আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম, আমার পরিবারের ঘনিষ্ট আত্মীয় একজন মহিলা যিনি বলেন ওনাদের হুজুর আছে, এবং ওনার মেয়েদের নিয়ে অনেক বিপদ (ছেলেঘটিত) ছিল যেগুলো কেটে গিয়েছে হুজুর এর কাছে যেয়ে এটা ওনার ভাষ্য। উনি নিজেই যান হুজুরের কাছে।

ওনার নিজের একমাত্র ভাই এর সাথে ওনার কোন সম্পরক নাই, এবং সবসময় তার ভাই এবং ভাই এর স্ত্রীর অনেক সমালোচনা করেন। সত্যি-মিথ্যা আল্লাহ জানেন। যা হোক, তার মেয়ের সাথে আমার ভাই এর বিয়ে হয় অনেক বছর, মেয়ে নামায-রোজা পরেনা বললেই চলে, পর্দার ব্যাপারটাই মানেনা। তার ভাষ্য আমার মা কে যেমন দেখেছি আমি তেমন চলব। ওর মা এর ভাষ্য আমার মেয়ে লাইফ এঞ্জয় করবে/ করুক, গুনাহ/ শাস্তি হলে আমার হবে (গত পরশুর কথা), ওনারা (আমার ভাই এর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি) এই বছর হজ্জ্ব করে আসছেন, তো শ্বাশুড়ি বলেন আমরা তো খুব ভাল আছি, হজ্জ করে আসলাম। আমাদের মা আমাদের কখনো ইসলাম মানার ব্যাপারে কিছু বলেনাই।

এখন কথা হচ্ছে, উনি যেই ব্যাপারে উনার ভাই তার স্ত্রীর সমালোচনা করেন, উনার মা ছেলের সাথে থাকতে পারেননাই, ওনার কাছে থেকেছেন। উনার মেয়ে বিয়ের পর এসে আমার মা এর ডেঙ্গু হওাতে একদিন নাস্তা বানায় খাইয়ে পোস্ট দেয় ছেলের বাবা-মা এর জন্য করা বউ এর দায়িত্ব না, কখন যদি রান্নাঘরে এই অনেক বছরেরযায়ও, আমার ভাই সাথে যায়। ছেলে বাবা-মা জন্য হয় ছেলে করবে না হয় এজন্য কাজের লোক রাখবে এমন কথা ওরআমি তখন প্রতিবাদ করেছিলাম।

কিন্তু এরপর আমার নিজের সংসার অস্বাভাবিক অনেক কিছু ঘটে যায়- (আমরা মুহুর্তে অন্য কিছু ভেবেছিলাম, তখন আমার হাসবেন্ড সপ্নেও উলটা পাল্টা অনেক কিছু দেখেন ফজর এর আগে পরপর দুইদিন)- কিন্তু সব দিক মিলায় বুঝতেছিনা আসল কারন টা কোথায়, এবং কি। কারন এরপর থেকে আমার জীবন তা পুরাই তছনছ হয়ে যায়।

আমার ভাই আমার হাসবেন্ড এর নাম শুনতে পারেনা এরপর থেকে, অথচ সে আমার ভাই কে ল্যাপটপ কিনে দেয়, অনেক ভাবে সাহায্য করে, কিন্তু আমার ভাই সব ভুলে গেছে আশ্চর্যজনকভাবে। আমার এবং আমার বাবা-মা এর সাথেও উলতা পাল্টা অনেক ব্যবহার করছে, করে, ওর সাথে আমার সম্পরক থাকবেনা এমন অবস্থা, যেমনটা ওর শ্বাশুড়ির তার ভাই এর সাথে সম্পরক নেই। ওর শ্বাশুড়ি তার ভাই এবং বউ এর ব্যাপারে যা বলে সেগুলে ওর নিজের বউ যে আরও বেশি করতেছে সেটা বুঝেনা, মিথ্যা বলতেছে বুঝেনা, নামায পরতে বলা যাবেনা। কি হচ্ছে, আমরা কিছুই বুঝতেছিনা। একদম অন্ধ হয়ে গেছে আমার ভাই। ওর আখিরাত এর ব্যাপারেও বুঝতেছেনা। 

এসব কি তাদের হুজুর বা অন্য কোনভাবে করা সম্ভব? এখন চারদিকে অনেকেই দেখি বলে হুজুর দিয়ে সমাধান হয়ে গেছে, খুব ভাল আছি এমন একটা অবস্থা, আমাদের কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ " اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ " .

আবূ তাহির (রহঃ) ..... আওফ ইবনু মালিক আশজা'ঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই- যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে। (মুসলিম ৫৬২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৬৯)

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন-

إنما تكره العوذة إذا كانت بغير لسان العرب ، ولا يدرى ما هو ولعله يدخله سحر أو كفر أو غير ذلك ، وأما ما كان من القرآن أو شيء من الدعوات فلا بأس به

নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়ায়ে শামী- এইচ এম সায়ীদ ৬/৩৬৩}
,
★বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কয়েক প্রকার তাবিজ জায়েজ নয়।

কুরআন হাদীস দ্বারা ঝাড়ফুক দেয়া ছাড়া শুধু তামা, পিতল বা লোহা দ্বারা তাবিজ বানিয়ে লটকিয়ে রাখা। অর্থাৎ শুধু এগুলো লটকানো দ্বারাই রোগমুক্ত হওয়া যাবে বিশ্বাস করে তা লটকানো নাজায়িজ।

এমন তাবিজ যাতে আল্লাহর নাম, কুরআনের আয়াত, দুআয়ে মাসূরা ব্যতিত শিরকী কথা লিপিবদ্ধ থাকে।

তাবীজকে মুয়াসসার বিজজাত তথা তাবীজ নিজেই আরোগ্য করার ক্ষমতার অধিকারী মনে করে তাবিজ লটকানো। এ বিশ্বাস জাহেলী যুগে ছিল, বর্তমানেও ইসলাম সম্পর্কে কিছু অজ্ঞ ব্যক্তিরা তা মনে করে থাকে।

যে কালামের অর্থ জানা যায় না এমন শব্দ দ্বারা তাবিজ লেখা।

আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় তাবিজ লেখা।

এ সকল সুরতে সর্বসম্মত মতানুসারে নাজায়িজ ও হারাম এবং শিরক। এতে কোন সন্দেহ নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ভাইকে তারা সম্ভবত জাদু করতে পারে।

সেক্ষেত্রে সমস্যা স্বাভাবিক থাকলে কিছু করার প্রয়োজন নেই।
তবে এর দরুন আপনাদের কোনো কঠিন সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে কোনো বৈধ রুকইয়াহ কারীর স্বরনাপন্ন হতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...