স্বামীর বৈধ আদেশ পালন করা ওয়াজিব।  

হাদীস শরীফে  এসেছে-

একবার এক নারী সাহাবী রাসূলের কাছে এলেন নিজের কোনো প্রয়োজনে। যাওয়ার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্বামী আছে? তিনি বললেন, জী, আছে। নবীজী বললেন, তার সাথে তোমার আচরণ কেমন? সে বলল, আমি যথাসাধ্য তার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করি। তখন নবীজী বললেন, فانظري أين أنت منه، فإنما هو جنتك ونارك
 হাঁ, তার সাথে তোমার আচরণের বিষয়ে সজাগ থাকো, কারণ সে তোমার জান্নাত বা তোমার জাহান্নাম। (মুআত্তা মালেক, হাদীস ৯৫২; মুসনাদে আহমাদ, ৪/৩৪১ হাদীস ১৯০০৩; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২৭৬৯; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ১৪৭০৬)

অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إذا صلت المرأة خمسها ، وصامت شهرها ، وحصنت فرجها ، وأطاعت زوجها قيل لها : ادخلي الجنة من أي أبواب الجنة شئت
নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত  নামায ঠিকমত আদায় করবে, রমযানের রোযা রাখবে,  আপন লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে,  স্বামীর আনুগত্য করবে তখন সে  জান্নাতের যেই দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ ইবনে হিব্বান,  হাদীস ৪১৬৩)
,
আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই বান্ধবী যেহেতু দ্বীনদার নয়,তার সাথে চলার কারনে আপনি যেহেতু পূর্বে গুনাহে লিপ্ত হয়ে গিয়েছিলেন,সুতরাং এমতাবস্থায় নিজের ঈমান আমল হেফাজতের লক্ষ্যে স্বামীর আদেশ মেনে তার সাথে সম্পর্ক না রাখারই পরামর্শ থাকবে। 

এমতাবস্থায় সে ফোন দিলে বা কয়েক মাস পরপর আপনি ফোন দিয়ে সালাম বিনিময় করতে পারেন।
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন না করার পরামর্শ থাকবে।

তার সাথে কথা বললে গুনাহে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা বিন্দুমাত্র না থাকলে সেক্ষেত্রে তাকে দ্বীনের দিকে দাওয়াত দিতে পারেন,দ্বীনি বই হাদিয়া দিতে পারেন,ফরজে আইন ইলম অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...