ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ
ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ
ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা
একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে
যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ
তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ
থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس
قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন
মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার
অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন-
اجْتَنِبُوا
السّبْعَ المُوبِقَاتِ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللّهِ وَمَا هُنّ؟ قَالَ: الشِّرْكُ
بِاللّهِ... وَأَكْلُ الرِّبَا، وَأَكْلُ مَالِ اليَتِيمِ...
তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ
থেকে বিরত থাক। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেই সাতটি
ধ্বংসাত্মক কাজ কী? তিনি বললেন-
১. আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন
করা, ২. জাদু করা, ৩. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা
করা, যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। ৪. সুদ খাওয়া, ৫. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা,
৬. জিহাদের ময়দান থেকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন
করে পালিয়ে যাওয়া। ৭. সতী-সাধ্বী সরলমনা-উদাসীনা মুমিন নারীদের বিরুদ্ধে অপকর্মের মিথ্যা
অপবাদ দেওয়া। (সহীহ বুখারী, হাদীস ২৭৬৬, ৬৮৫৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৮৭৪; সুনানে নাসাঈ, হাদীস ৩৬৭১)
অপর একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
لَعَنَ
رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤكِلَهُ،
وَشَاهِدَيْهِ، وَكَاتِبَهُ.
যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, যে সাক্ষী থাকে এবং যে ব্যক্তি
সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয় সকলের প্রতি রাসূলে কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৬০; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৩৩৩; জামে তিরমিযী, হাদীস ১২০৬)
সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া, তা দিয়ে ব্যবসা করা, তা দিয়ে ঘর নির্মান করা, অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়।
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক
থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা
হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।
ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত
জানুন - https://www.ifatwa.info/1085
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার
জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাড়ি বানানো জায়েজ হবেনা। েএবং আপনার মা-বাবার জমি
তাদের সন্তুষ্টি ছাড়া বিক্রি করাও জায়েয হবে না। কারণ, জমির মালিক তারা। তবে হ্যাঁ
আপনার মালিকানাধীন জমাজমি বিক্রি করে আপনি বাড়ী করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। আপনার
ইন্তেকালের পর আপনার মা মীরাসসূত্রে জমি পাবে। তবে এখন যদি কাগজে কলমে মালিক বানিয়ে
দেয় তাহলে আপনার মা পূর্ণ ইখতিয়ার থাকবে আপন জমির বিষয়ে। কিন্তু আপনি কাউকে জমির
বিষয়ে প্রেশার দিতে পারবেন না। তবে তারা স্বেচ্ছায় যদি আপনাকে কিছু অংশ দিয়ে দেয়
তাহলে এতে কোন সমস্যা নেই। সর্বপরি আপনি বাড়ী বানানোর জন্য দোয়া করার পাশাপাশি
সবরের সাথে চেষ্টা চালিয়ে যান। আল্লাহ তায়ালা আপনার দিলের নেক আশা পূর্ণ করে দিন।