জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
فَلاَ تَتَّبِعُوا الْهَوَى أَنْ تَعْدِلُواْ
‘ন্যায়বিচার করতে তোমরা খেয়ালখুশির অনুসরণ করো না’ (নিসা ৪/১৩৫)।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يَا دَاوُوْدُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيْفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُم بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيْلِ اللهِ
‘হে দাঊদ! আমি তোমাকে এই যমীনে আমার খলীফা (শাসক) বানালাম। অতএব তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়বিচার করো এবং কখনো খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না, তেমন করলে তা তোমাকে আল্লাহর রাস্তা থেকে দূরে সরিয়ে দেবে’ (ছোয়াদ ৩৮/২৬)।
وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطاً
‘তুমি এমন কোন ব্যক্তির আনুগত্য করবে না যার হৃদয়-মনকে আমরা আমাদের স্মরণ থেকে উদাসীন করে দিয়েছি, আর সে তার প্রবৃত্তির দাসত্ব করতে শুরু করেছে এবং তার কাজকর্ম সীমালংঘনমূলক’ (কাহফ ১৮/২৮)।
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
أَفَمَنْ كَانَ عَلَى بَيِّنَةٍ مِّن رَّبِّهِ كَمَنْ زُيِّنَ لَهُ سُوْءُ عَمَلِهِ وَاتَّبَعُوْا أَهْوَاءَهُمْ
‘যে ব্যক্তি তার মালিকের কাছ থেকে আসা সুস্পষ্ট সমুজ্জ্বল নিদর্শনের উপর রয়েছে তার সাথে এমন লোকদের তুলনা কীভাবে হবে যাদের চোখের সামনে তাদের মন্দ কাজগুলো শোভনীয় করে রাখা হয়েছে এবং তারা নিজেদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে’ (মুহাম্মাদ ৪৭/১৪)।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى، فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى-
‘আর যে ব্যক্তি তার মালিকের সামনে (হাশরের ময়দানে) দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং (সেই ভয়ে নিজের) মনকে কামনা-বাসনা থেকে বিরত রাখে, অবশ্যই জান্নাত হবে তার ঠিকানা’ (নাযি‘আত ৮০/৪০-৪১)।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবু ইয়া‘লা শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
اَلْعَاجِزُ مَنْ أَتْبَعَ نَفْسَهُ هَوَاهَا
‘অক্ষম-মূর্খ সেই ব্যক্তি যে নিজের মনকে তার প্রবৃত্তি বা খেয়ালখুশির কথামতো চলতে দেয়’।
(মুসতাদরাকে হাকেম, আহমাদ, ইবনু মাজাহ হা/৪২৬০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নফসের পুজা বলতে নফসের গোলামী,নফসের আনুগত্য করা বুঝায়।
শরীয়তের বিধান না মেনে মনচাহী জীবন পরিচালনা করা,নিজের খাহেশ অনুযায়ী চলা এর অন্তর্ভুক্ত।
নফসের অনুসরণ বলতে ইসলামী বিধান জানা থাকা সত্তেও ইসলামি বিধানের খেলাফ কোনো বিধানকে মনেপ্রাণে মানা ও বিশ্বাস করা ও সঠিক মনে করে অনুসরণ করার নামই হল, নফসের অনুসরণ।
(০২)
এটা শিরক বা কুফরি হবেনা।
(০৩)
এক্ষেত্রে এটাও বলবেন যে আপনার কাছে মিথ্যা বলে জীবনে যত টাকা নিয়েছি,সব থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।
এমতাবস্থায় আপনার মা কোনো চাপে নয়,বরং মন থেকে আপনাকে ক্ষমা করে দিলে সে টাকাগুলো দিয়ে যা যা ক্রয় করেছেন,সবই আপনার জন্য হালাল হবে।