আসসালামু আলাইকুম
১) আমি কুরআন তিলাওয়াত এডিটিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করি। তো এক্ষেত্রে আয়াতে শুরু হওয়া ও শেষ হওয়ার টাইমিং মিলানো+আয়াতের অনুবাদ যোগ করে টাইমিং মিলানোর জন্য আয়াতের নির্দিষ্ট অংশ বারবার শুনতে হয়। তখন হয় যে পুরো আয়াত শেষ হবার আগেই পজ করে ফেলি বা বাড়তি অংশ কেটে ফেলি। এইভাবে যদি আয়াত পুরো শেষ হবার আগেই আমি বারবার পজ করি এইভাবে কি আমার গুনাহ হবে?
২) কুরআনের আয়াত+ অনুবাদ এডিটিং-এ অনেক সময় আয়াত+অর্থের লেখাটুকু কালার এপ্লাই করি। এইভাবে করা কি জায়েজ হবে?
৩) কুরআন তিলাওয়াত এডিটিং এর সময়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রকৃতির ভিডিও ব্যবহার করি, যেখানে কোনো মিউজিক থাকেনা। আয়াতের সাথে মিল রেখে ভিডিও ব্যবহার করা যাবে কি? যেমন যেখানে কবরের কথা বলা আছে, সেই আয়াতের সময় কবরস্থানের ভিডিও বা জান্নাতের আয়াতের সময় সুন্দর বাগান, ঝর্ণা, জাহান্নামের আয়াতে আগুন বা ভয়ানক কোনো কিছুর ভিডিও ব্যবহার উচিত হবে কিনা?
৩) আমি যদি কোনো কোর্স বিনামূল্যে ইউটিউব দেখে দেখে কম্পলিট করি, সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করি। তারপরে কি আমি টাকার বিনিময়ে সেই কাজগুলো কাওকে শেখাতে পারবো? যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন/ভিডিও এডিটিং।
৪) আমি যদি কাওকে গ্রাফিক্স এর কাজ বা ভিডিও এডিটিং শেখাই আমি তো হালাল-হারামের সীমারেখা মেনেই শেখাবো। প্রাণীর ছবি/ভিডিও পরিহার করে শেখাবো। যারা শিখবে আমার থেকে তারা যদি পরে গ্রাফিক্স বা ভিডিও এডিটিং এর কাজ হারাম কাজে এপ্লাই করে, সেক্ষেত্রে কি আমার গুনাহ হবে কিনা?
৫) পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন না করা শুধু নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে মোটামুটি ধারণা নিয়ে কাওকে টাকার বিনিময়ে কোর্স শেখাতে পারবো কি?
৬) যদি কোনো প্রতিবেদন বিষয়ে ভিডিও বানাই যেমন ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে, বা নাস্তিকদের কু-যুক্তি খন্ডনে, অথবা অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সেক্ষেত্রে মানুষের বক্তব্যের ভিডিও ব্যবহার করা যাবে? যদি নারীর ভিডিও না দেখাই, মিউজিক যুক্ত না করি তাহলে? এইভাবে কাওকে ভিডিও বানানো শেখানো যাবে? বা এমন ভিডিও নিজে বানিয়ে প্রচার করা যাবে কি?